স্যালাইন খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা অপকারিতা
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন স্যালাইন খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। আজকে আমাদের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো স্যালাইন খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা। আর দেরি না করে চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক স্যালাইন খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা।
খাবার স্যালাইন ডায়রিয়া ও কলেরা আর পানি শূন্যতায় চিকিৎসার পাশাপাশি আরো অনেক
ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে -যেমন একজন খেটে খাওয়া মানুষ যখন গরমে অনেকক্ষণ ধরে কাজ
করতে থাকে তখন গ্রামের সঙ্গে বছর পানিও লবণ তার শরীর থেকে বের হয়ে যায় যার ফলে
তার দেহে পানি শূন্যতা দেখা দেয় এবং এর সময় খাবার স্যালাইন পান করে ব্যক্তি
পানীয় লবণ উপাদান পূরণ করতে পারেন। চলুন আমরা নিম্নে জেনে নিই স্যালাইন
খাওয়া.২০ উপকারিতা ও অপকারিতা।
পেজ সূচিপত্রঃ স্যালাইন খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা অপকারিতা
ভূমিকাঃ
আমরা অনেকেই একটু দুর্বল লাগলে স্যালাইন খেলে সবল বোধ মনে করি। যদি আমাদের
মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুস্থ জনিত রোগ এবং অন্যান্য রোগের না ফুকে
থাকে তবে স্যালাইন খেলে কোন অসুবিধা না হয় স্বাভাবিক। অনেক প্রান্তিক
পর্যায়ের চিকিৎসক রোগের ব্লাড প্রেসার লো হলে রোগীকে খাবার সেলের গ্রহণের
পরামর্শ দেন। এটা করলে রোগীদের বেলায় মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে কারণ আমরা জানি
যারা হার্ট এর রোগে ভুগছেন তাদের শরীর এমনিতেই দুর্বল থাকে।
এবং অনেকের ব্লাড প্রেসার লো থাকে। তার সঙ্গে তাদের শরীর পানি জমে
ফুলে যায় এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা রোগীকে লবন পানি সীমিত পরিমানে গ্রহণের
পরামর্শ দেন। এবং শরীর থেকে লবন পানি বের হওয়ার মেডিসিন দিয়ে
থাকেন। স্যালাইন খেলে যেমন একদিকে শরীরের পক্ষে ভালো
অন্যদিকে স্যালাইন খেলে ক্ষতির কারণও হতে পারে আপনার শরীরের জন্য। চলুন
নিম্নে জেনে নেই স্যালাইন খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা অপকারিতা এবং স্যালাইন
খাওয়ার নিয়ম।
স্যালাইন খাওয়ার ২০ টি উপকারিতাঃ
যাদের শরীর দুর্বল তাদের জন্য স্যালাইন ভালো কিন্তু, যার উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন
এবং হার্টের রোগী তাদের জন্য স্যালাইন ক্ষতিকর হতে পারে। চলুন নিম্নে জেনে নেই
স্যালাইন খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা-
পাতলা পায়খানা হলে স্যালাইন খেলে উপকার পাওয়া যায়।
- তাৎক্ষণিক শারীরিক শক্তি তার ক্ষেত্রে গ্লুকোজ শব্দের কাজ করে। কিন্তু স্যালাইন নীতি ও তাৎক্ষণিক দূরত্ব দূর হয়। কারণ স্যালাইনের সোডিয়াম ক্লোরাইড এর গ্লুকোজ ও থাকে।
- খুব গরমে বা তীব্র রোদে কাজ করার জন্য স্যালাইন গ্রহণে আপনার শরীরে পানির অভাব পূরণ হয়। এবং আবারও কাজ করার জন্য শরীরকে প্রস্তুত করে দেয়।
- দীর্ঘ কয়েক দিন একনাগারে কাজ করার পর অনেক সময় আপনার শরীর বা মনোযোগ বসাতে পারেন না কাজে। এ সময় আপনি স্যালাইন খেলে দেখবেন এর সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে।
- স্যালাইন পরিপাক নালী পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
- আপনি যখন টেনশনে থাকেন অথবা দীর্ঘসময় ভ্রমণ করে উচ্চ মাথা ব্যথা করছে তখন আপনি যদি একটি স্যালাইন খেতে পারেন দেখবেন এই সমস্যাগুলোর সমাধান হয়ে গেছে।
- ডায়রিয়া আক্রান্ত হলে শরীরের প্রচুর লবণ হারায়। এতে লবণের আর্থিক্য দেখা দেয় সেজন্য উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা উঠাইয়া হলে স্যালাইন খেতে পারেন।
- স্যালাইনে গ্লুকোজের পরিমাণ বিশ গ্রামের বেশি নয়। তাই স্যালাইন খেলে ডায়াবেটিসের রোগীদের রক্তের শর্করা বাড়বে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
- এই গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর লবণ বেরিয়ে যায় সেজন্য শরীরে পানি শূন্যতা পূরণ এবং শরীর দুর্বল লাগলে খাওয়ার স্যালাইন খেতে পারেন।
- আপনি চাইলে ঘরে তৈরি করে নিয়েও স্যালাইন খেতে পারেন। এর জন্য এক মুঠো গুড় তিন আঙ্গুলের ডগা দিয়ে এক চিমটি লবন আধা লিটার পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে স্যালাইন তৈরি করে খেতে পারেন।
স্যালাইন খাওয়ার অপকারিতাঃ
উপরে তো আমরা স্যালাইন খাওয়ার উপকারিতা গুলো জেনে নিলাম চলুন এবার জেনে নেই
স্যালাইন খাওয়ার অপকারিতা কি। সেলাইন খাওয়া কি আমাদের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞ
ডাক্তারদের মতে স্যালাইন খাওয়া শরীরের জন্য ভালো স্যালাইন খাওয়ার ফলে দেহের
কোন ধরনের ক্ষতি সাধন হয় না। শুধুমাত্র উচ্চ রক্তচাপ সম্পন্ন রোগীদের জন্য
স্যালাইন না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এর বাইরে স্যালাইন খাওয়ার কোন
ক্ষতিকর দিক নেই তবে স্যালাইন কতটা মান সম্মত সেটির উপর আপনার ক্ষতি করা
না করার বিষয়টি অনেক অংশে নির্ভর করে।
স্যালাইন খাওয়ার নিয়মঃ
স্যালাইন শুধু খেলেই হবে না স্যালাইন খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে তারপর
খাওয়া উচিত। সেজন্য আমাদের আর্টিকেলের এই পর্বে আমরা আপনাদের জানাবো
স্যালাইন খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আমরা সকলেই জানি ওর স্যালাইনের প্যাকেটের
মধ্যে নির্দেশনা দেওয়া থাকে যে এক প্যাকেট স্যালাইন ৫০০ মিলিমিটার বাধা
লিটার সমপরিমাণ পানিতে পুরো প্যাকেট গলতে হবে কম নয় বেশিও নয়। পানি কখনো
কমানো যাবে না স্যালাইনও নয় বিশুদ্ধ খাবার পানি হতে হবে।
বড়দের জন্য স্যালাইন বানানোর নিয়ম যেমন শিশুদের জন্যও একই। খাবারের
মাত্রায় হয়তো ভিন্নতা আছে সেটা ডাক্তার বলে দেবে বাড়ানোর ক্ষেত্রে নিজের
বুদ্ধিমত্তা খাটানোর প্রয়োজন নেই। নির্দেশনা অনুযায়ী আধা লিটার পানিতে পুরো
এক প্যাকেট খাবার স্যালাইন খুলতে হবে সেটা শিশুও বড় সবার জন্য সমান। যে শিশু
বারবার পাতলা পায়খানা করবে, প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর বয়স অনুযায়ী ভাগ
করে স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
একবারে পুরো প্যাকেট খাওয়ানো যাবে না ধীরে ধীরে প্রতিবার পাতলা পায়খানার
পরবর্তী সময়ে খাওয়াতে হবে। যে বাচ্চা পাতলা পায়খানার পরে বমি করে তাকে আরো
ধীরে খাওয়াতে হবে। বয়স দুই বছরের কম হলে, প্রতি পাতলা পায়খানার উপরে একটা
বড় কাপের ২৫০ মিলির অর্ধেক বা সোয়া পরিমাণ খাওয়াতে হবে সামোচের হিসাব করলে
১০ থেকে ২০ চামচ।
বয়স ২ থেকে ১০ বয়সী বাচ্চার জন্য প্রতিবার পাতলা পায়খানার পরে বড় কাপের
২৫০ মিলি পুরোটা অথবা কমপক্ষে অর্ধেক খাওয়াতে হবে।
১০ বছরের বেশি বয়স হলে প্রতিবার পাতলা পায়খানার পরে কমপক্ষে গরম বড় কাপের
২৫০ মিলি পুরোটা বা ২ কাপ অর্থাৎ স্যালাইন প্যাকেটের প্রটা খেতে হবে।
স্যালাইন খাওয়ার সময় একটি বিষয় বিশেষভাবে মাথায় রাখতে হবে আপনাকে গরম
পানিতে কখনোই স্যালাইন গুলে খাবেন না। আপনি পরিমাণ মতো ঠান্ডা পানি নিয়ে
স্যালাইন পাউডার খুলে ওই স্যালাইন খেতে পারেন।
উপসংহারঃ স্যালাইন খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা অপকারিতা
পরিশেষে আমি বলতে চাই যে স্যালাইনের নামে বাজারে যতগুলো কোম্পানি এই স্যালাইন
উৎপাদনের সাথে জড়িত সকল কোম্পানির স্যালাইন বিশ্বাসের সাথে খাওয়া আমাদের
শরীরের জন্য ক্ষতিকর। যেহেতু এদের মধ্যে অনেক ভেজাল রয়েছে তাই স্যালাইন
খাওয়ার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে আমাদের।
আরো পড়ুনঃ টক দই এর উপকারিতা অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ
এর বাইরে স্যালাইন খাওয়ার তেমন কোন ক্ষতি নেই। শরীরের লবন পানি চাহিদা পূরণ
করার জন্য এ স্যালাইন খাওয়া উপকারী হিসেবে ধরে নেওয়া যায়। এতক্ষণ ধৈর্য
সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের
আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে
শেয়ার করুন। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url