হাঁসের ডিম না মুরগির ডিম - কোনটা বেশি উপকারী
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা যারা আজকে জানতে চেয়েছেন হাঁসের ডিম না মুরগির ডিম - কোনটা বেশি উপকারী। তবে আমাদের আজকের আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য আজকে আমরা আপনাদের জানাবো হাঁসের ডিম না মুরগির ডিম - কোনটা বেশি উপকারী। দুইটি হাঁসের ডিমের সমান তিনটি মুরগির ডিম তাছাড়া হাঁসের ডিমের সাদা অংশ অর্থাৎ এলবুমিনের পরিমাণ বেশি থাকে। চলুন নিম্নে বিস্তারিতভাবে জেনে নিই হাঁসের ডিম না মুরগির ডিম - কোনটা বেশি উপকারী।
পেজ সূচিপত্রঃ হাঁসের ডিম না মুরগির ডিম - কোনটা বেশি উপকারী
- ভূমিকা
- হাঁসের ডিম না মুরগির ডিম কোনটা উপকারী
- পুষ্টিগুণ
- হাঁসের ডিমের উপকারিতা
- মুরগির ডিমের উপকারিতা
- উপসংহার
ভূমিকাঃ
রয়েছে নানা রকম পুষ্টি উপাদান তাই শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক সব ডিম খেতে পছন্দ
করেন। কিন্তু বাজারে এখন ডিমের দাম চড়া এ অবস্থায় কোন ডিম খেলে আপনি বেশি
লাভবান হবেন। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ত্বকের
উজ্জ্বলতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশি মজবুত করতে তেমন দ্রুত পেশার
বাড়াতে হাঁসের ডিম একটি আদর্শ খাবার হিসেবে কাজ করে।
আরো পড়ুনঃ দাদ ও চুলকানি কেন হয় - দাদ ও চুলকানির ঘরোয়া চিকিৎসা
তাই আপনার শরীরে কোন ডিম বেশি উপকারী হবে বলে মনে করছেন একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী সেটি আজই জেনে নেই এবং ব্যক্তিবেদে ডায়েট অন্তর্ভুক্ত করুন পুস্তিকার ডিম কে। ডিম নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক বিতর্ক আছে। অনেকেই ধারণা করেন হাঁসের ডিমের চেয়ে মুরগির ডিম ভালো কথাটি কিন্তু ঠিক নয়। পুষ্টি মূল্যের বিবেচনায় হাস ও মুরগির ডিম প্রায় একই মানের বলা যায় মুরগির ডিম এই ভালো মুরগির ডিম খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে এমন ধারণা করা ভুল। চলুন আমাদের আর্টিকেলের আজকের এই পর্বে আমরা জেনে নেই হাঁসের ডিম না মুরগির ডিম - কোনটা বেশি উপকার।
হাঁসের ডিম না মুরগির ডিম কোনটা উপকারীঃ
মুরগির ডিমের তুলনায় হাঁসের ডিম আকারে বড় হয়। এছাড়া হাসের ডিমের খোসা মুরগির ডিমের তুলনায় বেশি শক্ত হয়। আমাদের মধ্যে অনেকে আবার হাঁসের মুখে তুলতে চান না এরা আসতে গন্ধের কারণে কারো আবার মুরগির ডিমে অরুচি। তবে এর পুষ্টিগুণ ও জনপ্রিয়তার কথা বললে কেউ কারো থেকে কম যায় না।কিন্তু স্বাস্থ্য সচেতন না বুঝে উঠতে পারেন না কোন ডিম খাবেন হাঁসের ডিম খেলে বেশি পুষ্টি নাকি মুরগির ডিম খেলে ঝরবে মেয়েটি জেনে নিন কোন ডিমের পুষ্টি বেশি ও কোনটা বেশি উপকারী। চলুন নিম্নে জেনে নেই হাঁসের জন্য মুরগির ডিম কোনটা উপকারী।
যারা ডায়ার্ড উচ্চ চর্বি যুক্ত খাবার করছেন তাদের জন্য হাঁসের ডিম ভালো।
হাঁসের ডিম প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে পুষ্টির দিক থেকে হাঁসের
ডিম মুরগির চেয়ে অনেক এগিয়ে। হাঁসের ডিমের ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম আয়রন
ভিটামিন বি ১২ ভিটামিন এ থায়ামিন ইত্যাদি মুরগির ডিম ১০০ গ্রাম বেশি থাকে।
মুরগির ডিমের তুলনায় হাঁসের ডিম আকারে বড়। আকারে বড় হওয়ার কারণে হাঁসের
ডিমের কুসুম ও বড় হয়। বড় কুসুমের কারণে হাঁসের ডিমের চর্বি এবং কোলেস্টেরলাই
মুরগির ডিমের তুলনায় বেশি থাকে। কার্বোহাইড্রেট ও খনিজের পরিমাণ সমান হলেও
হাঁসের ডিমের প্রোটিন এবং মেগাথিন ফাটি এসিডের পরিমাণ সামান্য বেশি থাকে। যারা
ডায়েটে উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার করছেন তাদের জন্য হাঁসের ডিম ভালো। হাঁসের ডিমের
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে।
পুষ্টির দিক থেকে হাঁসের মুরগির ডিমের চেয়ে অনেক এগিয়ে। ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম আয়রন ভিটামিন বি ১২ ভিটামিন ইত্যাদি মুরগির ডিমের থেকে ১০০ গ্রাম বেশি থাকে।
হাঁসের ডিমের সাদা অংশে থাকা পেপটাইট গুলি প্রয়োজনীয় খনিজ ক্যালসিয়াম শোষণ করে হজম ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। সাদা অংশের বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যার হৃদ রোগ এবং নিউরোডিজেনারেটিভ অবস্থান সহ বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
হাঁসের ডিমের ওমরের ডিমের মধ্যে নির্বাচন করার সময় আপনি কয়েকটি বিষয় বিবেচনা
করতে পারেন। যেমন-
এলার্জিঃ
সাধারণত মুরগির টিমে যাদের এলার্জি আছে তারা হাঁসের ডিম খেতে পারেন।
স্বাস্থ্যগত সমস্যাঃ
আপনার স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিন। আর্টের কোন
সমস্যা থাকলেও পরামর্শ নিন।
ব্যক্তিগত স্বাদঃ
কেউ কেউ এক ধরনের ডিমের স্বাদ অন্যটির চেয়ে পছন্দ করতে পারে। কেউ হাঁসের
ডিম পছন্দ করেন আবার কেউ মুরগির ডিম পছন্দ করেন।
দামঃ হাঁসের ডিমের দাম একটু বেশি। এক্ষেত্রে আপনাকে বিবেচনা করতে হবে আপনি কোনটি খাবেন।
হাঁসের ডিমের উপকারিতাঃ
মুরগির ডিমের উপকারিতাঃ
শরীরে যে কোন সমস্যার সমাধান করতেন না ডিমের তুলনায় মুরগীর ডিমের উপকারিতা
আমাদের অনেক সমস্যার সমাধান করতে থাকে। মুরগি যে খাবারগুলো খায় সেগুলো
সম্পূর্ণ পার্থক্য খাবার তাই মুরগির ডিমের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি সম্পূর্ণ
প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি কিন্তু একটি খাবার। বর্তমান সময়ে প্রায় অনেকেই কিন্তু
শরীর সম্পর্কে সচেতন। অনেকের বর্তমানে ডিম খাওয়া খাবারের তালিকা থেকে বাদ
দিয়ে দিচ্ছে কারণ অনেকেরই ধারণা ডিম খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে।
এখানে মুরগির ডিমের উপকারিতা লক্ষ্য করা যায় । আপনি যদি নিয়মিত খাবারের
তালিকা আর মধ্যে দে মুরগির একটি করে ডিম রাখেন তাহলে এটি আপনার ওজন বাড়াতে
কোনভাবে কিন্তু সহযোগিতা করবে না। কারণ মুরগির ডিমের মধ্যে অতিরিক্ত ফ্যাট বা
চর্বির পরিমাণ খুবই কম থাকে যা আমাদের শরীরের ফ্যাট বা চর্বি বাড়াতে যথেষ্ট
পরিমাণে ভূমিকা না রাখার সম্ভাবনা বেশি।
চলুন নিম্নে জেনে নেই মুরগির ডিমের উপকারিতা গুলো-
অল্প টাকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারঃ
বলা যায় ব্যাচেলার জীবনে বিমান না থাকলে একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার।
যাওয়ার পর টাকার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটন নিয়ে আসে আমাদের শরীর এবং অল্প
পরিশ্রমে আমরা বিভিন্ন উপায়ে ডিম খেতে পারি। সাথে সাথে আমাদের শরীরে প্রোটিনের
চাহিদা পূরণ করে পাশাপাশি নিয়ে আসতে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে কাজ করে থাকে।
ত্বকের যত্নেঃ
আমাদের ত্বকের স্যালু গুলো ঠিক রাখার জন্য ডিমের উপকারিতা অনেক বেশি কিন্তু
সেটা যদি হয় মুরগির ডিম তাহলে তো আর কথাই নেই। কারণ মুরগির ডিমের মধ্যে থাকা
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ভিটামিন এ ভিটামিন বি আমাদের ত্বক ঠিক রাখার জন্য
গুরুত্বপূর্ণ ভাবে কাজ করে। বিশেষ করে মুরগির ডিমের সাদা অংশ আমাদের পক্ষে অনেক
বেশি উপকারী।
শরীরের প্রয়োজনীয় হরমোন নিঃসরণেঃ
অনেক সময় আমাদের শরীরে হরমোনের বিভিন্ন তার জন্য দেখা যায়। যার ফলে শরীরে
বিভিন্ন ধরনের সমস্যা পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। এই ধরনের সমস্যা সমাধান করার জন্য
আমাদের নিয়মিত খাবার তালিকায় অন্ততপক্ষে একটি করে মুরগির ডিম রাখা উচিত।
শরীরের হাড় মজবুত রাখতেঃ
মুরগির ডিমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে যা আমাদের শরীরের হাড়কে
মজবুত রাখতে সহযোগিতা করে। এছাড়াও মুরগির ডিমের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম
আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম বাড়াতে কাজ করে।
পুষ্টিগুণঃ
- ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিম থেকে ১৮৫ কিলো ক্যালরি এনার্জি পাওয়া যায়। যেখানে ১০০ গ্রাম মুরগির ডিম থেকে পাওয়া যায় ১৪৯ কিলো ক্যালরি এনার্জি।
- কার্বোহাইড্রেট ও মিনারেলের পরিমাণ সমান হলেও হাঁসের ডিমের প্রোটিনের পরিমাণ সামান্য বেশি থাকে।
- উভয়ের ডিমেই সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, দস্তা, তামা, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস, আইরন থাকে। তবে হাঁসের ডিমের সব কিছুরই পরিমাণ কিছুটা বেশি থাকে।
- প্রতি ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে রয়েছে ১৮১ কিলো ক্যালরি খাদ্যশক্তি আর মুরগির ডিম আছে ১৭৩ কিলো ক্যালরি।
- প্রতি ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমের প্রোটিনের পরিমাণ ১৩.৫ গ্রাম। এবং ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমের প্রোটিনের পরিমাণ ১৩.৩ গ্রাম।
- হাঁসের ডিমের ফ্যাট থাকে ১৩.৭ গ্রাম, মুরগিরডিমে থাকে ১৩.৩ গ্রাম।
- আবার মুরগির ডিমের ক্যালসিয়াম রয়েছে ৬০ মিলিগ্রাম, লোহা রয়েছে ২১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ রয়েছে ২৯৯ মাইক্রগ্রাম। অন্যদিকে ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমের ক্যালসিয়াম সহ উত্তর মিলিগ্রাম লোহা ৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন এ ২৬৯ মাইক্রগ্রাম থাকে।
- ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ থাকে ৮৮৪ মিলিগ্রাম আর ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমের কোলেস্টেরলের পরিমাণ থাকে ৪২৫ মিলিগ্রাম।
- হাঁসের ডিমের মনোস্যাচুরেটেড মুরগির ডিম থেকে ৫০ শতাংশ বেশি থাকে।
- হাঁসের ডিম মুরগির ডিম থেকে ৫০ শতাংশ বড় হওয়ায় তাই সে অন্যান্য পুষ্টি উপাদান বেশি থাকে।
- হাঁসের ডিমের বাইরের অংশ শক্ত হয় তাই তাড়াতাড়ি ভাঙে না এবং অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।
- ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে সেচুরেটেড ফ্যাট থাকে ৩.৬৮ গ্রাম এবং ১০০ গ্রাম মুরগির টিমে থাকে ৩.১ গ্রাম।
- মুরগির ডিম হোক বা হাঁসের ডিম হোক ডিমের মধ্যে ভালো বেশি পুষ্টি সম্পূর্ণ হলো ওইটা যেটা করে বাসায় যে বড় যে যত বড় তার পুষ্টিগুনো তত বেশি।
- সাধারণভাবে বলা যেতে পারে হাস ও মুরগির ডিম উভয়েই সমান পুষ্টি সম্পন্ন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url