লজ্জাবতী গাছের উপকারিতা অপকারিতা - লজ্জাবতী গাছের ঔষধি গুন

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক আপনারা যারা আজকে জানতে চেয়েছেন লজ্জাবতী গাছের উপকারিতা অপকারিতা - লজ্জাবতী গাছের ঔষধি গুন সম্পর্কে। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। আমাদের আজকে রাতে গেলে আমরা আপনাদের জানাবো লজ্জাবতী গাছের উপকারিতা অপকারিতা - লজ্জাবতী গাছের ঔষধি গুন। লজ্জাবতী গাছ আমাদের নানা উপকারে আসে যেমন শ্বাসকষ্ট, আলসার, অশ্ব বা পাইলস, পেট ফাঁপা, বদহজম যে কোন ক্ষত সারাতে গাছের রস ভীষণ কাজে দেয়। চলুন নিম্নে জেনে নেই লজ্জাপতি গাছের উপকারিতা অপকারিতা - লজ্জাবতী গাছের ঔষধি গুণ।

লজ্জাবতী গাছের উপকারিতা  অপকারিতা - লজ্জাবতী গাছের ঔষধি গুন
লজ্জাবতী লতা অনেকটা লতা জাতীয় উদ্ভিদ। লজ্জাবতী অতি স্পর্শকাতর কোনভাবে নাড়া দিলে ছাড়ানো পাতা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। কফ দূর করতে নাকো কান থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে ডায়রিয়া এবং যেকোনো প্রদাহ জ্বালাপোড়া আলসার কুষ্ঠ কিংবা জনি রোগ থেকে মুক্তি পেতে লজ্জাবতী গাছের ব্যবহার করা হয়।

পেজ সূচিপত্রঃ লজ্জাবতী গাছের উপকারিতা  অপকারিতা - লজ্জাবতী গাছের ঔষধি গুন 

  • ভূমিকা
  • লজ্জাবতী গাছের উপকারিতা
  • লজ্জাবতী গাছের অপকারিতা
  • লজ্জাবতী গাছের ঔষধি গুণ
  • লজ্জাবতীর উৎপত্তি স্থান
  • উপসংহার

ভূমিকাঃ

লজ্জাবতী গাছের উপকারিতাঃ

লজ্জাবতী গাছের অপকারিতাঃ

লজ্জাবতী গাছের ঔষধি গুনঃ

লজ্জাবতী গাছের অনেক ঔষধি গুন রয়েছে। লজ্জাবতী গাছ কান্ড লতানো শাখা-প্রশাখায় ভরা এবং কাটাযুক্ত, এ গাছ লালচে রঙের এ গাছের কান্ড কিছুটা শক্ত সহজে ভাঙে না বরং পেঁচিয়ে টানলে ছিড়ে যায় পাতা কয়েক জোড়া পাতা বিপ্রতিক ভাবে থাকে অনেকটা তেতুল পাতার মত। পায়ের স্পর্শ লজ্জাবতীর পাতা বুঝে এসে বন্ধ হয়ে যায়। এর পাতা ও ফুল উভয়ে ব্যবহার করা যায় এবং এর অনেক ঔষধি গুন রয়েছে। জেনে নেওয়া যাক লজ্জাবতী গাছের ঔষধি গুণ-

আমাশইঃ

আমাদের মধ্যে অনেকেরই আছে পুরনো আমাশয়। মলত্যাগের বেগ হলে আর অপেক্ষা করতে পারে না গিয়ে প্রথমে যা হলো তারপর আর হতে চাই না। আবার অনেকের শক্তমলের গায়ে সাদা সাদা আম জড়ানো থাকে। আমার সঙ্গে থেকে মুক্তি পেতে ১০ গ্রাম লজ্জাবতীর ডাটা ও পাতা চার কাপ পানিতে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেকে নিতে হবে। যারা আমার সঙ্গে সমস্যায় ভুগছেন তারা যদি এটা খান তাহলে অবশ্যই উপকার পাবেন।

কোষ্ঠকাঠিন্যঃ

আমাদের মধ্যে অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে লজ্জাবতী গাছের মূল সাত আট গ্রাম থেঁতো করে সিদ্ধ করতে হবে এবং সে কে ওই পানি খেতে হবে, দেখবেন কয়েক দিনের মধ্যেই আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

হাত-পা জ্বলা নিরাময়েঃ

হাত-পা জ্বালার সঙ্গে শরীরে জ্বর থাকে এটা সাধারণত বর্ষাও শরৎকালে পিত্ত বিকালে দেখা দেয়। এক্ষেত্রে লজ্জাবতীর গাছের মূল পাতা ১০ গ্রাম ও চার কোম্পানীতে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়েছে কে স্মরণ করলে উপকার মিলবে।

রমনে অতৃপ্তিঃ

কয়েকটি সন্তান হওয়ার পর পসবদারের সিথির লো হয়েছে, সেটার অনেকটা মেরামত করে দিয়ে থাকে এই লজ্জাবতীর পাতা এ গাছের পাতা সিদ্ধ করে দিয়ে তৈরি তেলে ন্যাকড়া ভিজিয়ে পিছু ধারণ করালে এছাড়া অন্ডকোষে পানি জমা সরাতে পাতার পেস্ট ব্যবহার করা যায়।

ঘামের দুর্গন্ধেঃ

অনেকের ঘামে দুর্গন্ধ হয়ে এবং পো শাককে হলদে দাগ লাগে। এক্ষেত্রে লজ্জাপতি গাছের ডাটা ও পাতার রস তৈরি করে ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

যোনি খতেঃ

এবিচিত্র রোগটি কৃষ্ণপক্ষে বেড়ে যায় আর শুকনোপক্ষে শুকাতে থাকে। এ ক্ষতটি হয় সাধারণত হাঁটুর নিচে আর না হয় খুশকির দুধ ধরে। এক্ষেত্রে গাছ হোক পাতা মূল বাঁধে ১০ গ্রাম শুধু জল দিয়ে পাতা বেটে রস বের করে নিতে হবে। লজ্জাবতীর এই রস দিয়ে যদি আক্রান্ত স্থান মোছা যায় তবে এরক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

নাড়ী সরে আসাঃ

অনেক প্রসূতি মা বোনদের বাচ্চা প্রসবের সময় ধাত্রীস ও সাবধানতাই বা নারী সরে যাই। নারী স্বরে গেলে উঁচু হয়ে বসতে গেলে অস্বস্তি বোধ করে এক্ষেত্রে আপনি লজ্জাবতীর দশ গ্রাম পাতা পারতে সেদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে থেকে নিয়ে এটা প্রতিদিন সকাল বিকাল দুবার খেলে ঠিক হয়ে যাবে।

অশ্ব রোগঃ

অশ্বের জ্বালা বেশি। ঝাল না খেয়েও যেন সেই রকম যন্ত্রণা তার সঙ্গে রক্তস্রাব বেশি হতে থাকে। এক্ষেত্রে গাছ ও মূলে ১০ গ্রাম আন্দাজ এক কাপ দুধ ও তিন কাপ পানি একসঙ্গে মিশিয়ে একত্রে সিদ্ধ করে। এক কাপ থাকতে নামিয়ে নিতে হবে এবং প্রত্যেকদিন সকাল-বিকেল দুইবার খেতে হবে।

লজ্জাবতীর উৎপত্তিস্থানঃ

আমাদের মধ্যে অনেকে মনে করেন মেক্সিকো লজ্জাবতীর উৎপত্তিস্থান। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আমেরিকার উত্তর দক্ষিণ কোস্টাল বেল্টে আফ্রিকার অনেক দেশে ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রচুর লজ্জাপতি দেখা যায়। ট্রপিক ও সাব ট্রপিকের আওতাধীন সব দেশের লজ্জাবতী ভালো জন্মায়। ভারতের রাজস্থানে বিভিন্ন বাগানে কভার ফসল হিসেবে অগ্রিম ম্যানুয়ালিং ফসল হিসেবে চাষ প্রচলন আছে লজ্জাবতীর।

লজ্জাবতী সাধারণত দুই ভাবে রোপন করা যায়, বিজ থেকে অথবা পুষ্ট লতা কেটে। লজ্জাবতীর গাছে আগস্ট মাস হতে ফুল ধরা আরম্ভ করে এবং সেপ্টেম্বর হতে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ফল পাকা শুরু হয়। এ সময় পাকা ফল থেকে বীজ সংগ্রহ করা যায়। সংরক্ষিত বিজে ৫০ বছর পর্যন্ত অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা বজায় থাকে।

উপসংহারঃ লজ্জাবতী গাছের উপকারিতা  অপকারিতা - লজ্জাবতী গাছের ঔষধি গুন

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, আপনারা যারা এতক্ষন আমাদের আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন লজ্জাবতী গাছের উপকারিতা অপকারিতা - গাছের ঔষধি গুন সম্পর্কে। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন।

আটিকেলের মধ্যে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তবে আপনার মহামূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাবেন যাতে করে আমরা সেগুলো সংশোধন করতে পারি। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url