নারিকেলের উপকারিতা ও অপকারিতা - নারিকেল শ্বাসের যত উপকারিতা
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা । আজকে আপনাদের জানাবো নারিকেলের উপকারিতা ও অপকারিতা - নারিকেল শ্বাসের যত উপকারিতা সম্পর্কে। আমরা সকলেই কমবেশি নারিকেল খেয়ে থাকি কিন্তু আমরা জানি না নারিকেলের উপকারিতা ও অপকারিতা - নারিকেল শ্বাসের যত উপকারিতা সম্পর্কে। ডাবের পানিতে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক নারিকেলের উপকারিতা ও অপকারিতা - নারিকেলের শ্বাসের যত উপবাসের।
নারিকেলের শ্বাস ঔষধ হিসেবে ও কাজ করে। বিভিন্ন ধরনের অসুখ দূর করতে সাহায্য করে পুষ্টিগুণ ভরপুর নারিকেল আমাদের শরীর স্বাস্থ্য রক্ষার্থে কতটা ভূমিকা পালন করে তা আজকের এই পোস্টে তুলে ধরব। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক নারিকেলের উপকারিতা ও অপকারিতা - নারিকেল শ্বাসের যত উপকারিতা।পেজ সূচিপত্রঃ নারিকেলের উপকারিতা ও অপকারিতা - নারিকেল শ্বাসের যত উপকারিতা
ভূমিকাঃ
নারিকেল বহু পরিচিত নাম, আমরা সকলে যেমন ডাব খেতে পছন্দ করি তেমনি নারিকেল খেতে পছন্দ করি। ডাব ধীরে ধীরে বড় হয়ে নারিকেলে পরিণত হয়। ডাবের পানি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি নারিকেলের পানিও খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। নারিকেলের সুস্বাদু শ্বাস দিয়ে তৈরি হয় নানারকম মজাদার পিঠা যেগুলো আমাদের সকলেরই খুবই প্রিয়।
নারিকেলের শ্বাস দিয়ে যে পিঠাগুলো তৈরি হয় সেগুলো হল-নারিকেলের নাড়ু, নারিকেলের সন্দেশ, নারিকেলের পায়েস, নারিকেলের হালুয়া, নারিকেলের আইসক্রিম। এছাড়াও চুলের যত্নে নারিকেলের ভূমিকা রয়েছে অনেক। সেজন্য প্রত্যেকটা নারী ও পুরুষের শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত।
আরো পড়ুনঃ বাসক পাতা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা - এবং বাসক পাতা খাওয়ার নিয়ম
নারিকেলের শ্বাস খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর পুষ্টিগুণ রয়েছে অনেক। নারিকেলের শ্বাস ঔষধ হিসেবে ও কাজ করে বিভিন্ন ধরনের অসুখ দূর করতে সাহায্য করেন নারিকেলের শাঁস। পুষ্টিগুণ ভরপুর নারিকেল আমাদের শরীর স্বাস্থ্য রক্ষার্থে কতটা ভূমিকা পালন করে তা আজকের এই পোস্টে তুলে ধরব আমরা আপনাদের জন্য। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক নারিকেলের উপকারিতা ও অপকারিতা - নারিকেল শ্বাসের যত উপকারিতা।
নারিকেল এর উপকারিতাঃ
প্রত্যেকটি মানুষকে স্বাস্থ্যকর ফল খাওয়া ভালো। স্বাস্থ্যকর ফল খাওয়ার মাধ্যমে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং বিভিন্ন অসুখ থাকে দূরে থাকা যায় এর মধ্যে নারিকেল স্বাস্থ্যকর একটি ফল। নারিকেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা আমাদের জন্য অনেক উপকারি। সেজন্য আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় নারিকেল যুক্ত করুন। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক নারিকেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
নারিকেল পানির পুষ্টিঃ
আপনি যদি নিয়মিত নারিকেলের পানি পান করতে পারেন তবে আপনার শরীরে ডিহাইড্রেশন এর অভাব দূর হবে। এর সঙ্গে নারিকেল জল প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তিশালী করে আপনার শরীরকে। নারিকেল পানি কেবল শরীরের জন্য নয় চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী । এতে পটাশিয়াম সোডিয়াম ক্যালসিয়াম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি জাতীয় পুষ্টি রয়েছে।
তবে এটির খনিজ গুলো উচ্চ ফ্যাট চিনি এবং কোলেস্টেরল কম তাই নারিকেল খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। নারিকেলের দুধ লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখে একই সঙ্গে হেপাটাইটি সি জন্ডিস ও লিভারের বিভিন্ন অশোক সারাতে নারিকেলের দুধ কার্যকরী।
ত্বকের যত্নেঃ
নারিকেলের চাষ ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের বালি রেখা দূর করে। নিয়মিত নারিকেলের শাঁস স খেলে ত্বক ও সুন্দর এবং কোমল হয়।
ক্লোন ক্যান্সার ঝুকি কমেঃ
আপনি যদি নিয়মিত নারিকেল খেতে পারেন তবে আপনার স্তন ক্যান্সার, ক্লোন ক্যান্সার এবং আরো অন্যান্য ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত নারিকেল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
দাঁত ও হাড় ভালো রাখতেঃ
হাড়ের গঠন মজবুত করতে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন। যা আপনার বয়স বাড়ার সাথে সাথে কমে যায় এবং হার দুর্বল হয়ে যায় এজন্য আপনি যদি নিয়মিত নারিকেল খেতে পারেন তবে আপনার দাঁতও হাড় ভালো রাখতে সাহায্য করবে। নারিকেলে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম থাকে। হাড় সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় নারিকেলের শ্বাস।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করতেঃ
হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে নারিকেলের শ্বাস। নারিকেলে থাকা ভিটামিন মিনারেল ও এমিনো অ্যাসিড হজম ক্ষমতা বাড়ায়। এবং আপনার শরীরে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
ওজন কমায়ঃ
অন্যান্য ফলের তুলনায় নারিকেলের ক্যালরির মাত্রা অনেকটাই কম যা আপনার শরীরে অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করবে। নারিকেলে খুব অল্প ক্যালোরিতেই মোটাবলিযম বৃদ্ধি করে শরীরের শক্তি যোগায়।
হার্ট সুস্থ রাখেঃ
নারিকেল রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে হার্টের সমস্যা দূর করে। নারিকেলের রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড যা কোলেস্টেরল বাড়ায় না আথোরোসক্লেরোসিসের ঝুকি কমিয়ে হার্ট ভালো রাখতে সহায়তা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ
শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা উচিত যা সাহায্য করেন নারিকেল। লিভারের অসুখের ক্ষেত্রে হেপাটাইটিস সিজনটি ও অন্যান্য লিভারের অসুখে বেশ ভালো কাজ করে নারিকেলের দুধ। আপনি যদি নিয়মিত নারিকেল খেতে পারেন তবে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
নারিকেলের পানির পুষ্টিঃ
নারিকেলের পানির পুষ্টিগুন অনেক। আপনি যদি প্রতিদিন নারিকেল পানি পান করেন তাহলে শরীরে ডিহাইড্রেশন এর অভাব দূর হবে। এবং নারকেল জল প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে। নারকেলের পানি কেবল শরীরের জন্যই নয় চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী কারণ এতে পটাশিয়াম সোডিয়াম ক্যালসিয়াম।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ ভিটামিন পুষ্টি এবং পটাশিয়াম সোডিয়াম ক্যালসিয়াম এন্ডঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি জাতীয় পুষ্টি রয়েছে এটি খনিজ গুলোতে উচ্চতা ফ্যাট চিনি এবং কোলেস্টেরল কম তাই নারিকেল খাওয়া সকলেরই উচিত।
নারিকেল এর অপকারিতাঃ
নারিকেল খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর অপকারিতা ও রয়েছে। চলুন নিম্নে নারিকেল এর অপকারিতা গুলো জেনে নিই-
- মাত্রা অতিরিক্ত নারিকেলের জল খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো না।
- নারকেল খেলে অনেক সময় অম্বলের সমস্যা দেখা যায়। তাই যাদের হজমের সমস্যা আছে তাদের নারকেল না খাওয়াই ভালো।
- নারিকেলের জলে বেশি পটাশিয়াম থাকে। তাই যাদের কিডনির সমস্যা আছে তারা নারিকেলের জল খাওয়া থেকে দূরে থাকাই ভালো।
নারিকেল খাওয়ার নিয়মঃ
নারিকেল আমরা সাধারণত পিঠাপুলি খাওয়ার সময় গ্রামাঞ্চলে বেশি ব্যবহার করে থাকি। এবং বিভিন্ন খাবার তৈরিতে নারিকেলের ব্যবহার করা হয়। নারিকেল আমাদের স্বাস্থ্য উপকারিতায় অনেক ভূমিকা পালন করে। প্রতি ১০০ গ্রাম নারিকেলে আছে ৩৫৪ ক্যালোরি, ৩৩গ্রাম ফ্যাট, ২০ মিঃ সোডিয়াম, ৩৫৬ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ৩.৩ গ্রাম প্রোটিন।
এছাড়াও ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আইরন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি-৬ ও বি-১২ আছে। নারিকেল সাজ বের করার জন্য নারিকেলের ওপরের থাকা খোসা পেলে ভেতরের অংশ বের করতে হয়। এরপর নারিকেল খুব সহজে ফাটিয়ে ভিতরে থাকা পানি ও শ্বাস খাওয়া যায়। নারিকেলের শাঁস খেতে অনেকেই খুব পছন্দ করেন শ্বাস অনেকটাই মিষ্টি হওয়ার কারণে অনেকের কাছে এটি অনেক প্রিয়।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ শরীরের জন্য যতটুকু ক্যালরির দরকার এর ১০ ভাগের এক ভাগ নারিকেল খেয়ে পূরণ করতে পারেন। যেহেতু প্রতি ১০০ গ্রাম নারিকেলে ৩৫৪ ক্যালোরি থাকে তাই নারিকেলে আবার খুব বেশি খাওয়া ঠিক নয়। সে অনুযায়ী কারো যদি এক হাজার ৫০০ ক্যালোরির দরকার হয় তবে ১৫০ ক্যালোরি নারকেল থেকে নিতে পারেন।
নারিকেল শ্বাসের উপকারিতাঃ
আমাদের আর্টিকেলের আজকের এই পর্বে আমরা আপনাদের জানাবো নারিকেল শাশের উপকারিতা সম্পর্কে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক নারিকেল শ্বাসের উপকারিতা গুলো-
ফাইবারের উৎসের খনি বলা চলে নারিকেলের শাসকে। ১০ গ্রাম শাশে গমের চেয়েও বেশি ফাইবার থাকে ফাইবার আমাদের হজম শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
সাথে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমায়। যার কারণে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের নারিকেলের পানীয় শ্বাস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া পটাশিয়াম আমাদের দেহে পানি ও সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই ব্যায়াম করার আগে ও পরে অনেকে এটি খেয়ে থাকে।
উপসংহারঃ নারিকেলের উপকারিতা ও অপকারিতা - নারিকেল শ্বাসের যত উপকারিতা
পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, আপনারা যারা আমাদের আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন নারিকেলের উপকারিতা ও অপকারিতা - নারিকেল শ্বাসের যত উপকারিতা সম্পর্কে। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এবং আমাদের আর্টিকেলের মাঝে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে।
তবে আপনার মহামূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাবেন যাতে করে আমরা সেই ভুলগুলো সংশোধন করতে পারি। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url