ছেলেদের বীর্য কত বছর বয়স থেকে তৈরি হয়

 প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম, আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন ছেলেদের বীর্য কত বছর বয়স থেকে তৈরি হয়। তবে আজকে আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য। মানুষ ভেদে তা কিছুটা আলাদা আলাদা হতে পারে তবে সাধারণভাবে ১০ থেকে ১২ বছর বয়সে বয়ঃসন্দে শুরু হয়। তাই ধরে নেওয়া যেতে পারে মোটামুটি ওই বয়স থেকেই পুরুষদের বীর্য তৈরি হতে শুরু করে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক ছেলেদের বীর্য কত বছর বয়স থেকে তৈরি হয়।

ছেলেদের বীর্য কত বছর বয়স থেকে তৈরি হয়

ছেলেদের যখন বয়সন্ধি শুরু হয় তখন অন্ডকোষ বড় হয়ে ওঠে। তার মানে এই সময় মস্তিষ্ক অন্ডকোষকে সংকেত পাঠায় যে সে যেন বীর্য তৈরীর প্রস্তুতি নেয়। সংকেতের সূত্র ধরে অণ্ডকোষ ধীরে ধীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন উৎপাদন শুরু করে।

পেজ সূচিপত্রঃ ছেলেদের বীর্য কত বছর বয়স থেকে তৈরি হয়

ভূমিকাঃ

বয়সন্ধিক যখন সূত্র পাত ঘটে তখন একজন পুরুষের অন্ডকোষ বড় হয়ে যায় তার মানে তখন আপনার মস্তিষ্ক কে সংকেত দেয় যে সে যেন এখন প্রস্তুতি নেয় যে তার বীর্য তৈরি হতে চলেছে এবং সেই সংখ্যাটির সূত্র দ্বারা বজায় রেখে অন্ডকোষ আস্তে আস্তে টেস্টার অন হরমোন মানবদেহে উৎপন্ন শুরু করে। 

আরো পড়ুনঃ কিশোর কিশোরীদের বয়সন্ধিকাল কখন আসে

আর এই হরমোনের প্রভাবে শরীরের উপর এবং ভেতরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখা দেয় শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনের নয় বরং এর পাশাপাশি একজন পুরুষের দেহে পুরুষত্বের রূপান্তর ঘটতে থাকে। আজকে আমাদের আর্টিকেলের আজকের পর্বে আমরা আপনাদের জানাবো ছেলেদের বীর্য কত বছর বয়স থেকে তৈরি হয়।

ছেলেদের বীর্য তৈরির বয়সঃ

মানুষ ভেবে তাকে ছোট আলাদা আলাদা হতে পারে। তবে সাধারণভাবে ১০ থেকে ১২ বছর বয়সে বয়সন্ধি শুরু হয়। তাই ধরে নেওয়া যেতে পারে মোটামুটি ওই বয়স থেকেই পুরুষদের বীর্য তৈরি হতে শুরু করে। তাই ধরে নেওয়া যেতে পারে মোটামুটি ওই বয়স থেকে এই পুরুষদের বিদ্যুৎ তৈরি হতে শুরু করে। তবে আবারো বলছি মানুষ ভেদে এই বয়স আরো কিছু কম বা আরো কিছু বেশি বয়সেও হতে পারে।

বয়সন্ধিক সূত্রপাত হলো অন্ডকোষ বড় হয়ে ওঠে। তার মানে এই সময় মস্তিষ্ক অন্ডকোষকে সংকেত পাঠায় যে সে যেন বিদ্যু তৈরীর প্রস্তুতি নেই। সংকেতের সূত্র ধরে অন্য কোষ ধীরে ধীরে টেস্টারন হরমোন উৎপাদন শুরু করে। এই হরমোনের প্রভাবে শরীরের ভেতরে ও বাইরে নানা পরিবর্তন শুরু হয়। অন্ডকোষের অভ্যন্তরে বীর্য উৎপাদনের পাশাপাশি এই সময় একটি বালকের পুরুষের রূপান্তরিত ঘটতে থাকে। যৌনাঙ্গের কাছে লোম হতে দেখা যায়।

মনে রাখতে হবে একজন পুরুষ যৌন উত্তেজনা চরম মুহূর্তে যে পরিমাণ করে তার মধ্যে মাত্র ৩% থেকে ৫% শুক্রাণু থাকে। বাকি অংশ হল সংলগ্ন প্লান্ট থেকে নিশ্চিত হওয়া তরল। এদের মিশ্রণকে সিমেন্ট বা বীর্য বলে। বয়সন্ধিক শুরু হওয়ার পর মোটামুটি এক বছরের মধ্যে কোন বালকের প্রথম বিশ্বস্তনের সম্ভাবনা থাকে। তবে প্রথম দিকের ইস্থলনের সাধারণত কোন শুক্রাণু থাকে না বা থাকলেও কিছু অপরাজিত শুক্রানু থাকে। পরবর্তী সময়কালে বীর্যের পরিমাণ বাড়ে এবং তাতে পরিপুষ্ট স্প্যাম।।উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

বীর্য দেরিতে ফেলার ঘরোয়া উপায়ঃ

দ্রুত বীর্যপাত জনিত সমস্যা এখন একটি কমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে পুরুষদের এখন দ্রুত বীর্যপাত জনিত সমস্যা রয়েছে যে কারণে সঙ্গে কে পরিপূর্ণভাবে জনশক্তি দিতে পারে না। আপনারা যদি দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা থেকে থাকে বা এ সংক্রান্ত কোনো সমস্যার জন্য আপনার সঙ্গে পরিপূর্ণভাবে খুশি করতে না পারেন তাহলে অবশ্যই আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

দ্রুত বীর্যপাত জনিত সমস্যা হওয়ার প্রধান কারণ হতে পারে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করা। আপনি যদি মাত্র অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে থাকেন তাহলে আপনার দ্রুত বীর্যপাত করার অভ্যাস হয়ে যাবে। যেটা আপনি যখন আপনার সঙ্গে সাথে সহবাস করবেন বা মিলন করবেন তখন এই অভ্যাসটি থেকে যাবে। যে কারণে আপনি আপনার সঙ্গে গিয়ে পরিপূর্ণভাবে যৌন সুখ দিতে পারবেন না। 

কারণ আপনার হস্তমৈথুনের কারণে যতদ্রুত সম্ভব বীর্যপাত করার একটি অভ্যাস হয়ে যায় যে অভ্যাসটি আপনি সহবাসের সময় আর কন্ট্রোলে রাখতে পারবেন না তাই আপনার যদি দ্রুত বীর্যপাত জনিত সমস্যা থেকে থাকে তার অন্যতম একটু কারণ হতে পারে মাত্র অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করা। চলুন নিম্নে জেনে নেই বীর্য দেরিতে ফেলার ঘরোয়া উপায়-

  • দ্রুত বীর্যপাত রোধে কম কলেস্টেরল ও কম চিনি সমৃদ্ধ খাবার খান।
  • প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় এক কাপ গরম দুধের সাথে দশটি বাদাম (পানিতে ভিজিয়ে রাখা) জাফরান এক চিমটি আদা ও এক চিমটি এলাচ মিশিয়ে খান।
  • যৌন জীবনকে উপভোগ করতে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান।

বীর্য শব্দের অর্থ কিঃ

বীর্য একপ্রকার জৈবিক তরল যা যৌন সঙ্গমের শেষ পর্যায়ে চরম শুকানো বৃত্তির সৃষ্টির সঙ্গে পুরুষাঙ্গ হতে নিঃসৃত হয়। শুক্রাণু সমৃদ্ধ পুরুষের বীজ যে নারীর ডিম্ব নিষিদ্ধ হলে জড়ায়ুতে মানব ব্রণের সৃষ্টি হয়। কেবল যৌন সংঘব নয়, জোরানন্দ লাভের জন্য হস্তমৈথুনের মাধ্যমে ও বীর্যস্থোলন করা হয়ে থাকে। এছাড়া স্বপ্নদোষের মাধ্যমে বীর্যপাত হয়ে থাকে। বীর্য না নামে পরিচিত যার মধ্যে রয়েছে শুক্র, ধাতু, বীর্য রস ইত্যাদি।

বীর্য একপ্রকার অঘনিভৃত ইসক ক্ষারীয় আঠালো জেলির ন্যায় জৈব তরজা সাধারণত স্প্যাম্পটুজুয়া ধারন ক্ষমতার রাখে। এটি সাধারণত কোন জীব প্রজাদের পুরুষ কিংবা উভলিঙ্গ প্রাণীর অন্ডকোষ থেকে উৎপন্ন হয় এবং ওই প্রজাতির স্ত্রীলিঙ্গের প্রাণীর জড়াতে সৃষ্টি হওয়া ডিম্বানু নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে। মানুষের ক্ষেত্রে উপাদানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এসব উপাদানের মধ্যে প্রটি ওলাইটিক ও অন্যান্য এনজাইম এবং ফ্লুকটজের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য।

শ্রেণীচকরা অবস্থিত সেমিনাল বেসিকল নামক অঙ্গ থেকে বীর্য উৎপন্ন হয়। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বীর্য নিঃসরণ ঘটে তাকে বীর্যপাত বলে। এছাড়াও বংশগতির উপাদান হিসেবে বীর্যের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন প্রজাতি কিংবা সংকর জাত প্রজাতির সংরক্ষণের জন্য ক্রায়োকনজার্ভেশন প্রক্রিয়ায় তাদের বীর্য সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। এ ধরনের চর্চা কে জীবজন্তুর বংশগতির সম্পদ সংরক্ষণ বলা হয়ে থাকে। 

আরো পড়ুনঃ লিঙ্গ বড় করার উপায় - স্থায়ীভাবে পুরুষাঙ্গ বৃদ্ধির উপায়

কি খেলে বীর্য তৈরি হয়ঃ

ছেলেদের পিক চেয়ে ঘাটতি থাকলে যৌন জীবনের সুখেই যে শুধু ব্যাহত হয় তা নয় একই সঙ্গে সন্তান উৎপাদনের পথেও সমস্যা তৈরি হয়। তবে বীর্যের সমস্যা সহজেই দূর করা যায়। এর জন্য ভরসা রাখুন কয়েকটি খাবারে চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক সেই খাবারগুলো কি।

রসুনঃ

রসুনের সেলেনিয়াম নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা বীর্যের সক্রিয়তা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও রসুন এ রয়েছে আলীকিন যা যৌনাঙ্গ রক্ত চলাচল বাড়িয়ে উঠতে পড়া সৃষ্টি করে। একই সঙ্গে বীর্যের পরিমাণও বাড়ায়। সেজন্য আপনারা যারা এই সমস্যায় ভুগছেন তারা রসুন খেতে পারেন।

তৈলাক্ত মাছঃ

তৈলাক্ত মাসে ওমেগা ৩ ফাটি এসিড থাকে। এটি বীর্যের গুণ বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে ওমেগাতিন ফ্যাটি এসিরযুক্ত মাছ খেলে বীর্যের গুণ ও পরিমান দুই বাড়ে। তাছাড়া এটি মস্তিষ্কের যৌন উদ্দীপনার অনুভূতি জাগিয়ে তোলে।

লেবু জাতীয় ফলঃ

লেবু জাতীয় ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এই অক্সিডেন্ট পুরুষের বীর্যের মান উন্নত করে। লেবু আঙ্গুরের রস এই সমস্যায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

কলাঃ

অতি পরিচিত ও সহজলভ্য এই ফলটি বীর্যের শুক্রানুর পরিমাণ অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। কলাতে বোমে নাইল নামের বিশেষ এক ধরনের উৎসেচক রয়েছে। এটি যৌন উদ্দীপক হরমোন গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে।

ড্রাক চকলেটঃ

এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা যৌন উদ্দীপনা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও ডাক চকলেট  আছে এল আর্জিনিন এইচ সি এল ও এমিনো এসিড। এই উপাদান গুলো বীর্যের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়।

আরো পড়ুনঃ জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটা ভালো - প্রাকৃতিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

উপসংহারঃ ছেলেদের বীর্য কত বছর বয়স থেকে তৈরি হয়

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন ছেলেদের বীর্য কত বছর বয়স থেকে তৈরি হয়। আপনারা যদি এটা পড়ে উপকৃত হন তবে আমাদের লেখা সার্থক হবে। আমাদের লেখার ভেতর যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তবে আপনার মহামূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাবেন, যাতে করে আমরা সেই ভুলগুলো সংশোধন করতে পারি।

এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থেকে ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url