পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ - এর চিকিৎসা ও প্রতিকার

 আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক আপনারা যারা আজকে জানতে চেয়েছেন পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ - এর চিকিৎসা প্রতিকার সম্পর্কে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। বর্তমান সময়ে নখের কুনি ভেতরের দিকে মাংসের বা তোকে দেবে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে । কোন কারনে পায়ে রক্ত চলাচল কমে গেলে পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের করি রোগ হয়ে থাকে। চলুন আমরা নিম্নে জেনে নেই পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কোন রোগ - এর চিকিৎসা ও প্রতিকার।

পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ - এর চিকিৎসা ও প্রতিকার

সাধারণত অতিরিক্ত আটোসাটা জুতা পরা, নখের আঘাত, সংক্রমণ, খুব গভীর করে নখ কাটা, খোঁচাখুঁচি ইত্যাদি কারণে পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ হয়ে থাকে। এর চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে আমাদের সকলের জানা দরকার কারণ এই সংক্রমণটা হলে এর ভিতরে পুজো হতে পারে। চলুন আমরা নিম্নে জেনে নেই পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ - এর চিকিৎসা ও প্রতিকার।

পেজ সূচিপত্রঃ পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ - এর চিকিৎসা ও প্রতিকার

ভূমিকাঃ

শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গুলির মধ্যে নখ একটি সৌন্দর্য পরিচর্যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে আমরা যদি নক পরিষ্কার যায় ঠিকমতো না করি তাহলে এ রোগের সৃষ্টি হয়। যেসব লোকেরা সারাক্ষণ পানিতে ভিজে পরিশ্রম করে তারাই এ রোগের ঝুঁকিতে বেশি থাকে বিশেষ করে কাদা লোকের ভিতরে ঢুকে এটা হয়ে থাকে। এছাড়াও আমাদের মধ্যে যারা নিয়মিত নখ পরিষ্কার করে না।

আরো পড়ুনঃ দাদ ও চুলকানি কেন হয় - দাদ ও চুলকানির ঘরোয়া চিকিৎসা

 তারাও কিন্তু এই রোগে আক্রান্ত হই যেমন নখ কুনি হওয়ার আগেই আপনি বুঝতে পারবেন যে এই রোগটি হতে চলেছে। প্রথমে আপনার নখের পাশ দিয়ে ফুলে গিয়ে সে অংশটি লাল হয়ে যাবে। সেখান থেকে পুঁজ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। সেজন্য আমাদের আর্টিকেলের আজকের পর্বে আমরা আপনাদের জানাবো পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ - এর চিকিৎসা ও প্রতিকার। চলুন নিম্নে বিস্তারিতভাবে জেনে নেই।

কুনি রোগ কেন হয়ঃ

নখ কনি হাতেও পায়ের নখের কোনে হয়। এর জন্য নখের চারদিকে ফুলে লাল হয়ে যায় এমনকি যন্ত্রণা বা ব্যথা হয়। সাধারণত অতিরিক্ত আটোসাটো জুতা পরা নখে আঘাত সংক্রমণ খুব গভীর করে নখ কাটা ইত্যাদি কারণে এমনটা হয়। আমাদের অনেক সময় নখ কাটতে গেলে নখের চারপাশে কোন স্থানে কেটে গেলে ভুল ভাবে নখ কাটলে পায়ের থেকে ছোট জুতা পরা এবং পেডিকিওর করতে গিয়ে ক্ষত হলে সেই স্থানে ব্যাকটেরিয়ার ফলে নখ কুনি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

কুনি রোগের চিকিৎসাঃ

নখের এই ইনফেকশনের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসায় আপনি ব্যবহার করতে পারেন ডারমা সিম(সমাধানঃ ক্লটিমাজল ১ % ট্রপিক্যাল) সালসন, নখের তিন পাশে দুই ফোটা করে পাঁচ বার ব্যবহার করতে পারেন। ফাংগাল বিরোধী লোক না জল জাতীয় ক্যাপসুল, ৫০ মিগ্রো গ্রুপ একবার ৫-৭ দিন যেতে পারেন। ফাংগাল বিরোধী ফ্লোকানো জল জাতীয় ক্যাপসুল,৫০ মিগ্রো গ্রুপ একবার পাঁচ থেকে সাত দিন যেতে পারেন। তবে তা অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে শ্রবণ করতে বা ব্যবহার করতে হবে।

কুনি রোগ এর প্রতিকারঃ

আপনি যদি কুনি রোগের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে আমাদের আর্টিকেলের এই পর্ব টি আপনার জন্য। আমাদের আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনি কুনি রোগের প্রতিকার সম্পর্কে জানতে পারবেন। জেনে নেওয়া যাকর কুনি রোগের প্রতিকার গুলো-

আরো পড়ুনঃ মাথায় টাক পড়ার কারণ - ছেলেদের মাথায় টাক পড়ে কেন

  • অতিরিক্ত আটোসাটা জুতা পড়বেননা, স্পেস আছে বা একটু আরামদায়ক জুতা পড়বেন।
  • আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগী হন তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
  • যাদের নখের কোনা দেবে যাওয়ার প্রবণতা আছে তারা জুতার ভেতরে প্র্যাকটিস ফুট ওয়ার পড়তে পারেন।
  • নখ ও আঙ্গুলের  মাঝেমধ্যে পরীক্ষা করুন। কোন রং পরিবর্তন বা ফোলা দেখলে বা ব্যাথা থাকলে সতর্ক হোন।
  • পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি যখন কাটবেন তখন খুব গভীরে গিয়ে খুব গভীর করে নখ কাটবেন না।
নে রাখবেন,

নখের কোনা দেবে যাওয়ার বেশ কষ্টকর একটি সমস্যা। ও সংক্রমণ বাড়লে বিপদ হতে পারে। নিয়মিত পায়ের যত্ন নেবেন ও পায়ের যে কোন সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসক এর কাছে যাবেন। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক কোনি রোগের ঘরোয়া আরো কিছু প্রতিকার সম্পর্কে-
সাদা ভিনেগারঃ
দুই কাপ উষ্ণ গরম পানিতে এক কাপ সাদা ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এই ভিনেগার মেশানো পানিতে মিনিট ১৫ আক্রান্ত আঙ্গুলটি ঢুকিয়ে রাখুন। এরপরে একটা শুকনো কাপড় দিয়ে পায়ের মুছে নিন মুছে নিন।
টি ট্রি অয়েলঃ
১  চামস নারিকেল তেল দুই থেকে তিন ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মেশিয়ে নিন। এই তেল তুলা দিয়ে নখকুনি আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে মিনিট দশেক রেখে দিন। দিনের মধ্যে ২-৩ বার এমনটা করতে পারলে দ্রুত সেরে যাবে আপনার পায়ের কুনি।
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারঃ
দুই কোম্পানির সঙ্গে দুই কাপ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে ওই মিশ্রণে ৩০ মিনিট আক্রান্ত আঙ্গুলটি ডুবিয়ে রাখুন। এরপর আঙ্গুল ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। দুই তিন দিনের মধ্যে সেরে যাবে।
পাতি লেবুর রসঃ
 জায়গায় দুই এক ফোঁটা পাতিলে রস লাগান। ২৫ থেকে ৩০ মিনিট রেখে উষ্ণ গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। যতদিন এই রোগটি না সারছে, ততদিন এ পদ্ধতি মেনে চলুন উপকার পাবেন।

উপসংহারঃ পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ - এর চিকিৎসা ও প্রতিকার

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, কোথা থেকে এলে ভালো করে হাত এবং পা ধুয়ে মুছু্‌ন, কখনোই নখের কোণে কিছু দিয়ে খোঁচাবেন না সব সময় মজা বা টাইট জুতো পড়বেন না, ঠিক ভাবে নখ কাটবেন বাড়িতে নক পরিষ্কার করুন নখ কাটলে লক্ষ্য করে কাটবেন। 

আরো পড়ুনঃ ব্রণ কেন হয় - ব্রণ দূর করার উপায়

এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url