পরিবেশ বান্ধব লাকড়ি চুলার উপকারিতা

 আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকে আমাদের আটকেলে আমরা আপনাদের জানাবো  পরিবেশ বান্ধব লাকড়ি চুলার উপকারিতা। বর্তমানে প্রতিবছর ৫০ হাজার নারী ও শিশুর রান্নাঘরের দুয়া জনিত রোগে মৃত্যুবরণ করছে। এর মধ্যে প্রায় ৩২ হাজার শিশু ও ১৮ হাজার নারী। সেজন্য রান্নাঘরের ধোঁয়া থেকে বাঁচতে আপনি আপনার রান্নাঘরে পরিবেশবান্ধব লাকড়ি চুলার ব্যবহার করতে পারেন। চলুন নিম্নে বিস্তারিতভাবে জেনে নেই পরিবেশবান্ধব লাকড়ি চুলার উপকারিতা।

পরিবেশ বান্ধব লাকড়ি চুলার উপকারিতা
বাংলাদেশের নারী ও শিশুদের একটা বড় সময় রান্নাঘরে কাটাতে হয়। গ্রামের সাধারণত তিন বেলা রান্না হয়। মা রান্নাঘরে থাকেন তার সঙ্গে ছোট শিশুরাও থাকে এর ফলে মা ও শিশুরা শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনি আপনার রান্নার কাজে চুলার ব্যবহার করতে পারেন। এটা ধোয়া বিহীন একটি চুলা।

পেজ সূচিপত্রঃ পরিবেশ বান্ধব লাকড়ি চুলার উপকারিতা

ভূমিকাঃ

আমাদের গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ নারী গড়ে প্রতিদিন ৫ ঘন্টা রান্নাঘরে থাকেন। এভাবে প্রতিনিয়ত দূষিত বায়ু গ্রহণ করার ফলে তারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এটা ছাড়াও অভ্যন্তরীণ বায়ু দূষণের ৩৪% স্ট্রোক, ২৬ শতাংশ হৃদরোগ, ২২ শতাংশ শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা হাঁপানি ও ৬ শতাংশ লাং ডিজিজ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় হতে পারে পরিবেশবান্ধব লাকড়ি চুলা। কারণ এটা ধোয়াবিহীন একটি চুলা।
পরিবেশবান্ধব লাকড়ি চুলা ব্যবহারে কাঠ ও জ্বালানি কম লাগে। বছরে ১৫০ কোটি মন জ্বালানি কাঠ লাগে অন্যান্য চুলায় রান্না করতে গেলে। কিন্তু এই উন্নত চুলায় ৭০ কোটি মন এর ও কম কাঠ লাগবে পরিবেশবান্ধব লাকড়ি চুলায় রান্না করলে। এতে দেশের বনভূমি গাছপালা রক্ষা পাবে।
আমাদের আজকের আর্টিকেলের এই পর্বে আমি আপনাদের জানাবো পরিবেশবান্ধব লাকড়ি চুলার উপকারিতা সম্পর্কে। আপনারা যদি আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে নিশ্চয়ই জানতে পারবেন পরিবেশবান্ধব লাকড়ি চুলার উপকারিতা গুলো। এলাকার মানুষ যাতে এটা ব্যবহার করে সে ক্ষেত্রে উদ্যোগ নিতে পারি মানুষ যেন প্রচলিত চুলা ব্যবহারের পুরনো অভ্যাস পরিবর্তন করে সে ব্যাপারে কাজ করতে হবে।
রান্নার কাজটি বেশিরভাগ মায়েরাই করে তারা এটাকে তাদের ক্ষমতায়ন মনে করেন। তাদের অভ্যাস পরিবর্তন করা কিছুটা কঠিন। আমাদের আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা সবসময় নতুন কিছু করতে চাই যার মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হতে পারেন, সেজন্য পরিবেশবান্ধব লাকড়ি চুলা ব্যবহারে যেমন রান্না করতে সময় কম লাগে তেমনি এটাতে জ্বালানি কাঠ ও কম লাগে। এবং এই চুলা ধোঁয়া বিহীন একটি চুলা। সেজন্য আমাদের আর্টিকেল এর মাধ্যমে সচেতন করতে চাই যাতে করে আপনারা এই চুলা ব্যবহার করে উপকৃত হন। 

লাকড়ি চুলার উপকারিতাঃ

 পরিবার পর্যায়ে বা রান্নার কাজে ব্যবহারের জন্য ধোয়ায় আক্রান্ত হওয়া একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে পরিবেশ বান্ধব লাকড়ি চুলা ব্যবহার করুন। এই চুলা ব্যবহারে একদিকে যেমন আপনার স্বাস্থ্যের সুরক্ষা হবে অন্যদিকে জ্বালানি কাঠ কম লাগবে। চলুন নিম্নে বিস্তারিতভাবে জেনে নেই লাকড়ি চুলার উপকারিতা গুলো-
এই চুলার আগুনের তাপ অনেক এই চুলার নাম হল আধুনিক লাকড়ি চুলা। বর্তমানে আমাদের সকলের ঘরেই প্রায় কম বেশি সিলিন্ডার রয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডার বাসায় রাখা আমরা জারুরি মনে করি তাদের জন্য এই চুল অত্যন্ত কার্যকরী। আকর্ষণীয় ব্যাপার হল এই জুলাই জ্বালানি খরচ খুবই কম। গ্রাম অঞ্চলে যে মাটির চুলা গুলো থাকে সেগুলোতে লাকড়ির প্রয়োজন হয় খুব বেশি।
অপরদিকে এলাকায় চোলা ব্যবহারের ফলে লাকড়ির প্রয়োজন খুবই সামান্য এবং এই চুলা আপনি বাড়ির যে কোন জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন কারণ এই চুলায় দোয়া কালী কোনটাই নেই। ব্যবহার করা হয় অক্সিজেন আপনি যদি সারা মাসে চলা ব্যবহার করে থাকেন তবে খুব বেশি বিদ্যুৎ বিল হবে না কারণ এই চুলায় একটি ছোট ফ্যান রয়েছে যার ফলে মাসে প্রায় ১০ থেকে ১৫ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে।
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আপনারা যারা এই চুলাটি নিতে চান তারা নিম্নের নাম্বারে যোগাযোগ করে চুলাটি নিতে পারেন- ০১৭২২৫২৬৮৪৩ অথবা ০১৭৯৬২৯১১৬৮
এই চুলায় অল্প পরিমাণ লাকড়ি দিলে বেশি পরিমাণ আগুন জ্বলবে এই চুলাতে। স্টিলের তৈরি সেজন্য মরিচা পড়তে পারেনা। এই চুলাটিতে যে ফ্যান লাগানো রয়েছে সেটি ব্যবহারে বিদ্যুৎ বিল মাসে ১০ থেকে ১৫ টাকা আসতে পারে। এই চুলাটিতে রান্না করার সময় যদি বিদ্যুৎ চলে যায় তবে ব্যাটারির সাহায্যে চুলাটিতে রান্না করতে পারবেন। কারণ এই চুলার সাথে আমরা একটা চার্জার ব্যাটারি দিয়ে থাকি এবং কার্বন নিঃসরণের ফলে কোন ক্ষতি হয় না।
আরো পড়ুনঃ ত্রিফলা খেলে কি হয় - ত্রিফলা ফালার ঔষধি গুন
সারাদেশে আমাদের হোম ডেলিভারি সার্ভিস রয়েছে। আপনারা বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে এই চুলাটি নিতে পারবেন উপরে দেয়া নাম্বারে যোগাযোগের মাধ্যমে।

লাকড়ি চুলা ব্যবহারের নিয়মঃ

  • প্রথমে কুলিং ফ্যানটিতে চার্জার লাগিয়ে মাল্টিপ্লাগে লাগাতে হবে ভালোভাবে।
  • এরপরে চেম্বার এর ভেতর ছোট ছোট লাকড়ির টুকরো দিতে হবে।
  • এরপরে যে কোন কিছুর সাহায্যে আগুন ধরিয়ে দিতে হবে লাকড়ির ওপর।
  • এরপরে প্যানেল সুইচটা ওকে করে তারপরে ফ্যানের কভার টা লাগিয়ে দিতে হবে যাতে করে হালকা করে বাতাস ভিতরে যায়।
  • আপনার রান্না সময় যদি আগুনের হিট বেশি দরকার হয় তবে ফ্যানের কভার টা খুলে দেবেন।
  • আর যদি আগুনের তাপ অল্প লাগে তবে ফ্যানের কভার টা অল্প লাগিয়ে দিন।
  • বিভিন্ন রান্নায় বিভিন্ন রকম তাপ লাগে সেজন্য ফ্যানের কভার টা বেশি রান্নার সময় বেশি তাপের প্রয়োজন তখন ফ্যানের কভার টা খুলে রেখে দেবেন। আর যখন অল্প রান্নার প্রয়োজন তখন ফ্যানের কভার টা অল্প লাগিয়ে দেবেন।

উপসংহারঃ পরিবেশ বান্ধব লাকড়ি চুলার উপকারিতা

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, আপনারা যারা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন পরিবেশবান্ধব লাকড়ি চলার উপকারিতা সম্পর্কে। এবং এই চুলার নানারকম উপকারিতা সম্পর্কে। আপনারা যারা এই চুলা নিতে চান তারা উপরে দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করে নিতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হন এবং আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url