রিকেটস রোগের কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার

 আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা যারা আজকে জানতে চেয়েছেন নিকট ওস রোগের কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য।কারণ হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন টি না থাকলে হাড় এবং দাঁতের সঠিক ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস মাত্রা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে যা রিকেটস রোগের অন্যতম কারণ। সেজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো রিকেটস রোগের কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে নিম্নে জেনে নেওয়া যাক,রিকেটস রোগের কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার।

রিকেটস রোগের কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার
সাধারণত শিশুদের দীর্ঘকাল ধরে ভিটামিন ডি এর অভাবে রিকেটেস রোগ হয়ে থাকে। ভিটামিন ডি আপনার সন্তানের শরীরে খাদ্য থেকে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস শোষণ করতে সাহায্য করে। রিকেটস শিশুদের মধ্যে দেখা যাওয়া ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত একপ্রকার হাড়ের অসুখ।

পেজ সূচিপত্রঃ রিকেটস রোগের কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার

ভূমিকাঃ

রিকেটস রোগের কারণে শিশুদের হার নরম এবং দুর্বল হয়ে যায়। সাধারণত দীর্ঘকাল ধরে ভিটামিন ডি এর অভাবের কারণে এ রোগটি হয়ে থাকে শিশুদের। যখন দেখবেন রিকেটস আপনার শিশুর ভিটামিন ডি ছাড়া অন্য কারণে হচ্ছে তখন আপনার সন্তানের অতিরিক্ত ওষুধ বা অন্যান্য চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটাই অস্টিওম্যালাসিয়া নামে পরিচিত। রিকেটস এর ফলে শিশুদের হাড়ের বিকাশ সঠিকভাবে সম্পূর্ণ হয় না যার কারণে হাড়ের ব্যথা অনুভূত হয়, স্বল্পবৃদ্ধি এবং হাড় নরম ও দুর্বল হয়ে যায় যার জন্য হাড়ের বিকৃতি দেখা দেয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি না থাকলে হাড় এবং দাঁতের সঠিক ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস মাত্রা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে যার রিকেটস রোগের অন্যতম কারণ।

রিকেটস রোগের কারণঃ

ভিটামিন ডি শিশুদের শরীরের খাদ্য থেকে ক্যালসিয়াম এবং ফসকরা শোষণে সাহায্য করে। শিশুদের শরীরে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি না থাকলে তবে রিকেটস রোগ হতে পারে। চলে জেনে নেই রিকেটস রোগের কারণ গুলো-
  • ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের অভাব।(প্রধান কারণ )
  • পুষ্টির অভাব।
  • ভিটামিন ডি এর শোষণে অক্ষমতা।
  • সূর্য রশ্মিতে ত্বকের অপর্যাপ্ত প্রকাশ।
  • গর্ভাবস্থা।
  • স্থূলতা।
  • কিডনি এবং লিভার রোগ।
  • সময়ের আগে বাচ্চা হয়ে যাওয়া।
  • নির্দিষ্ট কিছু অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ওষুধ।
  • খনিস করণের ত্রুটি ভিটামিন ডি থেকে বিচ্ছিন্ন অথবা দ্বিতীয় পর্যায় ভুক্ত ঘাটতি বৃদ্ধির প্লেটের নিচে হাড়ের কোষে অস্টিওড সঞ্চয় করে যার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের পর হাড় দুর্বল হয়ে যায় এবং বেঁকে যায়।

রিকেটস রোগের লক্ষণঃ

আপনার শিশুর শরীরে যখন রিকেটস রোগ দেখা দিবে তখন নানা রকম লক্ষণ দেখা যেতে পারে শিশুর শরীরে। চলুন নিম্নে জেনে নেই এ রোগের লক্ষণগুলো কি কি-
  • শিশুদের বৃদ্ধির হার খুবই কম হয়।
  • অস্থিসন্ধি সন্ধি দুর্বল হয়ে যায়।
  • শিশুর পায়ের হাড় গুলো বেঁকে যায়।
  • মাড়ির গঠন গুলো সঠিক হয় না।
  • আর ও দাঁত ভঙ্গুর প্রকৃতির হয়।।
  • রিকেটের ফলে শিশুদের একটি হাড়ের প্রান্তে ক্রমবর্ধমান কলার অঞ্চলগুলি নরম হয়ে যায়।
  • শিশুরা পায়ে ব্যথা অনুভূত করে।
যেসব শিশুরা মায়ের বুকের দুধ পান করে তারা এ রোগে আক্রান্ত বেশি হয়। কারণ মা যদি পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পান না করে সে ক্ষেত্রে সে মায়ের স্তন পান করা শিশুর মধ্যে এ রোগ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও যেসব শিশু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জন্মগ্রহণ করে সেসব শিশুদের রিকেটস রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে।
আবার যেসব শিশুরা সূর্যের আলো বাতাস পায় না তাদের মধ্যে এ রোগ দেখা দিতে পারে। আপনার শিশুর বন্য যদি দিনে দিনে কালো হয়ে উঠতে থাকে তবে এটা ক্রিকেটেস্ট রোগের লক্ষণ। কারণ যখন শিশুর ত্বক কালো বর্ণের হয়ে ওঠে তখন ভিটামিন ডি তৈরি করার জন্য সূর্যের রষ্ণী পর্যাপ্ত পরিমাণে শোষণ করতে পারে না সে ক্ষেত্রে শিশুদের এ রোগের প্রবণতা বেশি হয়।

রিকেটস রোগের চিকিৎসাঃ

ক্রিকেটার আক্রান্ত শিশুদের সাধারণত ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট দিয়ে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। সেজন্য আপনাকে আপনার সন্তানের ডাক্তারের নির্দেশনাবলি অনুসরণ করতে হবে। ডাক্তার বাবু যে অনুযায়ী ঔষধ খেতে দিবেন সেই অনুযায়ী ঔষধ খাওয়াতে হবে শিশুকে। এবং শিশু যাতে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পায় সে ব্যবস্থা করতে হবে আপনাকে। 
মনে রাখবেন অত্যাধিক ভিটামিন ডি ক্ষতিকারক হতে পারে আপনার শিশুর জন্য সেজন্য ডাক্তার এক্সরে এবং রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে আপনার সন্তানের অগ্রগতি নিরীক্ষা করবেন। শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণত দুর্বলতা বা ব্যথার মধ্যে বেশিরভাগ উপসর্গ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কমে যায়। ভিটামিন ডি এর ঘাটতিও ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে পূরণ হয়ে যায়।
শিশুদের ক্ষেত্রে এ রোগের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে পুষ্টি জনিত রিকেটস চিকিৎসা কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। আপনার শিশুর শরীরে রিকেটস হয়েছে কিনা সেটা জানার জন্য নিম্নের টেস্টগুলো শিশুর করিয়ে নেবেন-
  • এক্স - রে
  • প্রস্রাব পরীক্ষা।
  • রক্ত পরীক্ষা।
  • উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জেনেটিক পরীক্ষা।
  • হাড়ের বায়ুপ পড়শী খুবই কম করা হয়।

রিকেটস রোগের প্রতিকারঃ

আপনার শিশুর শরীর থেকে যদি রিটাস রোগ প্রতিরোধ করতে চান তবে আপনাকে প্রথমে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করতে হবে। আর vitamin  ডি এরঘাটতি পূরণ করতে পারে সূর্য রোশনি বা সূর্যের আলো। সেজন্য আপনার শিশুকে পর্যাপ্ত আলো বাতাস যুক্ত ঘরে রাখার চেষ্টা করুন। বেশিরভাগ ঋতুতে মধ্যাহ্নের কাছাকাছি সময়ের সূর্যের আলোয় ১০ থেকে ১৫ মিনিট উপযুক্ত থাকায় যথেষ্ট তবে আপনার শরিরের বর্ণ যদি কালো হয় কিংবা যদি শীতকাল হয় অথবা আপনি যদি উত্তর অক্ষাংশে থাকেন তাহলে আপনি সূর্যের এক্সপোজার থেকে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পেতে সক্ষম হবেন।
ক্রিকেট প্রতিরোধ করার জন্য নিশ্চিত করুন যে আপনার শিশু যেন প্রাকৃতিক ভাবে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খায়। যেমন চর্বিযুক্ত মাছ এবং টুনা মাছের তেল এবং ডিমের কুসুম কড লিভার অয়েল এছাড়া রুটি দুধ কমলার রস ইত্যাদি শিশুকে নিয়মিত খেতে দিন দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি রিকেটস রোগের হাত থেকে মুক্তি পাবে।

উপসংহারঃ রিকেটস রোগের কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, আপনারা যারা আমাদের আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন রোগের কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে এ রোগ থেকে কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারেন। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url