লাউ শাকের উপকারিতা অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা যারা আজকে জানতে চেয়েছেন লাউ শাকের উপকারিতা অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো লাউ শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ। লাল শাক একটি সুস্বাদু সবজি যা পুরোপুরি স্বাস্থ্যকর। লাউশাকে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে দেয় এবং হৃদ রোগ প্রতিরোধে কার্যকর। সেজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের লাউ শাকের উপকারিতা অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানাব।

লাউ শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ

লাল শাকের বিভিন্ন প্রকার রান্না করা যায় যেমন স্টারফ্রাই, স্যুপ, সালাত, ইত্যাদি। এটা স্বাস্থ্যকর এবং স্বাদশীল খাদ্যের একটি অপরিহার্য অংশ। লাউশাকে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফোলেট, পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম এবং আয়রন প্রচুর পরিমাণে থাকে। এইসব উপাদানগুলি শরীরের স্বাস্থ্য ও উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক লাউ শাকের উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ।

ভূমিকাঃ

লাউ শাক আমাদের দেশের একটা জনপ্রিয় শাক। লাউ শাক দেখতে খুব খুব সাদাসিধে হলেও এর উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ কিন্তু অনেক। বাড়ির আঙিনায় ঘরের চালে উঠানে বা ক্ষেতে খামারে অনেক জায়গায় দেই লাউ গাছ ও লাউ শাক জন্মাতে দেখা যায়। লাউ শাক মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখে এবং ঘুমের সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে।

লাউশাকে প্রচুর আঁশ থাকার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। আইরন থাকার কারণে লাউ শাক রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ এবং লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। এছাড়াও লাউ শাকে রয়েছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি যা বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ ও ঠান্ডা প্রতিরোধে সাহায্য করে। প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, তাহলে চলুন জেনে নিন লাউ শাকের উপকারিতা অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ।

লাউ শাকের উপকারিতাঃ

লাল সব একটি সবজি যা সাত সম্পূর্ণ এবং স্বাস্থ্যকর উপকারিতা সম্পূর্ণ। আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত লাউ শাক রাখতে পারেন কারণ এটি নিয়মিতভাবে খাওয়া উচিত যাতে আপনি এই সব উপকারিতা উপভোগ করতে পারেন। লাউ শাকে নানা রকম উপকারিতা রয়েছে। নিম্নে লাউ শাকের কয়েকটি উপকারিতা তুলে ধরা হলো-

ডাইজেস্টিভ সিস্টেম সমর্থনঃ

লাউশাকে প্রচুর পরিমাণে উচ্চ ফাইবার থাকার কারণে ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে সমর্থন করে। লাউশাক পাচনের প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে এবং কোলন এর স্বাস্থ্য উন্নত করে।

স্বাস্থ্যকরঃ

লাউশাক হৃদরোগ প্রতিরোধ এবং ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে তাছাড়া এটি কোলেস্টেরলের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লাউ শাক বিভিন্ন ভিটামিন মিনারেল এবং ফাইবার সম্পন্ন যা শরীরের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে।

প্রতিরোধশীলতা বৃদ্ধিঃ

লাউ শাক অস্থিরতা সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধের মাধ্যমে সাহায্য করে। লাউ শাক ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত যা প্রাতিষ্ঠানিক কোর্স সংস্করতা বৃদ্ধি করে এবং প্রতিরোধশীলতা বৃদ্ধি দেয়।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্যঃ

লাউ শাক প্রাকৃতিক প্রতি স্থাপক খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। লাউশাকে ক্যালরি সম্পন্ন না তাই এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

লাউ শাকের অপকারিতাঃ

প্রতিটি খাবারের একদিকে যেমন এর উপকারিতা রয়েছে তেমনি অন্যদিকে এর অপকারিতা রয়েছে। তেমনি লাউশাকে যেমন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে তেমনি এর অপকারিতা রয়েছে। সেজন্য আপনি যা কিছুই খাবেন না কেন পরিমাণ অনুযায়ী যদি বেশি খান তাহলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে আপনাকে। এছাড়াও যাদের কোন রোগ রয়েছে বা ওষুধ খান তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই খাবেন।

লাউ শাকের পুষ্টিগুণঃ

লাউ শাকের পুষ্টিগুণ অনেকেই জানেন না। তাই যারা জানেন না আসুন নিম্নে লাউ শাকের পুষ্টিগুণ জেনে নেই-

এক কাপ লাউ শাকের পুষ্টিগুণ

  • ফোলেট ৫৮ মাইক
  • ক্যালরি ৭
  • প্রোটিন ০.৮৬ গ্রাম
  • ক্যালসিয়াম ৩০ মিলিগ্রাম
  • আয়রন ০.৮১ গ্রাম
  • পটাশিয়াম ১৬৭ মিলিগ্রাম
  • ম্যাগনেসিয়াম ২৪ মিলিগ্রাম

লাউ শাক খাওয়ার নিয়মঃ

স্বাস্থ্যকর এবং সাতসম্পন্ন লাউ শাক আপনার পুষ্টি ও স্বাস্থ্য উন্নতির জন্য সহজলভ্য একটি সবজি।চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক লাউ শাক খাওয়ার নিয়ম গুলো-

নির্বাচন ও সংরক্ষণঃ

লাউশাক নির্বাচন করার সময় একটি স্বাস্থ্যকর লাউ শাক নির্বাচন করুন। খাবার কেনার পূর্বে বিশেষভাবে পরিষ্কার করুন এবং ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করুন।

প্রস্তুতিঃ

লাউ শাকের খোসা সংগ্রহ করুন এবং অপরিষ্কার অংশ কেটে ফেলুন। এরপরে লাউ শাকগুলো ধুয়ে পানি দিন প্রয়োজন মত লাউশাককে শেষ করে টুকরো করুন অথবা স্লাইস করুন।

রান্নাঃ

লাউ শাক ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন। এরপর এটিকে স্লাইস বা কিউব করে কেটে নিন। এরপর পরিষ্কার পানিতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট শাকগুলো ভিজিয়ে রাখুন। আপনি চাইলে লাউশাককে স্টার ফ্রাই, স্যুপ সালাদ ইত্যাদি রান্নাই ব্যবহার করতে পারেন। 

সংগ্রহ ও উপভোগঃ

লাউসা তৎক্ষণিকভাবে সম্পূর্ণ পরিপক্ক হয়ে যায় তাই সম্ভব প্রমাণে তা রান্নার সময়ই খেতে হবে। তবে যদি আপনি সংরক্ষণ করতে চান তবে লাউশাককে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত একটি স্থানে থাকায় সংরক্ষণ করতে পারেন।

লাউ শাকের রেসিপিঃ

চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক লাউ শাক দিয়ে রান্নার রেসিপি-

লাউ শাক দিয়ে মাছ রান্নাঃ

প্রথমে কড়াইতে তেল গরম করে নিয়ে একটি শুকনো লঙ্কা ভেজে নিতে হবে। এরপরে সেই গরম তেলে লবণ ও হলুদ দিয়ে মাখিয়ে রাখা মাছগুলো ভেজে নিতে হবে। মাছগুলো যখন ব্রাউন কালারের মতো হয়ে যাবে তখন নামিয়ে নিতে হবে। এবার মাছ ভাজা তেলের ভেতর দিয়ে দিতে হবে হাফ চা চামচ মেথি। যারা মেথি ব্যবহার করতে না চান তারা পেঁয়াজ কুচি দিয়েও রান্না করতে পা্রেন। 

এরপরে যখন মেথিগুলো হালকা ভাজা হয়ে যাবে তখন এর মধ্যে কেটে রাখা স্লাইস করা আলু দিতে হবে। এরপরে আলোর ভিতরে সামান্য একটু লবণ ও হলুদের গুড়া দিয়ে নেড়ে চেড়ে নিতে হবে, আলু গুলো যখন ব্রাউন কালারের হয়ে আসবে তখন এর ভিতরে এক চা চামচ আদা বাটা এবং এক চা চামচ কাঁচা লঙ্কা বাটা দিতে হবে। 

এরপরে আলোর সঙ্গে কাঁচা লঙ্কা বাটা এবং আদা বাটাকে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে ভেজে নিতে হবে।, প্রায় কুড়ি থেকে ২৫ সেকেন্ড পর্যন্ত এগুলোকে ভেজে নিতে হবে। এরপরে এর ভিতর দিয়ে দিতে হবে কেটে রাখা লাউ শাক, এরপরে লাউশাকগুলো একটু হালকা নেড়েচেড়ে এর ভিতর দিয়ে দিতে হবে হাফ চা চামচ হলুদের গুঁড়া হাফ চা চামচ জিরা গুড়া হাফ চা চামচ ধনিয়া গুড়া এবং সামান্য একটু লাল মরিচের গুঁড়া সাতমত লবন। 

কারণ লাউশাকে ঝালের মাত্রাটা একটু কম দিতে হবে। এরপরে প্রায় ১০ থেকে ১২ মিনিট আকার আজ কমিয়ে খুব অল্প আচে রান্না করতে হবে। লাউ শাক বেশি সেদ্ধ করলে লাউ শাক টক লাগে সেজন্য লাউশাককে বেশি সেদ্ধ করা যাবে না। এরপরে আপনার পরিমাণ মতো জল দিয়ে নাড়াচাড়া করে চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিতে হবে। 

এরপরে আগে থেকে বেঁচে রাখা মাছের টুকরো গুলো লাউ শাকের ভিতর দিয়ে হালকাভাবে নেড়েচেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এরপরে 8 থেকে 10 মিনিট পরে সবজিগুলো রান্না হয়ে যাবে লাউ শাকের ভেতরের কয়েকটি আলু ভেঙে দিতে হবে। এরপরে তৈরি হয়ে যাবে লাউ শাক দিয়ে মাছ রান্না।

লাউ শাক পোস্ত রেসিপিঃ

লাউ শাক দিয়ে পোস্ত তৈরির জন্য লাগবে এক আরটি লাউ শাক, আলু,দুই থেকে তিন টেবিল চামচ এর মত পোস্ত, কাঁচা লঙ্কা, কালো জিরে, হলুদ গুড়ো পরিমাণ মতো নুন চিনি আর তেল। লাউ শাক ভালো করে জলে ধুয়ে কেটে নিন। ডাটা গুলি মাঝারি সাইজের টুকরা করতে হবে পোস্ত বেটে রাখুন। লাউ শাক আর ডাটা প্রেসার কুকারে এক থেকে দুইটা সিটি মেরে সেদ্ধ করে নিন।

লাউ শাক আর ডাটা সেদ্ধ হয়ে গেলে জল জড়িয়ে নিন এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে কালোজিরা ফোড়ন দিন। প্রথমে কেটে রাখা আলু ভেজে নিন এরপর লাউশাক মিশন। একে একে হলুদের কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন। এই সময় এই পরিমাণ মতো নুন মিশিয়ে দিতে হবে।

সামান্য জল মিশিয়ে কম আছে মিনিট দশেক রান্না হতে দিন। মাঝে একবার চিনি ছড়িয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে নিন। খেয়াল রাখতে হবে শাক যাতে গোলে না যাই কাজেই কম আছে রান্না করতে হবে।

চিংড়ি দিয়ে লাউ শাক ভর্তাঃ

লাউ শাক ও ১ আটি খোসা ছাড়ানো ছোট চিংড়ি এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ পেঁয়াজ একটি মাঝারি আকারের মোটা করে কাটা রসুন তিনকোয়া মোটা করে কাটা কাঁচামরিচ ৭ থেকে ৮ টি বাসাদ অনুযায়ী লবণ স্বাদ মতো তেল অল্প।

আসার ডাটা বাদ দিয়ে লাউ শাক বেছে নিতে হবে। চিংড়ি মাছ লবণ দিয়ে মাখিয়ে রাখুন। পাতিলেবা প্যানে বেশ কিছুটা পানি দিয়ে তাতে অল্প লবণ দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে সবগুলো ছেড়ে দিতে হবে গরম পানি থেকে উঠিয়ে ফেলুন তারপর মাখানো চিংড়ি পেঁয়াজ রসুন কাঁচা মরিচ দিয়ে ভেজে তুলে রেখে সেই তেলেই বেশি আছে যাতে পানি না থাকে এবার সব ভাজা উপকরণের সঙ্গে মিশিয়ে নিলেই ভর্তা তৈরি।

লাউ শাক ভর্তাঃ

ছয় থেকে সাতটি লাউ শাকের পাতা, নারিকেল কুড়ানো চারচা চামচ সরিষা দুই চা চামচ সিদ্ধ কাঁচামরিচ দুইটা প্রয়োজনমতো লবণ। ভালো করে ধুয়ে সিদ্ধ করুন। শাঁকের সঙ্গে কাঁচা মরিচ সেদ্ধ করুন সেদ্ধ করে পানি ছড়িয়ে নিন। এবার নারকেল কুড়ানো সরিষা লবণ সেদ্ধ করার শাক ও কাঁচা মরিচ সহ পাটায় পানি ছাড়া পেটে ভর্তা তৈরি করুন।

লাউ শাকের ঔষধি গুনঃ

লাউ শাক সারা বছরই পাওয়া যায় তবে শীতের মৌসুমী এর ফলন হয় বেশি। সালের পাশাপাশি সাথে রয়েছে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক লাউ শাকের ঔষধি গুনাগুন-

আইরনঃ

আয়রন রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে লাউশাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে এটি লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়ায়।

ভিটামিন সিঃ

লাউ শাকে রয়েছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি বিভিন্ন সংক্রমণ ও ঠান্ডা প্রতিরোধে সাহায্য করে লাউ সাক। যারা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য লাউ শাক খুবই উপকারী একটি খাবার পাইলস প্রতিরোধেও এটি বেশ কার্যকরী।

বিটা ক্যারোটিনঃ

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে বিটা ক্যারোটিন যা লাউ শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ রয়েছে।

ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামঃ

ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হার শক্ত ও মজবুত করে তাই শক্ত ও মজবুত হাড় পেতে হলে আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত লাউশাক রাখুন।

এছাড়াও লাউ শাকের লুটেইন নামে এক প্রকার ভিটামিন রয়েছে যা নানা ধরনের চোখের সমস্যা প্রতিরোধ করে। এছাড়াও দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিতে পারেন তবে আপনার মস্তিষ্ক ঠান্ডা থাকবে এবং ঘুমের কোন সমস্যা থাকবে না আপনার।

লাউ শাক চাষ পদ্ধতিঃ

লাউ শাক আমাদের জন্য আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের দিকে যখন বৃষ্টিপাত কম হয় তখন একটি উঁচু ধরনের জমি বেছে নিতে হবে। এছাড়াও গ্রামের বসতবাড়ির আঙিনায় এবং শহরে বাসা বাড়ির ছাদেও এসব স্বাদের আবাদ করা যাবে। প্রথমে লাউ শাকের কথা বলতে গেলে দেখা যায় কৃষি বিজ্ঞানীগণ লাউ পাতা সাগর উৎপাদনের জন্য একাধিক জাত উদ্বোধন করেছেন যা চাষের জন্য জমিতে কোন ধরনের চার্জ দেওয়ার প্রয়োজন নেই এছাড়া মাটি ছাড়াও ঝুলন্ত তবে লাউ শাকের আবাদ করা যায়।

লাউ শাক চাষের জন্য লাউয়ের বীজগুলো ঘনঘন করে রোপন করতে হবে। ভালো শাক এবং দ্রুততার বৃদ্ধি পাবার জন্য বিশ রোপনের পূর্বে যে গর্তে রোপণ করা হবে সেখানে এক কেজি পরিমাণে শুকনো কবর এক মুষ্টি পরিমাণ ইউরিয়া টিএসপি ওএমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে। যা শাক চাষের জন্য সুখবর খুব অল্প দিনের মধ্যেই ঢোকার সমেতপাতা হিসেবে কর্তন করা যায়।

সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ৭ উত্তোলনের জন্য প্রতি সপ্তাহে প্রতিটি গাছের গোড়ায় প্রয়োজনীয় জৈব সার রাসায়নিক সার এবং প্রয়োজনীয় শেষ সরবরাহ করতে হবে। তাছাড়া লাউ শাক চাষের জন্য যে গাছ লাগানো হয় সেখান থেকেও লাউ পাতা শাক সংগ্রহ করা সম্ভব। প্রতিটি লাউয়ের কুড়িতে যতগুলো মুকুল আসে তার সবগুলো পরাগায়ন না হওয়ায় অনেক ফল পচে নষ্ট হয়ে যায় এর প্রধান কারণ হচ্ছে লাউ একটি ফসল।

লাউ এর ফল উৎপাদন বাড়াতে চাইলেও পাতা ও ডগা কেটে ছেঁটে দিতে হয় যার মাধ্যমে অনেক সাধ পাওয়া সম্ভব লাউ শাক ছাড়া মুলা শাক লাল শাক কিংবা পালং শাক আবাদ প্রায় একই প্রকৃতির শুধুমাত্র সেগুলোর জন্য জমি চাষ দিতে দিয়ে নিতে হয় উঁচু মাটি ভালো ভাবে চার্জ দিয়ে জৈব ও রাসায়নিক সার পরিমাণ মতো দিয়ে সঠিক জত্তের মাধ্যমে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব।

উপসংহারঃ লাউ শাকের উপকারিতা অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ 

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, আপনি যদি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তবে অবশ্যই জানতে পেরেছেন লাউ শাকের উপকারিতা অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url