বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার কারণ - বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন বাড়ে যেসব খাবারে

আসসালামু আলাইকুম, বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন কম খুবই পরিচিত সমস্যা। বাচ্চাদের শারীরিক বিদ্যুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রনের অভাব হলে বাচ্চার শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। রক্তশূন্যতার কারণে বাচ্চাদের শারীরিক বৃদ্ধি যেমন ব্যাহত হয় তেমনি বাচ্চাদের মেধা বুদ্ধি আচার-আচরণেও বিরূপ প্রভাব পড়ে। আমাদের আজকের আর্টিকেলের এই পর্বে আমরা আপনাদের জানাবো বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার কারণ - বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন বাড়ে যেসব খাবারে। 

বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার কারণ - বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন বাড়ে যেসব খাবারে
হিমোগ্লোবিনের মূল কাজ হলো দেহের প্রতিটি অংশে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন রক্তের মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া। হিমোগ্লোবিন মূলত রক্তে অবস্থিত প্রোটিন। এটি রক্তের লোহিত রক্ত কণিকায় থাকে এবং রক্তের মাঝে প্রয়োজনীয় ঘনত্ব বজায় রাখে। এই হিমোগ্লোবিনের কারণেই রক্ত লাল হয়। বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন কম হলে নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় যেমন শ্বাসকষ্ট দুর্বলতা ক্ষুধা মন্দা ইত্যাদি।

পেজ সূচিপত্রঃ বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার কারণ - বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন বাড়ে যেসব খাবারে

ভূমিকাঃ

হিমোগ্লোবিন হচ্ছে রক্তে অবস্থিত প্রোটিন। এটি রক্তের লোহিত রক্তকণিকায় থাকে এবং রক্তের মাঝে প্রয়োজনীয় ঘনত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে এই হিমোগ্লোবিনের কারণে রক্ত লাল হয়। আপনার রক্তে যদি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকে তবে নানা রকম সমস্যায় জর্জরিত হবে না আপনি। যেমন - দুর্বলতা, নিঃশ্বাসে সমস্যা, মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরানোর, হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসা, হার্টবিট বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।
সাধারণত বাচ্চাদের প্রতি ডেসিলিটারে হিমোগ্লোবিন প্রকাশ করা হয়। বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা প্রতি ডেসি লিটারে ৭ - ৮ গ্রামের বেশি যদি না নামে তবে সেটা ভালো হয়। আপনি যদি আপনার বাচ্চার হিমোগ্লোবিন টেস্ট করান তবে সেটা যদি সাত এর নিচে যদি না নামে তবে সেটা ভালো আপনি আপনার বাচ্চাকে নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।

বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার কারণঃ

সাধারণত বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন কম হয় শারীরিক দুর্বলতার কারণেই বেশি। এছাড়াও নানারকম কারণে বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন কম হয়ে থাকে। কিছু কিছু বাচ্চা আছে যারা একেবারে খাওয়া-দাওয়া করতে চায়না তাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকে। বাচ্চারা পর্যাপ্ত পরিমাণে না খাওয়ার কারণে বাড়তি বয়সের সময় তাদের সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে সমস্যা হয় এবং এই বাচ্চাগুলোই রক্তস্বল্পতায় ভোগে।
এই সমস্যাগুলো একেবারেই স্বাভাবিক কারণ আপনার বাচ্চাকে যদি সঠিক প্রমাণে ভিটামিন ও মিনারেল যুক্ত খাবার খাওয়ান এবং সেই খাবারের সঠিক পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল আছে কিনা সেদিকে নিশ্চিত হতে হবে আপনাকে। আপনার বাচ্চার শরীরে হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার আরো একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে বাবা মায়ের শরীরের রক্তের গ্রুপ এক হওয়ার কারণে।

বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়ঃ

বাচ্চাদের সাধারণ কারণে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে প্রথমে আপনাকে দেখতে হবে সাধারণ কারণেই বাচ্চাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে যাচ্ছে কিনা। যদি সাধারণ কারণে আপনার বাচ্চার শরীর হিমোগ্লোবিন কমে যায় তবে বাচ্চাকে যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খেতে দিন এরপরে হিমোগ্লোবিন আবার টেস্ট করেন। 

রক্তশূন্যতার কিছু লক্ষণঃ

আমাদের মধ্যে অনেকেই জানিনা যে বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিনের মান কত হলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। আমাদের আর্টিকেলের আজকের এই পর্যায়ে আমরা আপনাদের জানাবো রক্তশূন্যতার কিছু লক্ষণ। বাচ্চাদের রক্ত পরীক্ষা করার পরে রক্তের মান যদি ৭ এর নিচে থাকে তবে সেটা রক্তশূন্যতার লক্ষণ। আবার অনেক সময় বাচ্চাদের শরীর ফেকাশি হয়ে যায় যেটা দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার বাচ্চার রক্তশূন্যতায় ভুগছে।
শিশু যখন রক্ত শুন্য তাই ভাববে তখন শিশুর মেজাজ অন্যরকম হয়ে যায়, অতিরিক্ত দুর্বলতার কারণে ঘুম কমে আসবে এবং অল্পতেই হাঁপিয়ে যাবে। এবং চোখের ভেতরের  সাদা অংশ , এবং নখের উপরের সাদা অংশ মনে হবে ফ্যাকাসে হয়ে গেছে আপনি যদি একটু খেয়াল করেন আপনার বাচ্চার উপর। আপনার বাচ্চা যদি এ ধরনের লক্ষণ গুলো দেখতে পান তবে অবশ্যই দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবেন কারণ এই লক্ষণগুলো রক্তশূন্যতার কিছু লক্ষণ।

বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন বাড়ে যেসব খাবারেঃ

হিমোগ্লোবিন হচ্ছে রক্ত কোষের লৌহ সমৃদ্ধ এক ধরনের প্রোটিন। শরীরের অক্সিজেন পরিবহনে যা সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় নারীদের বেড়ে চক্রার সময়, শিশুদের বেড়ে ওঠার সময়, লৌহর বেশি দরকার হয়। গরুর মাংস, কলিজা, মুরগির কলিজা, ডিম, সামুদ্রিক মাছ, দই ইত্যাদি যদি আপনার বাচ্চাকে নিয়মিত খেতে দেন তাহলে আপনার বাচ্চা শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়বে। এছাড়াও ভিটামিন সি এর অভাবে হিমোগ্লোবিন কম হয় বাচ্চাদের শরীরে।
আপনার বাচ্চার বয়স যদি খুব কম হয় তবে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। আপনার বাচ্চার বয়স যদি ছয় মাস থেকে দুই বছরের কম হয় তবে আপনার বাচ্চাকে জোরপূর্বক কোন কিছু খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা প্রতি ডেসি লিটারে ১৩.৫ থেকে ১৭.৫ হচ্ছে স্বাভাবিক মাত্রা।
অপরদিকে নারীদের ক্ষেত্রে ১২ থেকে ১৫.৫ হচ্ছে স্বাভাবিক মাত্রা। এর থেকে কম থাকলে এটা স্বাভাবিক নয়। আমাদের শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সীমার মধ্যে থাকলে সেটা স্বাভাবিক হিসেবে ধরে নেওয়া যায়।

উপসংহারঃ বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার কারণ - বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন বাড়ে যেসব খাবারে

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যারা মনোযোগ সহকারে পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার কারণ - বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন বাড়ে যেসব খাবারে। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট টি ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url