চুলকানি দূর করার ওষুধ ও ক্রিমের নাম

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা,আপনারা যারা আজকে জানতে চেয়েছেন চুলকানি দূর করার ওষুধ ও ক্রিমের নাম আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। আমাদের আশপাশে বর্তমানে চুলকানি রোগের রোগীর সংখ্যা অসংখ্য। চুলকানি শব্দটি শুনলে অনেকের গা চুলকে ওঠে সেজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো চুলকানি দূর করার ঔষধ ও ক্রিমের নাম। 

চুলকানি দূর করার ঔষধ ও ক্রিমের নাম
চুলকানি নানা কারণে হয়ে থাকে। চুলকানি রোগের সংস্পর্শে গেলে কিছু কিছু খাবারের জন্য চুলকানি দেখা দেয়। আবার কিছু গাছের সংস্পর্শে গেলে চুলকানি হতে পারে, আবার কারো কারো এলার্জির কারণেও চুলকানি হতে পারে। সেজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো চুলকানি দূর করার ঔষধ ও ক্রিমের নাম।

সূচিপত্রঃ চুলকানি দূর করার ঔষধ ও ক্রিমের নাম

  • ভূমিকা
  • চুলকানি কি
  • চুলকানি হওয়ার কারণ
  • শীতে ত্বক চুলকানোর কারন
  • চুলকানি দূর করার ঔষধ
  • চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম
  • ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলকানি দূর করার উপায়
  • উপসংহার

ভূমিকাঃ

সবচেয়ে বিরক্তিকর ও অস্বস্তিকর একটি রোগ হচ্ছে চুলকানি। চুলকানির নানা কারণে হতে পারে তবে সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে অন্য চুলকানি রোগের সংস্পর্শে এসে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের গাছ পোকামাকড় খাদ্য রসায়নিক উপাদান এলার্জিজনিত রোগের কারণেও চুলকানি হয়ে থাকে। 

চুলকানি রোগ সাধারণ হলেও এটি বিরক্তিকর এবং অতি তাড়াতাড়ি সমাধান করা উচিত। আজকে আমাদের আর্টিকেলের এই পর্বে আমরা আপনাদের জানাবো চুলকানি দূর করার ঔষধ ও ক্রিমের নাম। আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন।

চুলকানি কিঃ  

চুলকানি হলো একটি সংবেদন যা আঁচরের ইচ্ছা ঘটায়। চুলকানি যেকোনো এক ধরনের অভিজ্ঞতা হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করার অনেক প্রচেষ্টাকে প্রতিহিত করছে। ব্যথার সাথে চুলকানির অনেক মিল রয়েছে এবং উভয় অপ্রীতিকর সংবেদনশীল অভিজ্ঞতা হলেও তাদের আচরণগত প্রতিক্রিয়ার ধরন ভিন্ন। ব্যথা একটা প্রত্যাহার প্রতিচ্ছবি তৈরি করে যেখানে চুলকানি একটি স্কার্স রিফলেসোর দিকে পরিচালিত করে।

চুলকানি হওয়ার কারণঃ

চুলকানি নানা কারণে হয়ে থাকে। আপনি যদি চুলকানি রোগের সংস্পর্শে যান, কিছু কিছু খাবারের জন্য চুলকানি দেখা দেয় আবার কিছু গাছের সংস্পর্শে গেলে চুলকানি হতে পারে আপনার। আবার দেহে নানা ধরনের চুলকানি হয়ে থাকে যেমন এলার্জিজনিত চুলকানি, ত্বক চুলকানি, মাথা চুলকানি, চোখ চুলকানি, ছেলে মেয়ে উভয়ের গোপনাঙ্গে চুলকানি আরো নানা ধরনের চুলকানি রয়েছে। তবে চুলকানি মূল্য তো চারটি বেসিক কারণে হয়ে থাকে যেগুলো  নিম্নে তুলে ধরা হলো-

  • চামড়ার গঠনগত পরিবর্তনের জন্য।
  • নার্ভ সিস্টেমের সমস্যার জন্য।
  • সাইকোজেনিক সমস্যার জন্য।
  • নিউরোলজিক সমস্যার জন্য।

শীতে ত্বক চুলকানোর কারণঃ

শীতকাল আসলে ফ্রক স্বাভাবিকভাবে শুষ্ক হয়ে যায়।" বাতাসের আদ্রতার মাত্রা কমে যায় ফলে ত্বকের জলীয় মাত্রা কমে" ত্বকের জলীয় মাত্রা কমলে সুরক্ষার স্তর ও দুর্বল হয়ে পড়ে। কোষ ও লিপিডের বাইরের অংশ শুষ্ক হয়ে যায় তাই তোকে শুষ্কতা ও জ্বলনের সমস্যা দেখা দেয়। অ্যাক্টিমা ও চুলকানির নানান উপসর্গ শুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়ায় আরো মারাত্মক হয়।
চুলকানি দেহের যে কোন স্থানেই হতে পারে যেমন একজিমার সাধারণ অবস্থা অটোমেটিক ডার্মাটাই টিস শরীরের ভাজে যেমন- ঘাড় কোনই ও হাঁটুর পেছনে দেখা দেয় এগুলো ঘষা লাগার ফলে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে। শীতে চোখের পাতা মুখ ও হাতের শুষ্কতার প্রবণতা বেশি। । এগুলো ঠান্ডা বাতাস জল ও সাবানের সংস্পর্শে আসলে তীব্রতা দেখা দেয়। শুষ্ক ত্বক মানেই যে চুলকানি হবে তা নয় শুষ্ক ত্বক বা চুলকানির সংযোগ খোঁজার জন্য ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে। 

চুলকানি দূর করার ওষুধঃ

  • অ্যান্টিহিস্টামিন
  • অ্যান্টিবায়োটিক
  • ঔষধি গাছ
  • Sendo
  • Atarax 25mg
  • Oradin
  • Alatrol
  • Darma 50
  • Fexo 120
  • Safi
  • Ebation

চুলকানির কারণ অনুযায়ী ক্রিম বা ওষুধ বেছে নেওয়া উচিত এরাজের কারণে চুলকানি হলে এন্টিহিস্টামিন ছত্রাক জনিত সংক্রমণের কারণে চুলকানি হলে অ্যান্টিবায়োটিক এবং ত্বকের শুষ্কতার কারণে চুলকানি হলে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।

চুলকানি দূর করার ক্রিমের নামঃ

চুলকানির ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। চলুন নিম্নে জেনে নেই চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম গুলো-

  • এলোভেরা ক্রিম।
  • ক্যালামাইন ক্রিম।
  • বেটামেথ্যাসোন ক্রিম।
  • হাইড্রোকর্টিসোন ক্রিম।
  • বেনজিল পার অক্সাইড ক্রিম।
  • স্যালিসিলিক এসিড ক্রিম।
  • ক্লোরো হেক্সি ডিন ক্রিম।
  • Pevisone.
  • Fungin.
  • Fungin-B.
  • Fungidal-Hc.
  • Antifungal cream. 

ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলকানি দূর করার উপায়ঃ

চুলকানি দূর করার জন্য নিম্নলিখিত ঘরোয়া প্রতিকার গুলি কার্যকর হতে পারে-

  • চুলকানি দূর করার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে নিম পাতা।, নিম পাতা বেটে চুলকানির স্থানে লাগালে চুলকানি রোধ করা যায় অথবা নিম পাতা গরম পানিতে সেদ্ধ করে গোসল করলে অনেক চুলকানি থেকে উপকার পাওয়া যায়।
  • সকল ধরনের চুলকানিতে নারিকেল তেল ব্যবহার করা উত্তম। চুলকানি যখন সারা শরীরে ছড়িয়ে যায় তখন পুরো শরীরে নারিকেল তেল মেখে নিলে চুলকানি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
  • অতি দ্রুত চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এলোভেরা ব্যবহার করা হয়। চুলকানি প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকরী একটি গাছ এলোভেরা। চুলকানির স্থানে এলোভেরার পাতার রস ব্যবহার করলে চুলকানি দ্রুত নিরাময় সম্ভব।
  • লেবুর রস খুবই ভালো চুলকানি বিরোধী একটি ফল। লেবু একটি অ্যান্টিফাঙ্গাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় যে স্থানে চুলকানি সেই স্থানে লেবুর রস লাগিয়ে শুকিয়ে নিলে চুলকানি ভালো হয়ে যায়।
  • ঠান্ডা জল দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলা।
  • ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা।
  • অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা।
  • ক্যালামাইন লোশন ব্যবহার করা।
  • ঠান্ডা চা বা দুধ ভিজিয়ে রাখা কাপড় দিয়ে ত্বক মুছে ফেলা।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা।

উপসংহারঃ চুলকানি দূর করার ঔষধ ও ক্রিমের নাম

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, আমার মতে সবচেয়ে বিরক্তিকর ও অস্বস্তিকর একটি রোগ হচ্ছে চুলকানি। তবে এই চুলকানি বেশি দিন ধরে শরীরে থাকলে সেটা স্কিন ক্যান্সারের মত ডিসিস হতে পারে। তাই চুলকানি বা চরমড়ক হলে অতি দ্রুত স্কিন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

আপনারা যারা এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে আমাদের আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়েছেন তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এবং এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url