মুলা শাকের উপকারিতা গুলো জানুন

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো ভোলা শাকের উপকারিতা অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। মুলা শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে আপনার শরীরে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও আন্টি ক্যান্সার উপাদান সমৃদ্ধ সবজি গ্রহণ করলে এলার্জি ও হৃদপিন্ডের বিভিন্ন রোগ থেকে আপনাকে সুরক্ষা প্রদান করবে।

মুলা শাকের উপকারিতা গুলো জানুন

মুলা শাকের মলিবডেনাম, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ ফলিক অ্যাসিড রয়েছে। এছাড়াও মোলাসাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় ভালো রাখে পাকস্থলী এবং মুলা শাক রক্তশূন্যতা দূর করতেও সাহায্য করে আপনার শরীরে। এছাড়াও মুলা শাক শরীর থেকে টক্সিন বের করতেও সাহায্য করে।

সূচিপত্রঃ মুলা শাকের উপকারিতা গুলো জানুন

ভূমিকাঃ

মুলা শাক একটু তিতা তিতা লাগে বলে অনেকেই খেতে চান না। কিন্তু মলা শাকে সাত বেশি না হলেও এর রয়েছে অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা আপনি হয়তো বা কখনো চিন্তাও করেননি তৃপ্ত স্বাদের এই সাথে রয়েছে এত গুণাবলী। মুলা শাকে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ থাকার কারণে অধিক পরিমাণে গ্রহণ করা যাবে না।কারন মুলা শাকে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট রয়েছে অধিক পরিমাণে মুলা শাক গ্রহণ করার ফলে অক্সালেট জমাট বেঁধে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

মুলা শাকের উপকারিতাঃ

বর্তমান সময়ে শীতকাল ছাড়াও প্রায় এখন সারা বছরই মুলা শাক পাওয়া যায়। সেজন্য আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত মুলাশাক রাখতে পারেন। মুলা শাকের পাশাপাশি মুলাতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে আপনি যখন ভাত রুটি খান তখন যদি কাঁচা মুলা গ্রেটারে কুড়িয়ে লবণ দিয়ে খেতে পারেন তবে আপনার তাড়াতাড়ি হজম হয় ও খাদ্যের রুচি বাড়ে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক মুলাসাকের উপকারিতা গুলো-

  • চর্মরোগ সারাতে।
  • পাইলসের ব্যথা সারাতে বেশ কার্যকরী মুলা শাক।
  • রক্তশূন্যতা দূর করে মুলার শাক।
  • ইউরিনারি ব্লাডার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে মুলা শাক।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  • হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।
  • ত্বকের সুন্দর্য বৃদ্ধি পায় মুলার শাকে।
  • ক্যান্সারের মতো মরণ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় মুলার শাক খেলে।
  • ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে।
  • ইমিউনিটির উন্নতি ঘটে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
  • হাটুর ব্যথা নিয়ন্ত্রণে।
  • শরীরের ভেতর প্রদাহের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
  • ভিটামিনের ঘাটতি দূর হয়।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

মুলা শাকের অপকারিতাঃ

মুলা শাক অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণে অক্সলেট বাধা দেয়। যারা কিডনি বা পিতল থলির বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন তাদের মুলা শাক না খাওয়াই উত্তম। কারণ মোলাসাকে ভোটে অক্সলেট রয়েছে সেজন্য আপনি যদি অতিরিক্ত খেয়ে থাকেন তবে আপনার শরীরে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।

আপনার শরীরে যদি প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে তবে আপনি মুলা শাক খাওয়া থেকে বিরত থাকুন কারণ শরীরে অনেক বেশি আয়রন থাকলে মুলা শাক শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। এতে পেটব্যথা বমি মাথা ঘোরার সমস্যা হতে পারে লিভারের সমস্যা হতে পারে রক্তের সুগার কমে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে।

শসা এবং মুলার শাক একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয় কারণ শশায় এসকরভেট থাকে যা ভিটামিন সি শোষণ করতে কাজ করে এ কারণে শশা ও মুলা একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। আপনারা যারা থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন তারা কাঁচামুলা এবং মুলার শাক খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা অনেক সময় মুলার কারণে হয়ে থাকে।

মুলা শাকের পুষ্টিগুণঃ

মুলার পাতায় যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন আছে। প্রসব নির্গমনের সময় ব্যথা করে অথবা প্রচন্ড ব্যথা হয় তাদের মুলা পাতার রস এক মুঠো বা ৭০০ থেকে ১০০ মিলিমিটার প্রতিদিন একবার করে ১৫ বার খান সমস্যাও সমাধান হবে তার সাথে প্রস্রাব পায়খানা পরিষ্কার হয়ে যাবে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক মুলার শাকের পুষ্টিগুণগুলো-

  • মুলার বীজ পিশে ত্বকে লাগালে অথবা ত্বকে সাদা দাগ হলে তা লাগান এবং মুখের কালো দাগ দূর করার জন্য মুলা পাতার রসের সাথে মধু লাগালে সেরে যেতে পারে।
  • মুলাপাতার শাকে আশ আছে তাই যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগে ভুগছেন বা যাদের পায়খানা হয় না তারা প্রতিদিন মুলা অথবা মুলার শাক খেতে পারেন এতে উপকার পাওয়া যাবে।
  • মুলা শাক সহজে আপনার হজম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সেজন্য আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মুলা শাক রাখতে পারেন।
  • মুলা শাক এ রয়েছে ভিটামিন বি পটাশিয়াম কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ ফলিক এসিড। অ্যান্টি ক্যান্সার উপাদান সমৃদ্ধ সবজি মুলা শাক গ্রহণ করলে এলার্জি ও হৃদপিন্ডের বিভিন্ন রোগ থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।
  • মুলাশাকের উপকারী উপাদান সমূহ শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টকে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে সাহায্য করে ফলে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের আক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে আপনার।
  • মুলা শাকে ফাইবার দেহের ব্লাড সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

উপসংহারঃ মুলা শাকের উপকারিতা গুলো জানুন

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, ভুলাসাক ছাদে বেশি মজার না হলেও এর রয়েছে অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেকেই মুলার শাক একটু তিতা তিতা লাগে বলে খেতে চান না। আপনি হয়তোবা কখনো চিন্তাও করেননি তৃক্ত স্বাদের এই শাকে রয়েছে এত গুণাবলী।

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা যারা এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়েছেন তাদেরকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url