কলাপাতায় খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকে আপনাদের জানাবো কলাপাতাই খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। বর্তমান সময়ে কলা পাতায় খাওয়া অভ্যাস নেই বললেই চলে। কলা পাতায় খাবার খাওয়া আপনার শরীরের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। আপনি যদি নিয়মিত কলা পাতায় খাবার খেয়ে থাকেন তবে আপনার শরীরে অনেক রোগের মুক্তি মিলবে।

কলা পাতায় খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

কলাপাতার রসে পাওয়া যায় প্রচুর উপকারিতা। আপনি যখন কলা পাতায় খাবার খাবেন তখন কলাপাতার রস খাবারের সঙ্গে শরীরের প্রবেশ করে শরীরের নানা উপকার করে থাকে। আপনাকে অতিরিক্ত কোন পরিশ্রম ছাড়াই আপনার শরীরকে রাখবে সুস্থ। আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কলা পাতায় খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

সূচিপত্রঃ কলা পাতায় খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

ভূমিকাঃ

কলাপাতা রসে থাকে সাইটিক এসিড, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ট্যানিক। এসব উপকারী উপাদান থাকার কারণে কলাপাতার রস শরীরে টনিকের কাজ করে। এই উপকারগুলো পাওয়ার জন্য আপনাকে কলাপাতার রস আলাদা করে খাওয়ার প্রয়োজন নেই আপনি আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কলাপাতায় খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললেই এই উপকারগুলো পাবেন।

বর্তমান সময়ে কলা পাতায় খাবার অভ্যাস এখন আর নেই বললেই চলে। শহরের জীবনে এই অভ্যাস ধরে রাখা অসম্ভব কিন্তু গ্রামে এলাকাগুলোতে কলাপাতা দুর্লভ নয়। কলাপাতায় খাবার খাওয়ার অভ্যাস শরীরের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। আপনি যদি নিয়মিত কলাপাতায় খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন তবে আপনার শরীর থাকবে রোগ মুক্ত।

কলা পাতায় খাওয়ার উপকারিতাঃ

কলা পাতায় খাওয়ার অভ্যাস বহকাল আগ থেকে চলে আসছে। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কলাপাতার জায়গাটা নিয়েছে কাজ মেলামাইন ও প্লাস্টিক। মানুষের অভ্যাসের বদল হলেও কলাপাতায় খাওয়ার পুষ্টির পরিবর্তন এখনো হয়নি। আপনি যদি নিয়মিত কলা পাতায় না খেতে পারেন তবে সপ্তাহে একদিন কলা পাতায় খাওয়ার চেষ্টা করুন। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক কলাপাতাই খাওয়ার উপকারিতা গুলো-

  • কলাপাতায় রয়েছে পলিফেনোল। প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কলাপাতায় খেলে খাবারের সঙ্গে পলিফেনাল মিশিয়ে পুষ্টি যোগায় আপনার শরীরে কলাপাতার গায়ে মোমের মত একটা আবরণ থাকে চমৎকার একটা ফ্লেভার থাকে খাবারের সঙ্গে মিশে খাবার কে আরো সুস্বাদু করে তোলে।
  • কলা পাতায় খাওয়ার পূর্বে কলাপাতাকে খুব বেশি ধোঁয়ার প্রয়োজন নেই। অল্প একটু পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেই পরিষ্কার হয়ে যায়। স্টিলের থালা হোক কিংবা মেলামাইনের থালা প্লেট পানি সাবান দিয়ে ধুতে হয়।
  • আপনারা যারা জ্বর সর্দি রোগে ভুগছেন তারা নিয়মিত কলা পাতায় খাবার খেলে জ্বর সর্দি থেকে আপনাকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।
  • আপনি যদি নিয়মিত কলা পাতায় খাবার খান তবে আপনার শ্বাসকষ্ট, কাশি, সর্দির মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন এবং কোষ্ঠকাঠিন্য আমাশয় রক্তস্বল্পতা চর্মরোগ ইত্যাদি দূর করতেও সাহায্য করবে এই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস।
  • আপনারা জাল লিভারের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য কলাপাতায় খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর হতে পারে কারণ কলাপাতায় আছে পলিফেনাল নামক পদার্থ এবং এটি প্রাকৃতিক এন্ডি অক্সিডেন্টে ভরা।
  • এছাড়াও আপনি যদি নিয়মিত কলাপাতায় খাবার অভ্যাস গড়ে তোলেন তবে আপনার ব্লাড প্রেসার একটু হলেও কমতে থাকবে। 
  • অনেক সময় কলাপাতায় মুড়ে মাছ মাংস রান্না করে খাওয়া হয়। অনেকেই হয়তো ঐতিহ্য মেনে এই রেসিপিগুলো খেয়ে থাকেন তবে শুধু সাদা আর গন্ধ বাড়াতে নয় খাবারের পুষ্টিগুণ বাড়াতেও সাহায্য করে এই কলা পাতা।

কলাপাতায় খাওয়ার পুষ্টিগুণঃ

উন্নত দেশে কলাপাতার সাহায্যে বহু রোগের চিকিৎসা করা হয়। যক্ষা আন্ত্রিক আমাশা অতিসারে কলা পাতার রস খেতে দেন শরীরের কোথাও কেটে গেলে ক্ষত হলে চর্মরোগ হলে কলাপাতার রস ঘষে লাগালে উপকার হয়। কাশি ও থুতুর সঙ্গে রক্ত পড়লে কলা গাছের সবুজ তাজা পাতার রস বেটে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

কলা গাছ কলা পাতা পাকা কলা কাঁচা কলা কলা গাছের শিকড় সবই উপকারী তবে কাঁচকলার তরকারি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেবে এবং পেটে বায়ু জমবে। আপনি সকাল নয়টা থেকে দুপুর ১২ টার মধ্যে খেতে পারেন যখন তখন পাকা কলা খেতে গেলে শরীরের পক্ষে ক্ষতি হতে পারে। কারণ পাকা কলা আমাদের মুখের লালাতেই হজম হয়।

কলা গাছের সবুজ পাতার প্রয়োজনীয় খাবার আজকাল দু একজন তরকারি খেতে বলেন। সর্দি কাশি শ্বাসকষ্ট কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্বল, উচ্চ রক্তচাপ, লিভারের দোষ থাকলে আপনি কলাপাতার রস করে খেতে পারেন উপকার পাবেন।

সতর্কতাঃ

মনে রাখবেন বর্ষায় যে কোন কাঁচা পাতা থেকে আবার অন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কলা পাতায় খাবার খেতে হলে তার আগে পাতা ভালো করে সাফ করে নিতে হবে আর এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

উপসংহারঃ কলা পাতায় খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, কলাপাতায় খাবার খাওয়ার সময় প্রাকৃতিক যে উপাদান গুলোর শরীরে প্রবেশ করে, সেগুলো আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আপনারা যারা আমাদের সঙ্গে থেকে ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়েছেন তাদেরকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এবং এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url