অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করার উপায় সম্পর্কে জানুন

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকে আপনাদের জানাবো অতিরিক্ত জন নিয়ন্ত্রণ করার উপায় সম্পর্কে। আপনার যদি শরীরের অতিরিক্ত ওজন থাকে তবে অনেক কঠিন রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে আপনার শরীরে। অতিরিক্ত ওজনের ফলে আপনার শরীরে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, অথরাইটিস, অনিদ্রা, পিত্তথলির পাথর, শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত রোগ, ক্যান্সার, বন্ধ্যাত্ব এবং অকাল মৃত্যু হতে পারে।

অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করার উপায় সম্পর্কে জানুন
আপনি যদি শরীরের ওজন কমাতে চান তবে খাওয়ার শেষে মিষ্টি খাবার খাবেন না। ডিম ভাজি বা পোজ বাদ দিয়ে সিদ্ধ ডিম খান একটা ডিমের বদলে দুটো ডিমের সাদা অংশ খান দেখবেন শরীরের ওজন অনেকটাই কমে আসছে। দুইবার খাবারের মধ্যে সময়ের পার্থক্য বেড়ে গেলে শরীরে বিভাগীয় প্রক্রিয়া কমে আসে তাই নিয়মিত খাবার গ্রহণ করুন। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করার উপায় সম্পর্কে।

সূচিপত্রঃ অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করার উপায় সম্পর্কে জানুন

ভূমিকাঃ

অতিরিক্ত ওজন অনেক কঠিন রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। সামান্য ওজন কমলেও অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা পাওয়া যায় মাত্র ৫% থেকে ১০% ওজন কমিয়ে আপনি পেতে পারেন অনেকগুলো স্বাস্থ্য সুবিধা। ওজন যেমন একদিনে আপনার শরীরে বাড়েনি ঠিক তেমনি ওজন কমাতে হবে ধীরে ধীরে। এক মাসে এক থেকে দুই কিলোগ্রাম করে ওজন কমানো একটি স্বাস্থ্যকর পদক্ষেপ। ৬ মাসে ৫% থেকে ১০% ওজন কমানো প্রাথমিকভাবে একটা ভালো লক্ষ্য হতে পারে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করার উপায় সম্পর্কে।

অতিরিক্ত ওজন এর কারণঃ

ওজন বৃদ্ধির মূল কারণ হলো শক্তি গ্রহণ ও তার ব্যবহারের মধ্যে অসংগতি। খাবারের মধ্যে শক্তি ক্যালরি হিসেবে থাকে বয়স লিঙ্গ ওজন তার দৈনন্দিন কাঁচের ওপর আপনার শরীরে ক্যালরি চাহিদা নির্ভর করে। আপনি যদি আপনার প্রাত্তাহিক চাহিদার তুলনায় বেশি ক্যালরি খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ করেন তবেই আপনি স্বাভাবিকের চেয়ে মোটা হয়ে যাবেন।
অজানধিক্য নিরুপনের মাপকাঠি সম্পর্কে জেনে নিন-
বি এম আই= ওজন কেজিতে
 উচ্চতা (মিটারে )২
শ্রেণী                                            বি এম আই                       স্বাস্থ্য ঝুঁকি                 
স্বাভাবিক ওজন                             ১৮.৫-২৪.৯                        নেই
অতিরিক্ত ওজন                             > ২৫                                  মোটামুটি
স্থল হওয়ার পূর্ব অবস্থা                  ২৫-২৯.৯                            বর্ধিত
প্রাথমিক পর্যায়ের স্থুলতা               ৩০-৩৪.৯                           মোটামুটি বেশি
মাঝারি পর্যায়ের স্থুলতা                  ৩৫-৩৯.৯                          মারাত্মক
চূড়ান্ত পর্যায়ের স্থুলতা                    > ৪০                                  অত্যন্ত মারাত্মক
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ গর্ভবতী মা, শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি, অত্যাধিক বেশি সমৃদ্ধ মানুষ যেমন খেলোয়াড় ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়।

ওজন কেন কমাবেনঃ

ওজন বেশি হওয়া নিজেই একটি রোগ এবং তা অন্য অনেক অসুস্থ তার কারণ হতে পারে।
প্রতি এক কেজি ওজন বাড়ার কারণে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা ৯% বেড়ে যায়।
উচ্চ রক্তচাপ বাড়ে।
  • ৪০%এর অধিক হৃদরোগ অতিরিক্ত ওজনের কারণে হয়।
  • প্রতি এক কেজি ওজন বাড়ার কারনে অথোরাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা ৯-১৩% বৃদ্ধি পায়।
  • অতিরিক্ত ওজন বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার এবং শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনাকে বৃদ্ধি করে।
  • অতিরিক্ত ওজন অনিয়মিতস্রাব পলিস্টিক অভারি সিনড্রোম এবং বন্ধ্যাত্বতার অন্যতম কারণ।
  • অতিরিক্ত ওজন গর্ভকালীন জটিলতা যেমন উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস ইত্যাদিকে আরো মারাত্মক গ্রুপটিতে পারে।
  • পিত্তথলির পাথর ও পিত্তথলির রোগ দেখা দেয় আপনার অতিরিক্ত ওজনের কারণে।
  • অতিরিক্ত ওজন ব্যক্তিদের মধ্যে অকাল মৃত্যুর হার বেশি থাকে।
অতিরিক্ত ওজন অনেক কঠিন রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। সামান্য ওজন বেশি অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা পাওয়া যায় মাত্র ৫% থেকে ১০% ওজন কমিয়ে আপনি পেতে পারেন অনেকগুলো স্বাস্থ্য সুবিধা।
  • ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমায় কিংবা যাদের আছে তাদের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের ঔষধের মাত্রা কমায়।
  • উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
  • রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
  • অথ্রাইটিসের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
  • শ্বাস-প্রশ্বাসের উন্নতি ঘটায়।
  • রাতে ভালোভাবে নিশ্চয়তা দেয়।
  • রক্তস্রাবকে নিয়মিত করে।
  • গর্ভকালীন জটিলতা সমূহকে প্রশমিত করে।

কার্যকর ভাবে ওজন কমাতে হয় কিভাবেঃ

ডায়বেটি, হৃদরোগ, ইত্যাদি এর মত অতিরিক্ত ওজনও একটি মারাত্মক রোগ। তাই ওজন কমাতে নিয়মিত খাবার এবং দ্রোহিক শ্রমের সাথে সাথে ঔষধ ব্যবহার করতে হবে, তবে প্রথম পদক্ষেপ যেটি হওয়া উচিত তা হলো আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা। এক মাসে এক থেকে দুই কিলোগ্রাম করে ওজন কমানো একটি স্বাস্থ্যকর পদক্ষেপ। ৬ মাসে থেকে ১০% ওজন কমানো প্রাথমিকভাবে একটা ভালো লক্ষ্য হতে পারে।
মনে রাখবেন, ওজন কমাতে হবে ধীরে ধীরে। আপনার ওজন ১ দিনে বাড়েনি তাই আপনার ওজন একদিনের কমে যাবে এমনটি আশা করাও আপনার উচিত হবে না। ধীরে ধীরে ওজন কমাতে থাকলে আপনার শরীর আপনার খাবারের সাথে মানিয়ে নিতে পারবে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে চারটি উপাদানঃ

  • সহনীয় মাত্রায় ঔষধ শ্রবণ। যেমন-স্লিম ফাস্ট
  • খাদ্যাভাস পরিবর্তন বা অল্প ক্যালোরির কম চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ।
  • শারীরিক শ্রম বৃদ্ধি।
  • মানসিক পরিবর্তন।

অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করার উপায়ঃ 

আমাদের আর্টিকেলের আজকের এই পর্বে আমরা আপনাদের জানাবো অতিরিক্ত ওজন কমানোর উপায় অথবা ওজন নিয়ন্ত্রণ করার উপায় সম্পর্কে। চলুন নিম্নে বিস্তারিতভাবে বিস্তারিতভাবে জেনে নেই।
স্লিম ফাস্ট প্রথম উপাদানঃ
স্লিম ফাস্ট হলো একমাত্র ওষুধ যা স্থায়ীভাবে পরিপাকতন্ত্রে ক্রিয়াশীল এবং যাকাতের চর্বি শোষণে বাধা সৃষ্টি করে। নামক এনজাইম কে বাধা দেয় বলে খাদ্যের চর্বির শোষণ আনুমানিক ৩০ পাচ্ছেন এর মত কমে যায়। এ কারণে শরীরে ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ কমে যায়। ফাস্ট তার কার্যকারিতা সম্পাদনের জন্য রক্তের প্রবেশ করে।
স্লিম ফাস্ট আপনি কখন গ্রহণ করবেনঃ
স্লিম ফাস্ট এর অনুমোদিত মাত্রা হলো ১২০ মিলিগ্রামের একটি করে ক্যাপসুল প্রতিবেলা প্রধান খাবারের পরপরই অথবা এক ঘন্টার মধ্যে খেতে হবে।
স্লিমফাস্ট আপনি কতদিন গ্রহণ করবেনঃ
স্লিম ফাস্ট গ্রহণের কিছুদিন পরেই আপনার ওজন কমাতে থাকবে, তবে আপনার প্রাথমিক লক্ষ্যে পৌঁছতে আপনাকে কমপক্ষে তিন মাস স্লিম ফাস্ট ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত আরো কতদিন সিলেবাস ব্যবহার করতে হবে তা নির্ভর করবে আপনার ওজন কতটা বেশি আপনি কতটা ওজন কমাতে চান আপনার খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক শ্রম কি ধরনের এ বিষয়গুলোর উপর। উল্লেখ্য যে দীর্ঘমেয়াদে চার বছর পর্যন্ত ব্যবহার যথেষ্ট নিরাপদ এবং কার্যকরী।
স্লিম ফাস্ট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ
ওজন কমানোর জন্য ব্যবহৃত অধিকাংশ ঔষধে পরিলক্ষিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো দেখা যায় না। কারণ ফাস্ট রক্তে প্রবেশ করে না যেহেতু স্লিম ফাস্ট চর্বি হজমে বাধা দেয় এবং খাবারের সাথে গ্রহিত বেশিরভাগ চর্বি স্লিমফাস্ট এর প্রভাবে মলের সাথে বের হয়ে যায় এক্ষেত্রে যে অসুবিধাগুলো দেখা দিতে পারে তা হচ্ছে-
  • চর্বি জাতীয় বা তৈলাক্ত মল।
  • অন্রের কনে পরিচলন বৃদ্ধির ফলে দিনে একাধিকবার মলত্যাগ।
লক্ষণগুলো থেকে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন স্লিম ফাস্ট আপনার দেহে কাজ শুরু করেছে। স্লিম ফাস্ট কিভাবে চর্বি কমায়ঃ
ফিল্মফাস্ট খাদ্যের মাধ্যমে গ্রহিত চর্বি শোষণে বাধা দেয়। খাদ্যের চর্বি দৃহে প্রবেশ না করার কারণে প্রয়োজনের তুলনায় চর্বি জাতীয় পদার্থ তথা ক্যালরির যেটুকু ঘাটতি হয় সঞ্চিত চর্বি ভেঙ্গে সে ঘাতটিটুকু পূরণ হতে থাকে। ফলে দেহে সঞ্চিত চর্বি ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং এভাবে দেহের সঞ্চিত মেদ কমার মাধ্যমে ওজন কমাতে থাকে।
দ্বিতীয় উপাদান খাদ্য নিয়ন্ত্রণঃ
কম ক্যালরিযুক্ত খাবার কার্যকর ওজন হ্রাসের পূর্ব শর্ত। দিয়ে দ্রুত ওজন কমাতে খাবারের ক্যালরির পরিমাণ কমানো প্রয়োজন। প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ ক্যালোরির ঘাট সৃষ্টি এ কাজের জন্য যথেষ্ট। গড় হিসেবে পুরুষ বা মহিলাদের হোক না কেন ওজন নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে বিএমআই অনুযায়ী অনুমোদিত ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ নিম্নরুপ-
  • ১০০০- ১১০০ ক্যালোরি/দিন(২৫-২৮ বি এম আই এর জন্য)
  • ১২০০-১৪০০ ক্যালোরি/দিন(২৮.১-৩২ বি এম আই এর জন্য)
  • ১৪০০-১৫০০ ক্যালোরি/দিন(৩২.১-৩৬ বি এম আই এর জন্য)
  • ১৬০০-১৭০০ ক্যালোরি/দিন(৩৬.১-৪০ বি এম আই এর জন্য)
  • ১৮০০-১৯০০ ক্যালোরি/দিন(৪০.১+ বি এম আই এর জন্য)
পরবর্তী অংশে কয়েকটি খাদ্য তালিকা রয়েছে যা বিভিন্ন ক্যালরি মাত্রায় ওজন নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির জন্য তৈরি করা হয়েছে।
ওজন নিয়ন্ত্রণের তৃতীয় উপাদান দৈহিক শ্রমঃ
ওজন নিয়ন্ত্রণে আপনাকে যা করতে হবে তা হল প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে।
  • হালকা ব্যায়াম হতে আস্তে আস্তে ভারী ব্যায়াম অভ্যাস করুন।
  • অল্প ব্যায়াম ও আপনার দেহের অনেক উপকার আনতে পারে।
যদি একটানা ৩০ মিনিট শরীর চর্চা না করতে পারেন তবে ১০ মিনিট করে দিনে তিনবার করুন। সত্যি কথা হলো প্রথম দিকে টানা ৩০ মিনিট পরিশ্রম করা আপনার জন্য খুব কষ্টসাধ্য হবে তাই ব্যায়ামের সময় কিছুক্ষণ বিরতি নিন। খুব ভালো হয় যদি আপনি প্রতিদিন অল্প অল্প করে শারীরিক পরিশ্রমের অভ্যাস করেন। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন দ্রোহিক শ্রমের অভ্যাস করুন।
এমন কিছু দিয়ে শুরু করুন যে আপনার জীবনধারার সাথে মানিয়ে যায়। হাটার সবচেয়ে ভালো বিকল্প হিসেবে ২০ থেকে ৩০ মিনিট সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো বা টেনিস খেলার কথা চিন্তা করতে পারেন। শারীরিক শ্রমের জন্য নিয়ম তান্ত্রিকতা মেনে চলুন।

খাদ্যে ক্যালরি কমানোর কিছু সহজ উপায়ঃ

আমাদের আর্টিকেলের এই পর্বে চলুন আমরা জেনে নিই খাদ্যে ক্যালরি কমানোর কিছু সহজ উপায় সম্পর্কে-
  • খাওয়ার শেষে মিষ্টি খাবার খাবেন না।
  • যথাসম্ভব বর্জন করুন ফাস্টফুড কোমল পানীয় ভাজা খাবার তৈলাক্ত খাবার।
  • বেশি করে শাকসবজি ও ফলমূল খান বেশি মাছ খান চামড়া ছাড়া মুরগি আর লাল মাংস কম খাওয়ার অভ্যাস করুন।
  • ডিম ভাজি বা পোস্ট বাদ দিয়ে সিদ্ধ ডিম খান। একটা ডিমের বদলে দুটো ডিমের সাদা অংশ খান।
  • দুধ চিনি ছাড়া হলে চা কফিতে কোন বাধা নেই কৃত্রিম চিনি ব্যবহার করতে পারেন।
  • রান্নায় বেশি পানি ব্যবহার করুন। তেল মসলা যত কম পারেন কমিয়ে নিন।
  • দই নারকেল ঘি ডালডা এসব দিয়ে রান্না করবেন না ভুনা খাবার বাদ দিন।
  • রান্নায় তেল কমানোর জন্য ননস্টিক পেন ব্যবহার করুন।
  • খাবার গেলার আগে খুব ভালো করে চিবিয়ে নিন।
  • সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। ৬ থেকে আট গ্লাস খাবার আগে এক থেকে দুই গ্লাস পানি পান করুন এদের দ্রুত দীর্ঘস্থায়ীভাবে আপনার পেট ভরার অনুভূতি আসবে।
  • খাবার সময় টিভি দেখা খবরের কাগজ পরা বন্ধু বা পরিবারের অন্যদের সাথে গল্প করা থেকে বিরত থাকুন।
  • স্নেহ বর্জিত দুধ বেছে নিন কিংবা দুধ জাল দিয়ে ঠান্ডা করার পর দুধের সরিয়ে নিন।
  • উচ্চ ক্যালোরের খাদ্যগুলো বাদ দিয়ে নিম্ন ক্যালোরের খাদ্য দিয়ে একটা সুষম খাদ্য তালিকা তৈরি করুন ও তা মেনে চলুন।
  • তাজা ফল খান কাস্টার্ড বা জুশ হিসেবে নয়।
কতটুকু চর্বি আমাদের খাওয়া উচিতঃ
খাবারের চর্বি কমানোর অনেক পদ্ধতি আছে। অধিকাংশ খাদ্য সংস্থা প্রতিদিনের খাবারের মধ্যে ৩০% এর বেশি চর্বি অনুমোদন করেন না।
অল্প ক্যালোরি যুক্ত সাকঃ
পালং শাক, লাল শাক, কলমি শাক, ডাঁটা শাক, কচু শাক ইত্যাদি।
অল্প ক্যালোরিযুক্ত সবজিঃ
ফুলকপি, বাঁধাকপি, কাঁচা টমেটো, মুলা, কাঁচা পেঁপে, ওলকপি, শশা, খিরা, উচছে, করলা, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, পটল, চাল কুমড়া , ডাটা , সজনে, বেগুন, পাকা টমেটো, কাঁচা মরিচ।
অল্প ক্যালোরি ফলঃ
কালোজাম, লেবু, আমড়া, জাম্বুরা, কামরাঙ্গা, বাঙ্গি, জামরুল, আমলকি, কাচি ডাবের পানি।

উপসংহারঃ অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করার উপায় সম্পর্কে জানুন

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, প্রতিদিন ৩ বেলা খাবার অভ্যাস করুন। সকালের নাস্তা দুপুর ও রাতের খাবার। কোন বেলা খাবার বাদ দেওয়া ঠিক নয়, কারণ এতে আপনি এমন ক্ষুধার্ত হবেন যে পরবর্তী আহারের সময় আপনি প্রয়োজনা অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলবেন। এছাড়াও দুইবার খাবারের মধ্যে সময়ের পার্থক্য বেড়ে গেলে শরীরের বিপাকীয় প্রক্রিয়া কমে আসে। সেজন্য নিয়মিত খাবার গ্রহণ করুন।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url