মুখের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো মুখের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়। আমরা সকলেই চায় স্বাস্থ্যজ্জ্বল সুন্দর একটি ত্বক। সেজন্য আমরা সবাই সচেতন থাকি ত্বক নিয়ে সবসময়। সুন্দর রাখতে নানা রকম প্রোডাক্ট ব্যবহার করি আমরা আমাদের ত্বকে। ঘরোয়া ভাবেও অনেকে ত্বকের রূপচর্চা করে থাকি। কিন্তু তারপরেও দেখা যায় আমাদের অনেকেরই কিছু না কিছু সমস্যা থেকে যায়।
আমাদের অনেকের মধ্যেই ত্বকের সমস্যার অন্যতম একটি কারণ হলো চোখের নিচের কালো দাগ বা ঠোঁটের পাশে কালো দাগ। এই সমস্যার কারণ আমরা অনেকেই খুঁজে পায় না এই সমস্যার কারণ হতে পারে হাইপার পিগমেন্টেশনের জন্য। বাড়িতে তৈরি কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ে আপনার এই সমস্যার মুক্তি মিলতে পারে।
সূচিপত্রঃ মুখের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
ভূমিকাঃ
প্রতিটি মেয়ের স্বপ্ন সুন্দর মুখ আর সেটার জন্য তারা অনেক কঠোর পরিশ্রম করে থাকেন। কিন্তু মুখের কালো দাগ সে স্বপ্ন পূরণ করতে দেয় না শুধু ব্রণের দাগ নয় মুখে চারপাশের কালো দাগ মুখে সৌন্দর্য নষ্টের অন্যতম কারণ। আমরা সকলেই চাই আমাদের ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হোক। বর্তমান যুগে শুরু করে সকলেই ত্বক ফর্সা করতে চাই।
এবং আপনার সৌন্দর্য বাধা সৃষ্টি করে। আপনি কি আপনার মুখের কালো দাগ দূর করতে চান কোন কেমিক্যাল পণ্য ব্যবহার করা ছাড়াই তাহলে জেনে নিন ঘরোয়া উপায়ে মুখের কালো দাগ দূর করার সহজ উপায় গুলো আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে।
মুখের কালো দাগের কারণঃ
মুখে কালো দাগ পড়লে সেগুলোর চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না বর্তমান সময়ে এখনো কিছু লোক প্রসাধনে কারণে সেগুলোকে অপসারণ করতে চাইতে পারে। একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ মুখের কালো দাগ দূর করতে লোশন বা অন্যান্য পদ্ধতিতে সেগুলো অপসারণ করতে পারেন।
- লিভারের সমস্যা থাকলে অনেকের মুখে কালো দাগ স্পট দেখা যায়।
- মুখের কালো দাগের আরও একটু নতুন কারণ হলো বেশি রোদে ঘুরে বেড়ানো রোদে বেড়ানোর আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগাবেন মুখে।
- হরমনের কারণে, ওষুধের কারণে।
কালো দাগের কারণ এর আকার এবং এটা শরীরের কোথায় অবস্থিত তার ওপর নির্ভর করে উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। আপনার মুখে কালো দাগ থাকলে ত্বক বিশেষজ্ঞ মুখের কালো দাগ গুলি কিভাবে দূর করবেন তার জন্য নিম্নলিখিত চিকিৎসার মধ্যে থেকে আপনি একটি চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন-
লেজার থেরাপিঃ
বর্তমানে আরো বেশি সংখ্যক ব্যক্তি বিভিন্ন লেজার পদ্ধতি ব্যবহারে মাধ্যমে ত্বকের কালো দাগ দূর করতে চেষ্টা করে। একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ত্বকের কালো দাগের উপর একটি লেজার রশ্মি ফোকাস করে এটি করেন। লেজার থেরাপি প্রক্রিয়াটি একটি ধীর কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী সমাধান প্রদান করে। লেজার থেরাপি আগে টেস্ট টেস্টিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি বিপন্নতাকে আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে। আপনার মুখের কালো দাগ দূর করার জন্য এটি একটি সেরা উপায়।
প্রেসক্রিপশন এর ঔষধঃ
ব্লিচিং ক্রিম ব্যবহার করার মাধ্যমে মুখের কালো দাগ কারো বাদামে ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যেতে সাহায্য করে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের চিকিৎসায়। এই ক্রিমগুলোতে প্রায়শই ট্রেটিনোইন বা হাইড্রো কুইনন এর মত রেডিও নেট থাকে। এ থেরাপির কাজ শুরু করতে কয়েক মাস সময় লাগে।
মাইক্রো ডারমা ব্রেশনঃ
এখন ত্বক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ত্বককে এক্সপ্লোরিয়েট করে এমন বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে যাতে ব্রণের দাগ সূর্যের দাগ এবং অন্যান্য সম্পূর্ণ তাকে হালকা করার জন্য মাইক্রোডার্মেশন ট্রিটমেন্ট সময় ত্বকের উপর স্তরটি শুকনোভাবে অপসারণ করে। এই পদ্ধতি বাধাহীন শান্ত এবং সেরা। এবং মাইক্রোডামা ব্রেশন চিকিৎসা মুখের কালো দাগ দূর করার অন্যতম চিকিৎসা হিসেবে বিবেচিত। তবে এই চিকিৎসার ফলে আপনার ত্বকে সংক্ষিপ্তভাবে খোলা হতে পারে। তবে এর নিরাময়কাল নেই।
রাসায়নিক খোসাঃ
ত্বকের উপরের স্তর অপসারণের পরে রাসায়নিক খোসা ত্বকের পুনর্জন্ম কে উৎসাহিত করে। ত্বকের গভীর স্তর গুলি শক্তিশালী খোসা দ্বারা চিকিৎসা করা হয় তবে তাদের নিরাময়ের জন্য আরো সময় প্রয়োজন।
মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়ঃ
মুখের কালো দাগ দূর করার জন্য বিভিন্ন রকমের চিকিৎসা রয়েছে যেগুলো সাধারণত অনেকগুলি উপাদান এবং DIY নিরাময়ে রয়েছে যা প্রাকৃতিকভাবে কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। লেবুর রস একটি ভালো উদাহরণ কারণ এটি অম্লীয় প্রাকৃতিক এবং পিগমেন্টেশন হ্রাস করে এটি এ পদ্ধতিতে দরকারি করে তোলে।
আপনার মুখের কালো দাগ দূর করার জন্য আপনি আলুর টুকরো ঘসুন। আলু দাগ হালকা করতে এবং ত্বকের অন্যান্য অসম্পূর্ণতা দূর করতে সাহায্য করতে পারে এবং প্রাকৃতিকভাবে মুখের কালো দাগ দূর করতে পারে। আলুর এনজাইম সুস্থ ত্বকের সমর্থন করে যখন তাদের স্টার্স পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে।
মুখের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়ঃ
মুখের কালো দাগ দূর করার জন্য ঘরোয়া ভাবে কিছু টোটকা রইলো যা আপনাদের সহায়তা করতে পারে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক মুখের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়-
লেবুর রসঃ
আমরা সকলেই জানি লেবুর অনেক উপকারিতা রয়েছে। লেবু মুখের কালো দাগ দূর করতে ব্যবহার করা যেতে পারে কারণ লেবুতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড ব্লিচিং এজেন্টের কাজ করে যা মুখের কালো দাগ সরাতে সাহায্য করে।
আপনি প্রথমে কয়েকটি লেবু থেকে রস বের করে নিন এরপরে এক টেবিল চামচ দই দিন। লেবুর রসের সঙ্গে এক টেবিল চামচ দই মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। সে প্যাকটি কালো দাগের উপর প্রয়োগ করুন এবং কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
বাটার মিল্কঃ
আপনার মুখের কালো দাগ দূর করতে এবং চামড়া হালকা করতে সাহায্য করে বাটার মিল্ক। কারণ এতে রয়েছে ল্যাকটিক এসিড সমৃদ্ধ যা আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে। কয়েক টুকরো তুলোর বল বাটার মিলকে ডুবিয়ে নিন এবং সেটা কালো দাগের সরাসরি প্রয়োগ করুন। এরপরে মুখে লাগানোর ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন বিশ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
মধুঃ
মধুতে রয়েছে উপস্থিত এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং আন্টি ইনফ্লু মেটরি উপাদান যা মুখের কালো দাগ যোগ কমাতে সহায়তা করে। মধু আপনার মুখের চামড়া এবং ঠোঁটের দাগ কমাতে অপরিসীম ভূমিকা পালন করে। মধু আপনার ত্বকের স্বাস্থ্যকর বজায় রাখে এবং হাইড্রেট রাখে আপনার ত্বককে।
১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল এবং এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। সে মিশ্রণটি ভালোভাবে আপনার মুখের কালো দাগের অংশে লাগিয়ে ফেলুন, লাগানোর দুই তিন মিনিট পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন দেখবেন উপকার পাবেন।
হলুদ গুঁড়োঃ
হলুদের রয়েছে উপস্থিত এন্টি ব্যাকটেরিয়াল পদার্থ যা স্কিনের ক্ষতির চর্মরোগ হাত থেকে রক্ষা করে এবং রোদে পোড়া কালো দাগ দূর করে আপনার স্কিনের। হলুদ ত্বকে ফ্রি রেডিকেল ড্যামেজ করে এবং মুখের কালো দাগ দূর করে সহজেই।
হলুদের গুঁড়ো লেবুর রস এবং কাঁচা দুধ ভালো হবে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন। আপনার মুখের কালো দাগে লাগিয়ে 10 মিনিট অপেক্ষা করুন। ১০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্যবহার করতে পারবেন এতে করে আপনার মুখের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
পেঁপেঃ
পেঁপে আপনার মুখের স্কাপ হিসেবে কাজ করে। পেপে পেপেইন নামক এনজাইম রয়েছে যা ত্বকের টোন কে ভারসাম্যপূর্ণ করে এবং ত্বককে এক্সপ্লো ইটেড করে। আপনি পেঁপে পেস্ট করে লেবুর রস মিশিয়ে নিন ভালোভাবে এরপরে সেই লেবুর রস এবং পেঁপে ভালোভাবে মিশে গেলে আপনার মুখের স্ক্রিনে লাগান।
লাগানোর ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন এরপর যখন দেখবেন শুকিয়ে গেছে তখন আপনি পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।পেঁপের স্কাপ আপনি সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করতে পারেন এতে করে আপনার মুখের কালো দাগ দূর হবে এবং আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলবে এই পেঁপে।
কমলালেবুর খোসাঃ
কমলার খোসায় রয়েছে মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়। কারণ কমলার খোসায় ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম যা ফ্রী রেডিক্যাল এর বিরুদ্ধে লড়াই করার পাশাপাশি টকের কোষ কে পূর্ণরূপ জীবিত করতে পারে। সেজন্য আপনার মুখের কালো দাগ দূর করার জন্য কমলার খোসা বাটা ব্যবহার করতে পারেন।
প্রথমে কমলার খোসা গুঁড়ো করে নিন এবং দই মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে নিন। এরপরে এসে আপনার মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। লাগানোর পরে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট রেখে দিন শুকানোর জন্য, আপনার মুখে শুকিয়ে যাবে তখন আপনি পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টমেটোঃ
আপনাদের মধ্যে যাদের মুখে কালো দাগের সমস্যা রয়েছে তারা টমেটো ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আশা করি ভালো ফল পাবেন কারণ এটি একটি পরীক্ষিত। টমেটো স্কিনের জন্য খুব ভালো এটি স্ক্রিন টোনার হিসেবে কাজ করে। টমেটো আপনার মুখে প্রাকৃতিক আভা নিয়ে আসবে এবং আপনার মুখের কালো দাগ খুব সহজেই দূর করে দিবে।
আপনি প্রথমে একটা টমেটো পেস্ট করে নিন, এরপরে সেই পেজটি মুখে লাগিয়ে রাখুন প্রায় দশ মিনিট ধরে, ১০ মিনিট পর যখন দেখবেন শুকিয়ে গেছে তখন আপনি ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেবেন দেখবেন আপনার মুখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলবে এই টমেটো।
এলোভেরাঃ
অ্যালোভেরা গাছে অ্যান্টি এজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে এটা মুখের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের বিবর্ণতা কমায়। এলোভেরার গুনাগুন এত বেশি যে প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে এলোভেরা হচ্ছে একটি অন্যতম গাছ। এটি মুখের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের বিপন্নতা কমায়।
এলোভেরা আপনার মুখের চমৎকার মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে এবং আপনার ত্বককে মসৃণ এবং নরম করে তুলতে সাহায্য করবে। আপনি এলোভেরা গাছের পাতা থেকে জেল বের করে নিন এরপরে এই জেল মুখের কালো দাগের অংশে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন দিনে দুবার করলে আপনি কিছু স্বপ্নের মধ্যে রেজাল্ট পাবেন দেখবেন আপনার মুখ হবে মসৃণ কমল ও দাগ মুক্ত।
ওটমিলঃ
ওটমিল শুধু সকালের নাস্তার জন্য নয় এটা আপনার স্কিনের জন্যও অনেক উপকারে আসে। আপনি শুনলে হয়তো অবাক হবেন ওল্ড মিল মুখের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। জেনে নেওয়া যাক ওট মিল ব্যাবহার করে মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়-
প্রথমে আপনি ওটমিল নিন এর পরে এক দুই চামচ লেবুর রস নিন।আধা কাপ মত ওটস নিয়ে পিষে নিন এতে ১-৭ মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।এই পেস্টটি আপনার ত্বকের স্ক্রাব করুন।১৫ মিনিটের মত রেখে উষ্ণ পানি জল দিয়ে মুক্ত হয়ে ফেলুন। যাদের মুখে প্রচুর কালো দাগ আছে তারা সপ্তাহে এক থেকে দুইবার এটি ব্যবহার করতে পারেন।
আলুঃ
আমরা অনেকেই জানিনা আলু কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। আলুর রসে চোখের নিজের কালো দাগ মুখের দাগ দূর করে। আপনি প্রথমে একটি আলোচিত করে রস বের করে নিন এবং সেই রসের ভেতর মধু মিশিয়ে নিন। সেই মিশ্রণটি কালো দাগের জায়গায় লাগিয়ে রাখতে হবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। এরপরে যখন দেখবেন শুকিয়ে গেছে তখন পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
চালের গুড়াঃ
রোদে পোড়া দাগ এবং মুখের কালো দাগ দূর করার জন্য আপনাকে কয়েকটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। প্রথমে আপনি আপনার প্রয়োজনমতো চালের গুড়া তিন চা চামচ কাঁচা দুধ ও দুই থেকে তিন চা চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এরপরে সেই পেজটি আপনার মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন।
লাগানোর পরে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন দেখবেন পেজটি মুখে খুব ভালোভাবে লেগে শুকিয়ে গেছে এর পরে আপনি অন্য গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন।
চালের পানিঃ
কিছু চাল ধুয়ে নিন এরপর এই ধোয়া চাল পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সেই পানি একটি কাঁচের পাত্রে দুই থেকে তিন দিনের জন্য রেখে দিন। এরপর নিয়মিত এটি ব্যবহার করুন আপনার মুখে। চালের পানি কালো দাগ ত্বকের টানিং এবং পিক পেন্টেনশন হ্রাস করতে সহায়তা করতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে এই পানিতে থাকা খরচ গুলো ত্বকের কোষের টাইরোসিনেস ক্রিয়া-কলাপকে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে যা ত্বকের বিভিন্ন তার জন্য দায়ী। যার ফলে আপনার টক হবে মসৃণ এবং দাগ মুক্ত।
শসাঃ
শসা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। প্রথম একটি শসা ভালো করে ব্লেন্ড করে নিয়ে এর সাথে সামান্য পরিমাণ হলুদ গুঁড়ো ও লেবুর রস নিয়ে এটি একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। এরপরে এটি আপনার সম্পূর্ণ মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে শুকানোর জন্য অপেক্ষা করুন। যখন দেখবেন শুকিয়ে গেছে তখন আপনি কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন ভালোভাবে। এতে করে আপনার মুখের কালো দাগ দূর হবে এবং মুখের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
উপদেশঃ
- পর্যাপ্ত পানি পান করুন সেই সঙ্গে প্রচুর তাজা শাকসবজি ও ফলমূল খান।
- মুখে মেকআপ ব্যবহার করলে অবশ্যই তা পরিষ্কার করে ঘুমাতে যাবেন।
- ত্বকের সঙ্গে মানানসই এমন ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।
- কোন স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট বা ফেসপ্যাক ব্যবহার করার পর যদি তোকে জ্বালাপোড়া বা চুলকানি হয় তবে সেটি ব্যবহার করা বন্ধ করে দিন।
- আপনি যখন রোদে বের হবেন তখন আপনার ওড়না দিয়ে ঢেকে নিন। ছেলেরা ক্যাপ ব্যবহার করতে পারেন তবে রোদ প্রখর হলে তা থেকে বাঁচতে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করুন।
উপসংহারঃ মুখের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
পরিশেষে আমি বলতে চাইছে, আপনারা যারা এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন মুখের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়গুলো। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার পরে যদি আপনি এটা থেকে উপকৃত হন তবেই আমাদের লেখা সার্থক হবে।
এবং এই আর্টিকেলটি থেকে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট টি ভিজিট করুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url