মুখে ছত্রাক সংক্রমণ কেন হয় - এর কারণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, মুখেআমাদের আজকের আমরা আপনাদের জানাবো সংক্রমণ কেন হয়। ওয়াল্ট্রাস ইস্ট ফাঙ্গাস কেন ডিডা এল বিকিনিস দ্বারা মুখের মিউকাস মেমব্রেনে সংক্রমণ সৃষ্টি করে থাকে। যখন ফাঙ্গাস ক্যানডিডা অ্যালবেকানস মুখের মিউকাস মেমব্রেনে জমা হয় তখন ছত্রাক এর সৃষ্টি হয়।
কৃমি হোয়াইট ফাকিং সংযুক্ত সাদা সংক্রমণ সৃষ্টি করে যা সাধারণত অথবা চিবুক অভ্যন্তরে দেখা যায়। এ ধরনের সংক্রমণ ব্যাখ্যা হতে পারে আবার সংক্রমণ স্থল থেকে ব্রাশ করার সময় মেয়েদের রক্ত বের হতে পারে।
সূচিপত্রঃ মুখে ছত্রাক সংক্রমণ কেন হয় - এর কারণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার
ভূমিকাঃ
ছত্রাক সংক্রমণ সাধারণ এবং শরীরের বিভিন্ন অংশকে প্রভাবিত করতে পারে, অস্বস্তি এবং অসুবিধার কারণেও ছত্রাক হতে পারে যদিও চিকিৎসা পাওয়া যায় অনেক লোক এই সমস্যাগুলিকে কার্যকর ভাবে সমাধান করার জন্য প্রাকৃতিক ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। ছত্রাকের সংক্রমণ বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক দ্বারা সৃষ্টি হয়, যা সাধারন পরিবেশে পাওয়া অনুজিব।
যদি আপনি আপনার শরীরে ছত্রাক সংক্রমণ সন্দেহ করেন, তবে দেরি না করে অতিশীঘ্রই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন এবং সঠিক রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা গ্রহণ করুন। আপনি যদি এলার্জির প্রতিক্রিয়া বা ত্বকের সংবেদনশীলতা পরীক্ষা করার জন্য কোন নতুন প্রতিকার ব্যবহার করেন তবে সেটা করার আগে এটি পরীক্ষা করতে ভুলবেন না। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক মুখে ছত্রাক সংক্রমণ কেন হয় - এর কারণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার।
মুখে ছত্রাক সংক্রমণ কেন হয়ঃ
মুখ গহবরে বিশেষ করে জিহবা এবং বাড়িতে ফাংগাল প্রলিফারেশনকে ছত্রাকের সংক্রমণ বলা হয়। ইস্ট ফাঙ্গাস ক্যানডিডা এল বিকনোস দারা মুখের মিউকাস সংক্রমণ সৃষ্টি করে থাকে।, তখন ফাঙ্গাস কেন্টিডা অ্যালবিকানস মুখের মিউকাস মেমব্রেনে জমা হয় তখন মুখের ছত্রাকের সৃষ্টি হয়। এ রোগের সাধারণত নবজাতক শিশু, কৃত্রিম দাঁত ব্যবহারকারী ডাইবেটিক রোগী, এন্টিবায়োটিক চিকিৎসাধীন রুগি, নেশাগ্রস্থ মানুষ অপুষ্পিতা ভোগা দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ত্রুটিজনিত জনগোষ্ঠী।
মুখে ছত্রাক সংক্রমনের কারণঃ
ছত্রাক উষ্ণ স্যাঁত সাথে সাথে এবং অন্ধকার পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে যা শরীরের নির্দিষ্ট অংশগুলিকে সংক্রমণের জন্য আরও সংবেদনশীল করে তোলে। ছত্রাকের সংক্রমণ বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট হয় যা সাধারণত পরিবেশে পাওয়া অনুজিব। মুখে ছত্রাক সংক্রমণের নানা রকম কারণ রয়েছে নিম্নে কয়েকটি কারণ তুলে ধরা হলো-
বয়সঃ
ছত্রাক সংক্রমনের নির্দিষ্ট কোন বয়স থাকে না এটা সব বয়সের মানুষকেই প্রভাবিত করতে পারে।
এন্টিবায়োটিক এবং স্টেরয়েডঃ
এন্টিবায়োটিক বা স্টেরেট দীর্ঘায়িত ব্যবহার অণুজীবের ভারসাম্য ব্যাহত করতে পারে, এবং ছত্রাক সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়ায়।
দুর্বল নখঃ
আপনার নখ যখন দুর্বল এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন নখে ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে।
ত্বকের ভাজে অতিরিক্ত আদ্রতাঃ
ইন্টারট্রিগর মত সংক্রমণ ত্বকের ভাগ আছে ঘটতে পারে যেখানে আদ্রতা আটকে যায় এবং ছত্রাক সংক্রমণ হয়।
টাইট পোশাক পরাঃ
আঠাটা পোশাক পরা যা আদ্রতাকে আটকে রাখে ছত্রাকের বৃদ্ধির জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারে বিশেষ করে ঘর্ষণ এবং ঘামের প্রবণ এলাকায়।
সেতসেতে পাদুকাঃ
দীর্ঘ সময় ধরে পাশ একসাথে বা ঘামাক্ত জুতা এবং বজায় রাখলে এসিডের পায়ের মতো অবস্থা হতে পারে এবং আপনার পায়ে ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে।
খারাপ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাঃ
অপর্যাপ্ত ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ছত্রাকের বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে পারে এবং আপনার শরীরের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
দুর্বল ইমিউন সিস্টেমঃ
অসুস্থতা বা চিকিৎসা পরিস্থিতি এর মত কারণগুলির কারণে দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
উষ্ণ এবং আদ্র পরিবেশঃ
ছত্রাক উষ্ণ এবং আদ্র পরিবেশে বৃদ্ধি পেতে থাকে যেমন পাবলিক শাওয়ার সুইমিং পুল এবং ঘামাক্ত জুতা বা মজা থেকে।
ত্বক থেকে ত্বকের সাথে যোগাযোগঃ
ছত্রাকের সংক্রমণ ব্যক্তি বা দূষিত পৃষ্ঠের সাথে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে যেমন- তোয়ালে, পোশাক বা খেলাধুলার সরঞ্জাম থেকে।
মুখে ছত্রাক সংক্রমণের লক্ষণঃ
মুখে ছত্রাক সংক্রমণের লক্ষণ শরীরে প্রভাবিত এলাকার ওপর নির্ভর করে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক মুখে ছত্রাক সংক্রমণের লক্ষণগুলো-
মুখে সাদা দাগঃ
মুখের মধ্যে একটি ছত্রাকের সংক্রমণ যিহোবা ভিতরের গালে বা গলায় সাদা দাগ হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে।
অপ্রীতিকর গন্ধঃ
ছত্রাকের নখের সংক্রমণের মতো সংক্রমণ একটি দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে আপনার শরীরে।
খোসা ছাড়ানো ত্বকঃ
ছত্রাকের কারণে আপনার ত্বকে খোসা ছাড়াতে বা ফাটাতে শুরু করতে পারে যার ফলে আপনার শরীর ব্যথা হতে পারে এবং আরো নানারকম সংক্রমণের ঝুঁকি হতে পারে।
ফুসকুড়িঃ
আপনার শরীরে যদি ছত্রাকের আক্রমণ হয় তবে আপনার শরীরে ফুসকুড়ি তৈরি হবে যা ত্বকে লাল বা আশ যুক্ত ছোপ হিসেবে দেখা দিতে পারে।
চুলকানিঃ
আপনার শরীরে যদি শত্রাকের সংক্রমণ হয় তবে আপনার ত্ব ক বিশেষ করে মুখে চুলকানির সৃষ্টি হবে।
লালভাবঃ
মুখে যদি ছত্রাক এর সংক্রমণ হয় তবে প্রভাবিত এলাকায় লাল ভাব সৃষ্টি হতে পারে যা অস্বস্তি এবং সংবেদনশীলন তার দিকে পরিচালিত করে।
ফোস্কাঃ
কিছু কিছু ছত্রাক আছে যেগুলোর ফলে আপনার শরীরে তরল ধরা ফোসকা তৈরি হতে পারে যেমন অ্যাথলেটর পা বা হারপিসের ক্ষেত্রে।
ব্যথা বা অস্বস্তিঃ
আপনার শরীরে যদি ছত্রাকের সংক্রমণ হয় তবে সেটা বেদনাদায়ক হতে পারে বিশেষ করে যদি তারা শরীরে সংবেদনশীল অঞ্চলগুলিকে প্রভাবিত করে বা ত্বকের গভীরের স্তরে প্রবেশ করে তবে আপনার শরীরে ব্যথা বা অস্বস্তি তৈরি হতে পারে।
বিবর্ণ নখঃ
আপনার ত্বকের পরিবর্তে না খেয়েও ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে যেমন-অনাঙ্মাকোমায় কোসিস, নখের রং বিবর্ণ, ঘন এবং ভঙ্গুর হতে পারে।
যনি স্রাবঃ
অনেকের ছত্রাক সংক্রমণ জনি স্রাবে হতে পারে। মহিলারা অস্বাভাবিক জনস্রাব চুলকানি এবং জ্বালা অনুভব করতে পারে। এই লক্ষণ গুলি যদি আপনার দেখা দেয় তবে দেরি না করে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
মুখে ছত্রাক সংক্রমণের চিকিৎসাঃ
মুখে ছত্রাক সংক্রমণের প্রতিকারঃ
মুখে ছত্রাক সংক্রমণের প্রতিকারের জন্য নিম্নে কয়েকটি উপায় তুলে ধরা হলো-
- হোমমেড কিছু রেমেডি আছে ওইগুলো মেনে চলতে হবে।
- দুই চা চামচ ভিনেগার প্লাস এক চা চামচ লবণ এবং একগ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে করবেন প্রতিদিন।
- টক দই খেতে হবে।
- গ্রিন টি খেতে হবে।
- ব্রেকিং সোডা দিয়ে মুছতে হবে ফ্লোর।
- বোরিক অ্যাসিড মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন আপনার প্রয়োজনীয় কাজে।
- নারিকেল তেল ব্যবহার করতে হবে।
- গরম পানি এক চা চামচ লবণ নিয়ে কুলকুচি করবেন।
- ব্রাশ করার সময় জিহ্বা পরিষ্কার রাখতে হবে।
উপসংহারঃ মুখে ছত্রাক সংক্রমণ কেন হয় - এর কারণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার
পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, ছত্রাকের ভিত্তিতে উৎসাহিত করে এমন ট্রিগার গুলি এড়িয়ে চলুন এবং ছত্রাক সংক্রমণ পরিচালনার জন্য একটি সামগ্রিক এবং সফল পদ্ধতির নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url