নবান্ন উৎসব কাকে বলে - নবান্ন উৎসব কখন হয়

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকে আমাদের আর্টিকেল থেকে আমরা আপনাদের জানাবো নবান্ন উৎসব কাকে বলে - নবান্ন উৎসব কখন হয়। বাংলার কৃষিজীবী সমাজের শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে যে সকল আচার অনুষ্ঠান ও উৎসব পালিত হয় নবান্ন তার মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী ধানের বা পিঠার উৎসবকেই বলা হয় নবান্ন উৎসব। সাধারণত বাংলা অগ্রহায়ণ মাসে অর্থাৎ হেমন্তকালের আমন ধান পাকার পর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

নবান্ন উৎসব কাকে বলে - নবান্ন উৎসব কখন হয়

নবান্ন শব্দের অর্থ "নতুন অন্ন" বা নব "অন্ন"। নবান্ন উৎসব একেবারে আদিকাল ধরে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। গ্রামের মতো শহরেও থাকবে বন্যার্ধ আয়োজন ঢাকার শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গনে নাগরিক নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়। নবান্ন উৎসবে বিভিন্ন রকম পিঠাপুলির আয়োজন করা হয়।

সূচিপত্রঃ নবান্ন নতুন উৎসব কাকে বলে - নবান্ন উৎসব কখন হয়

ভূমিকাঃ

হেমন্তের শেষে শীতের প্রারম্ভে আগ্রহণ মাসের শেষের দিকে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে গ্রাম বাঙালার ঘরে ঘরে জলে নবান্ন উৎসব। নবান্ন মানে নব + অন্য অর্থাৎ নতুন অন্য। শরৎকাল শেষ হতে না হতেই চলে আসে হেমন্ত। ঘাসে লাগে কুয়াশার আলোতে হাতের স্পর্শে তৈরি মিষ্টি শিশুর বিন্দু। নাসিক না গরম অদ্ভুত মনরব এক আবেশে মন জুড়িয়ে যায়।

আকাশ জুড়ে সাদা মেঘের আঁচলে দেখা যায় নীল রংয়ের ছোট ছোট টিপ।সারা বাংলাদেশে ফসল কাটাকে কেন্দ্র করে নানা উৎসব প্রচলিত আছে। এক এক জায়গায় এক এক রকমের নাম তবে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের এই নবান্ন উৎসব বেশি দেখা যায়। অগ্রহায়ণ মাস এলে জলে ধান কাটার উৎসব। কৃষকেরা আনন্দের সঙ্গে গান গেয়ে শক্ত কাজগুলো করে থাকে।

নবান্ন উৎসব কাকে বলেঃ

নবান্ন শব্দের অর্থ "নতুন অন্য"। নবান্ন উৎসব হলো নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব কে বলা হয় নবান্ন উৎসব। সাধারণত বাংলা অগ্রাহায়ন মাসে অর্থাৎ হেমন্তকালে আমন ধান পাখার পর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয় কোথাও কোথাও মাঘ মাসেও নবান্ন উদযাপিত হয়।

কৃষকেরা হেমন্তকালের নতুন ধান ঘরে তোলার পর সেই ধান থেকে যে চাল তৈরি হয় সে চাল দিয়ে যে উৎসবের আয়োজন করে তাকে বলা হয় নবান্ন উৎসব। কৃষিজীবী সমাজের শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে যে আচার অনুষ্ঠান উদযাপিত হয় নবান্ন তার মধ্যে অন্যতম। নবান্ন শব্দের অর্থ নতুন অন্য নবান্ন উৎসব হলো নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান দিয়ে যে উৎসব পালন করা হয় তাকে নবান্ন উৎসব বলা হয়।

নতুন চালের রান্না ফলক খায় যেতো উৎসবই নবম উৎসব নামে পরিচিত। কৃষিজীবীর সমাজের শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে যে সকল আচার অনুষ্ঠান ঔষধ সব পালিত হয় নবান্ন সেগুলোর অন্যতম। সাধারণত অগ্রাহায়ন মাসে আমন ধান পাকার পর এই নবান্ন উৎসব শুরু হয়। হাজার হাজার বছর আগে কৃষি প্রথা যখন চালু হয়েছিল অনুমান করা হয় তখন থেকে নবান্ন উৎসব পালন করে আসছে বাঙালি জাতি।

আমাদের দেশে আবহমান কাল ধরে প্রচার উৎসব সবচেয়ে অসাম্প্রদায়িক সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী এবং সবচেয়ে প্রাচীনতম মাটির সঙ্গে চিরবন্ধন উৎসব। তাই নবান্ন উপলক্ষে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে কৃষকের ঘরে ঘরে আনন্দের সারা পড়ে যাই। কৃষকেরা আঙ্গিনা লেটে মুছে ঝকঝকে টকটকে করে তোলা হয়। নতুন কাস্তে ডালি খোলা চালনি ঝাঁটা চাটাই তৈরি হয় কৃষকের মাথায় অথবা কোমরের নতুন গামছা বেঁধে সোনার ধান কেটে নিয়ে আসে উঠানে।

কৃষকের ঘরে তখন ব্যস্ততা বেড়ে যায় ধান মাড়ায় ঝাড়ায় সিদ্ধ শুকানো চাল আটা তৈরি করা আর রকমারি রান্না নিয়ে। অবশ্য যান্ত্রিকতার ছোঁয়ায় এখন আর ঢেঁকির তালে মুখরিত হয় না আমাদের গ্রামগুলো তারপরেও নতুন চালের ভাত নানা ব্যাঞ্জন মুখে দেওয়া হয় আনন্দঘন পরিবেশে। তৈরি হয় নতুন চালের পিঠা পুলির পায়েস ইত্যাদি। পল্লীকবি জসীমউদ্দীন হেমন্তে মাঠ ভরা ফসলের সম্ভারে মুক্ত হয়ে বলেন-" আশ্বিন গেল কার্তিক মাসে পাকিলে ক্ষেতের ধান, সারা মাঠ ভরি গাহিছে কে যেন হলদি কোটার গান"। 

নবান্ন উৎসব কখন হয়ঃ

১৯৯৮ সাল থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে নবান্ন উৎসব উদযাপন শুরু হয়। জাতীয় নবান্ন উৎসব উদযাপন পর্ষদ প্রতিবছর পহেলা অগ্রহায়ন তারিখে নবান্ন উৎসব উদযাপন করে। উৎসব বাংলা তিনদিন ব্যাপী উৎসব আয়োজন করে আসছে রমনা বটমূলে। সাংস্কৃতিক সংগঠন শোবিজ এন্টারটেইনমেন্ট রাজধানী ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর বিগত ১২ বছর যাবত তিন দিন ব্যাপী নবান্ন উৎসব ও পিঠা মেলা আয়োজন করে আসছে।

৩৩ টি স্টলে দুইশ ধরনের পিঠা থাকে এছাড়া উৎসব প্রাঙ্গনে উন্মুক্ত মঞ্চে প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত আয়োজন করা হয় নবান্নর নাচ, নবান্নের গান, সাপ খেলা, বানর খেলা, লাঠি খেলা, নাগরদোলা, পুতুল নাটকসহ বিভিন্ন সংস্কৃতি অনুষ্ঠান। শিল্পীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের মানুষ অবহ তেমনি নবান্ন উৎসব বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী উৎসব।

বাংলার কৃষি সমাজে ধান উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে যে উৎসব পালিত হয় তার মধ্যে নবান্ন উৎসব অন্যতম। আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত হয় নবান্ন উৎসব সাধারণ অগ্রায়ন মাসে আমন ধান পাখার পর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে যান্ত্রিকতার ছোঁয়ায় এখন আর ঢেকির মুখরতা নেই গ্রামবাংলায় তার পরেও সেই আনন্দঘন পরিবেশ একেবারে মুছে যায়নি।

নতুন চালের পিঠার জন্য সংগ্রহ করা হয় খেজুরের রস নতুন রস আর নতুন চালের পিঠা হয়ে আছে বাঙালি সংস্কৃতির এক অবিচ্ছদ্য অংশ। কোথাও কোথাও মাঘ মাসে ও নবান্ন উৎসব করতে দেখা যায় নবান্ন উৎসব হিন্দুদের একটি প্রাচীন প্রথা। হিন্দু শাস্ত্রের নবান্নের উল্লেখ এবং কর্তব্য নির্দিষ্ট করা রয়েছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ১৯৯৮ সাল থেকে নবান্ন উৎসব পালন হয়ে আসছে জাতীয় নবান্ন উৎসব উদযাপন পর্ষদ প্রতিবছর পহেলা গ্রহণ তারিখ নবান্ন উৎসব পালন করে থাকে।

হেমন্তর শীত শীত সকালে মাটির চুলায় দেখিতে বাংলা নতুন চালের গুড়া দিয়ে হরেক রকমের পিঠা তৈরি করেন গ্রামের গৃহবধুরা। সেগুলো খেয়ে দিন শুরু হয় পরিবারের সদস্যদের শহরে এই দৃশ্য অপরিচিত তবে এই শহরেও নেওয়া যাবে হরেক রকমের পিঠার স্বাদ। কারণ ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর শুরু হওয়া নবান্ন উৎসবে পিতার স্বাদ নেওয়ার পাশাপাশি উপভোগ করা যাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

প্রাচীন কাল থেকে বাংলার কৃষকেরা নবান্ন উৎসব উদযাপন করে এলেও বর্তমান সময়ে অগ্রহায়ণ কোষের নবান্ন উৎসব আগের মতো তেমন দেখা যায় না। আওয়াজ কানে শোনা যায় না পাড়াগায়ে কৃষক পল্লী এখন যেন নীরব স্তব্ধ। নেই নানার কিংবা আত্মীয়ের বাড়িতে শীতের ধুমধাম আয়োজন। আত্মীয় আছে আগের মতই নেই শুধু মধুর সম্পর্ক মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পেলেও কমনই মনের সংকীর্ণতা। সবাই যেন আন্তকন্দিক কেউ কারো খোঁজ রাখতে চায় না।

বছর ঘুরে আবার এসেছে অগ্রহায়ণ। নবান্নের উৎসব কৃষক পড়া খুব একটা দেখা না গেলেও শীতে পিঠা খাওয়ার পুরনো অভ্যাস বদলাতে পারেনি গ্রাম গঞ্জের মানুষ। তাই গ্রামের অলিগলিতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে স্টেশন গড়ে ওঠা মৌসুমী পিঠার দোকান অফিস গামে পথচারী অনেকেই দেখা যায় পিঠার স্বাদ নিতে। দেরিতে হলেও এখন ভোর এবং সন্ধ্যায় বেশ হিম ভাব অনুভূত হচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে শীত এসে গেছে শীতের বাঙালির মনে পড়ে শীতের পিঠার কথা। পিঠা ছাড়া বাংলার যেন পরিপূর্ণ হয় না শিতে পিঠা খাওয়ালিটি বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতির অংশ।

উপসংহারঃ নবান্ন উৎসব কাকে বলে - নবান্ন উৎসব কখন হয়

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, প্রতিবছর পহেলা অগ্রহণ তারিখ নবান্ন উৎসব উদযাপন করে। বাংলার কৃষিজীবী সমাজের শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে যে সকল আচার অনুষ্ঠান ও উৎসব পালিত হয় নবান্ন তার মধ্যে অন্যতম। নবান্ন উৎসব হলো নতুন আমল ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান পাকার পর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থেকে ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে অবশ্যই শেয়ার করুন এবং এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url