তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - তেতুল খাওয়ার নিয়ম

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকে আপনাদের জানাবো তেতুল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - তেতুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। প্রাচীন কাল থেকে তেতুল তার ওষুধে বৈশিষ্ট্য গুলির জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তেতুল টক মিষ্টি একটি ফল এর স্বাদের জন্য এটি সুপরিচিত বিশেষ করে মেয়েদের কাছে এটি খুবই প্রিয় ফল। বর্তমানে তেতুল ত্বকের এবং চুলের যত্নেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে। 

তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - তেতুল খাওয়ার নিয়ম
তেতুল আমাদের শরীরে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সমাধান করে। যেকোনো জিনিস মাত্রা অতিরিক্ত খেলে আমাদের শরীর নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তেমনি তেঁতুল যদি মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া হয় তবে গ্যাস্ট্রোই টেষ্টাইনাল নাড়ীতে বিশেষ করে পাকস্থলীতে এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। সেজন্য আপনারা যদি এসিড রিফ্লামেন্টসের সমস্যায় ভুগে থাকেন তারা তেতুল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

সূচিপত্রঃ তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - তেঁতুল খাওয়ার নিয়ম

ভূমিকাঃ

তেঁতুল দীর্ঘজীবী বৃক্ষ। তেতুল গাছ কয়েকশো বছর ধরে বেঁচে থাকে আকারেও এই গাছ অনেক বড় হয় দেখতে খুবই সুন্দর অধিক শাখা প্রশাখা থাকায় প্রতিকূলতার সহ্য ক্ষমতা রয়েছে যথেষ্ট। কাচের উচ্চতা সাধারণত ৭০ থেকে ৮০ ফুট হয়ে থাকে এর আদি নিবাস আফ্রিকার শাভানা অঞ্চল। তবে সুদান থেকে বীজের মাধ্যমে বাংলাদেশে বংশবিস্তার হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকায় মূল্যবান খাবারের মধ্যে তেতুলের স্থান অন্যতম বিশেষ করে তরুণীদের বেলায়। তবে অনেকেরই ধারণা তেতুল খাওয়ার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং তেঁতুল খেলে রক্ত পানি হয়ে যায়। ভালো মন্দ উভয়ই আছে। অন্য সময়ের তুলনায় ছেলে মেয়ে তেঁতুল খেতে পারেন তেতুল ভরা পেটে খাওয়াই উত্তম বলে মনে করা হয়। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক তেতুল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা -  তেঁতুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

তেঁতুল  খাওয়ার উপকারিতাঃ

তেঁতুল ছাদের জন্য এটি সকলের কাছে পরিচিত একটি ফল। বিশেষ করে মেয়েদের কাছে এটি খুবই প্রিয় ফল। এর অনেক গুণ রয়েছে এটি পুষ্টিতে ভরপুর প্রাচীনকাল থেকে তেতুল তার ঔষধি বৈশিষ্ট্য গুলির জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক তেতুল খাওয়ার উপকারিতা গুলো-
ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ
লিভারের সমস্যা সমাধান করেঃ
ত্বকে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেঃ
চোখের জন্য ভালোঃ
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করেঃ
চুলের যত্নেঃ
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টঃ
তেতুলে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লোভেটরি বৈশিষ্ট্য ফ্রি রেডিকেল গুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে তেতুলে প্রচুর পরিমাণে তাড়াতাড়ি এসিড রয়েছে যা একটি শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্ট। যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅ্যাক্সিডেন্ট ,তেতুল গলা ব্যথা বা জয়েন্টে ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করেঃ
তেতুল আপনার শরীরের রক্ত চাপ নেওয়া ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং এটি উচ্চ ভাইবার সমৃদ্ধ একটি ফল। আপনি যদি নিয়মিত তেতুল খান তবে আপনার শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল হ্রাস করে ফলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করেঃ
আফ্রিকান উপজাতিরা প্রাচীনকাল থেকে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় তেতুল ব্যবহার করে আসছে। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণ অনেক সময় জ্বর হয় এক্ষেত্রে তেঁতুলের রস বেশ কার্যকর। কারণ তেতুলে এন্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এর ফলে বিভিন্ন ওষুধ হয়ে দাঁড়িয়েছে তেতুল।
হজম শক্তি সমস্যা দূর করেঃ
আপনি যদি নিয়মিত তেতুল খেতে পারেন তবে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং এটি ফাইবার সমৃদ্ধ তাই আমাদের অন্তরের গতিবিধ সহজ করে। প্রাচীন কাল থেকে তেতুল কোষ্ঠকাঠিন্যের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে মেলিক এবং টারটারিক অ্যাসিড রয়েছে। আপনি যদি ডায়রিয়া সমস্যায় পেট ব্যথায় ভোগে থাকেন তবে তেঁতুলের ছাল এবং মূলের নির্যাস কার্যকর ভাবে নিরাময় করতে পারবে।
ত্বক উজ্জ্বল করেঃ
তেতুল স্কাপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তেতুলের পাল্প যুগ যুগ থেকে ত্বকের যত্নে ব্যবহার হয়ে আসছে এটি তোকে মসৃণ ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। ত্বককে এক্সপ্লয়েটেড করতে এবং ডাকমুক্ত উজ্জ্বল ত্বক পেতে তেতুলের রস ব্যবহার করুন যা আপনার ত্বককে হাইটেক রাখতে সাহায্য করবে এবং তত্ত্বের জীবন্ত করবে কারণ তেতুলে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি রয়েছে।
তেঁতুল খাওয়ার অপকারিতাঃ
তেঁতুল খাওয়ার নিয়মঃ

তেতুলের পুষ্টিগুণঃ

প্রতি ১০০ গ্রাম তেতুলের কাঁচা ফলে রয়েছে ২৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং পাকাতে তুলে রয়েছে 170 মিলিগ্রাম।আয়রনের পরিমাণ কাঁচা ফলে এক মিলিগ্রাম এবং পাকা ফলে আছে ১০.৯ মিলিগ্রাম।
কাঁচা ফলে অন্য বস্তু উপাদান গুলো হল-
  •  ১.১ গ্রাম আমিষ
  • ০.২ গ্রাম চর্বি
  • ০.০১ মিলিগ্রাম ভিটামিন ১
  • ০.০২ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি ২
  • ৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি
  • ১.২ গ্রাম খনিজ লবণ এবং খাদ্য শক্তি আছে ৬২ কিলো ক্যালরি
পাকা তেতুলের পুষ্টির পরিমাণ অনেক বেশি। এর প্রতি একটি তেতুলে পুষ্টির পরিমাণ থাকে-
  • ৩.১ গ্রাম আমিষ
  • ৬৪ দশমিক চার গ্রাম শর্করা
  • ০.১ গ্রাম চর্বি
  • ০.০৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি ২
  • ৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি
  • ০.১ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই
  • ১১৩ মিলিগ্রাম ফসফরাস
  • ২৮ মিলিগ্রাম সোডিয়াম
  • ৬২৮ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম
  • ৯২ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম
  • ১.৩ মিলিগ্রাম সিলোনিয়াম
  • ০.১২ মিলিগ্রাম দশতা
  • ০.৬ মিলিগ্রাম তামা
  • খাদ্য শক্তি আছে ২৮৩ কিলো ক্যালরি।

উপসংহারঃতেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - তেঁতুল খাওয়ার নিয়ম

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, তেঁতুল ভারতীয় এবং এশিয়ান খাবার। এই ফল, এর পাতা, ফল বিশাল ডাল বালা শাখা এবং ফুল সবকিছুই আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকার। আমাদের সঙ্গে থেকে ধৈর্য সহকারে এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url