জিরা পানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকে আমাদের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো জেরা পানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। সাধারণত জিরা আমরা রান্না করে খাই। কারণ জিরা স্বাদ ও গন্ধ বাড়ায় এবং এর রয়েছে আরো অনেক উপকারিতা। আপনি যদি নিয়মিত জিরা খেতে পারেন তবে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও হজমের সমস্যা দূর করবে।
এছাড়াও জিরায় রয়েছে আয়রন তামা এন্ডঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এ ভিটামিন সি জিংক ও পটাশিয়াম। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও রক্তস্বল্পতা দূর করে পাশাপাশি আপনার ওজন কমাতেও সাহায্য করবে। আপনি যদি প্রতিদিন এক গ্লাসে যেন পানি পান করেন তবে আপনার শরীরে নানা উপকার হবে। এটি আপনি সকালে খালি পেটে খেলে বেশি উপকার পারেন।
ভূমিকাঃ
আপনি মনে করেন চিরা শুধু খাবারের স্বাদ গন্ধ বাড়ায় তা নয় যে রাতে কপার, আয়রন, এন টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ ভিটামিন সি জিংক এবং পটাশিয়াম পাওয়া যায়। সেজন্য মসলা হিসেবে জিরার পানি কিংবা জিরা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে জিরার পানি খেতে পারেন তবে আপনার নানারকম উপকারিতা হবে শরীরে।
কারণ এটি বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এবং আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। আপনারা যারা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তারা যদি নিয়মিত জিরা পানি খেতে পারেন তবে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে এবং আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
জিরা পানি তৈরির নিয়মঃ
১ লিটার পানি, জিরা দের চা চামচ, চুলায় একটি হাড়িতে পানি ফুটিয়ে জিরা দিয়ে আরো ৮-১০ মিনিট ফুটিয়ে পানি পৌনে এক লিটার হলে নামিয়ে ছেকে ঠান্ডা করতে হবে। আপনি এটি চাইলে কুসুম গরম বা বরফ শীতল দুই ভাবে খেতে পারেন। আপনি যদি জিরা পানি আরো সুস্বাদু খেতে চান তবে এর সঙ্গে সামান্য চিনি, বিট লবণ, গোলমরিচ গুঁড়া, লেবুর রস ও ধনিয়া পাতা পুদিনা পাতা কুচি যোগ করতে পারেন। এতে করে আপনার জিরা পানির স্বাদ আরো দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
জিরা পানি খাওয়ার উপকারিতাঃ
জিরা পানির নানা রকম উপকারিতা রয়েছে যেগুলো আমরা অনেকেই জানিনা। সেজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলের এই পর্বে আমরা আপনাদের জানাবো জিরা পানি খাওয়ার উপকারিতা গুলো। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক জিরাপানি খাওয়ার উপকারিতা-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ
জিরাতে রয়েছে পটাশিয়াম, আয়রন এবং ফাইবার যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আপনি যদি নিয়মিত জিরাবে যেন পানি পান করেন তবে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং যেভাবে যেন পানি নানা রোগের সঙ্গে লড়াই করার পাশাপাশি আপনাকে নানা রকম রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে মুক্তি দেবে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ
জিরা ভেজানো পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ যা আমাদের শরীরে ক্রিয়া-কলাপ সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও আপনি যদি নিয়মিত জিরাবে যেন পানি পান করেন তবে আপনার শরীরে লবণের ক্ষতিকর প্রভাব গুলোর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখবে ফলে আপনার নিয়ন্ত্রণে থাখবে রক্তচাপ।
আপনি কি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, তবে আপনি নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় জিরাবে যেন পানি রাখুন এতে করে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কারণ জিরা ভেজানো পানিতে থাকে উচ্চ পটাশিয়াম।
ওজন কমায়ঃ
আপনারা যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তারা নিয়মিত জিরাবে যেন পানি পান করতে পারেন। কারণ যেভাবে যেন পানি হজম ভালো হতে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে সব ধরনের দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। এতে করে আপনার ফ্যাট ওজন দুটোই দ্রুত কমে আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত করে জিরাবে যেন পানি পান করেন তবে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে খুব তাড়াতাড়ি।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ
আপনারা যারা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত জিরাবে যেন পানি পান করতে পারেন। কারণ যেভাবে যেন পানি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই কার্যকরী জিরা আমাদের শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণের আগে সরকরার মাত্রা যার ফলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
বদহজম দূর করেঃ
অন্তে গ্যাস জমে গিয়ে পেট ফুলে যায় যে কারণে পেট ফুলে শক্ত হয়ে যেতে পারে এবং পেট ভার হয়ে থাকার মত অনুভূতি হবে আপনার পেটে। সেসঙ্গে পেট ব্যথা বা পেটে অস্বস্তি হতে পারে আপনার এমন সমস্যাকে সাধারণ মনে হলে ভোগান্তি কম কিছু হয় না তাই এ থেকে মুক্তি পেতে আপনি জিরা ভেজানো পানি পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন প্রতিদিন। আপনি যদি প্রতিদিন যেভাবে যেন পানি পান করতে পারেন তবে আপনার বড় ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ
আপনি কি রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন। তবে আপনার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় জিরা পানি রাখুন। কারণ আয়রনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ গুলোর মধ্যে এটি একটি। শরীরের সঠিক ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখতে মূল ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিন গঠনের জন্য আয়রন প্রয়োজনীয় একটি রক্তস্বল্পতা নিরাময়ের সাহায্য করে এবং আয়রনের ঘাটতি দূর করতে পারে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ
আপনি যদি আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত জিরার পানি রাখেন তবে আপনার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে। কারণ জিরার পানিতে এন্টি ক্যাসিনো জেনিক বৈশিষ্ট্য বর্তমান। এটি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও অত্যন্ত কার্যকর একটি পানীয়।
ত্বক উজ্জ্বল রাখেঃ
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url