রাজশাহী বিভাগের ইতিহাস - রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান ২০২৪

বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে শান্ত সুন্দর এবং পরিচ্ছন্ন শহর গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাজশাহী শহর। রাজশাহী শহরকে আবার শিক্ষানগরীয় বলা হয়। রাজশাহী বিভাগ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানা রকম গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক স্থান যেগুলো আমরা অনেকেই জানিনা। সেজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো রাজশাহী বিভাগের ইতিহাস - রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান ২০২৪ সম্পর্কে।

রাজশাহী বিভাগের ইতিহাস - রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান ২০২৪
রাজশাহী দেশের মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত এবং এর উত্তর ও পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার রাজ্য, উত্তরের রংপুর বিভাগ দক্ষিণে খুলনা বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগ দ্বারা সীমাবদ্ধ রয়েছে। রাজশাহী বিভাগের আয়তন প্রায় ১৮, ১৭৪ এবং ৪ বর্গ কিলোমিটার। ২০২২ সালের আদমশুমারি অনুসারে জনসংখ্যা প্রায় ২০, ৩৫ ৩, ১১৯ এবং রাজশাহী বিভাগের রাজধানী হচ্ছে রাজশাহী শহর।

ভূমিকাঃ

রাজশাহী বিভাগ একটি কৃষি প্রধান অঞ্চল। ধান পাট গম এবং সবজি উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত এই বিভাগটি। তে টেক্সটাইল চিনি এবং ঔষধ উৎপাদন সমাবেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের আবাসস্থল। অনেকগুলি মহাসড়ক রেলপথ এবং বিমানবন্দর দ্বারা পরিবেশিত হয় রাজশাহী বিভাগ। রাজশাহী বিভাগের নিজস্ব প্রশাসনিক দপ্তর রয়েছে এবং কয়েকটি উপজেলায় বিভক্ত।
উপজেলা গুলো আবার ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম এবং মৌজায় ভাগ করা হয়েছে। রাজশাহী বিভাগের প্রধান শহর গুলো হল রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ,পাবনা,বগুড়া এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এই শহর গুলোর মধ্যে রাজশাহী বিভাগীয় সদর দপ্তর এবং বিভাগের বৃহত্তম শহর।

রাজশাহী বিভাগের ইতিহাসঃ

২৪৭ সালের ব্রিটিশ ভারতীয় সম্রাট সে দুটি স্বাধীন দেশ ভারত ও পাকিস্তানের বিভক্ত হয়েছিল। রাজশাহী দুই দেশের মধ্যে বিভক্ত ছিল বিভাগের পশ্চিমাংশ পাকিস্তানের অংশ পরিণত হয়। আর পূর্ব অংশ ভারতের অংশ পরিণত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে স্বাধীনতা যুদ্ধ দীর্ঘ ৯ মাস স্থায়ী হয়েছিল। এবং পাকিস্তানের পরাজয় হয়েছিল। 
এরপরে রাজশাহী স্বাধীন বাংলাদেশের অংশ হয়।এছাড়াও রাজশাহী বিভাগ একসময় বাংলার অন্যতম শক্তিশালী রাজ্য ছিল।সপ্তম শতাব্দীতে এই অঞ্চলে আরবরা ইসলামের প্রবর্তন করে রাজ্যটি জয় করে। এবং ১৩ শতকে দিল্লি সালতানাত রাজ্যটি জয় করে ১৬ শতকে অঞ্চলটি মুঘল সাম্রাজ্যের দ্বারা জয় করা হয়েছিল। 
১৯৫৭ সালের রাজশাহীতে পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুদ্ধের ফলে মুঘলদের পরাজয় ঘটে এবং বাংলার প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজশাহী শহরে দেড়শ বছরের বেশি সময় ধরে শাসন করেছে। ব্রিটিশরা এই অঞ্চলের রাস্তা, রেলপথ, খাল নির্মাণ সহ তারা স্কুল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ করে।

রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান ২০২৪ঃ

রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলা রয়েছে। আর সেই বিভাগের অনেকগুলো পর্যটন গন্তব্যের মধ্যে মাত্র কয়েকটি তুলে ধরা হলো । এর সমৃদ্ধ ইতিহাস সাংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে রাজশাহী বিভাগ ছুটি কাটাতে বা সপ্তাহে ছুটি কাটাতে যাওয়ার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা। চলুন নিম্নে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন-
রাজশাহী শহরঃ
রাজশাহী শহর হচ্ছে রাজশাহী বিভাগের রাজধানী এটি একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং সাংস্কৃতির সাথে একটি জমজমাট মহানগরী। রাজশাহী শহরের কিছু দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে রাজশাহী দুর্গ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং রাজশাহী চিড়িয়াখানা।
সিরাজগঞ্জঃ
রাজশাহী বিভাগের পূর্ব সিরাজগঞ্জ জেলা অবস্থিত। জেলাটি হার্ডডিস্ক ব্রিজের আবাসস্থল এটি একটি ঐতিহাসিক রেলওয়ে সেতু যাবে শতকের প্রথম দিকে নির্মিত হয়েছিল। ভেড়ামারা উপজেলা সদর হতে প্রায় ৮.৫ কিলোমিটার উত্তর এবং ঈশ্বরদী উপজেলার সদর হতে প্রায় ৮ ০০ কিলোমিটার দক্ষিণে পদ্মা নদীর উপরে সেতুটি অবস্থিত।
এই সেতুটি তৈরি করতে চব্বিশ হাজার শ্রমিকদের ৫ বছর সময় লেগেছিল এবং ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে এই হার্ডডিস্ক ব্রিজ নির্মাণের শতবর্ষ পূর্ণ হয়। এসে তো টি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৫১ লক্ষ ৩২ হাজার ১৬৪ টাকা। এবং এই সেতুটি দৈর্ঘ্য ৫৮ ফুট।
শাহ মখদুমের মাজারঃ
জিরো পয়েন্ট থেকে পশ্চিম দিকে আনুমানিক এক কিলোমিটার রিক্সা বা অটোতে যাওয়া যায় এই মাজারে। শাহ মখদুমের মাজার রাজশাহী শহরে অবস্থিত।
শহীদ কামরুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানাঃ
জিরো পয়েন্ট থেকে পশ্চিম দিকে আনুমানিক তিন কিলোমিটার কোটের দিকে প্রধান রাস্তার উত্তর পাশে অবস্থিত শহীদ কামরুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা। রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার এক পুরনো তথ্য বিবরণী থেকে জানা যায় যে রেসের পর এখানে দমদম বা ঘোড়া গাড়ি দৌড়ো হতো। 
রাজশাহীর রেস ময়দান দীর্ঘদিন পরিত্যাক্ত ছিল এইচএম কামরুজ্জামান ও জেলা প্রশাসক আহাম্মদ আব্দুর রউফ এর ভূমিকা ছিল। তাদের প্রচেষ্টায় ১৯৭২ সালের রাজস্ব বিভাগ হতে প্রাপ্ত ৩২.৭৬ একর এই জমিতে কেন্দ্রীয় উদ্যান স্থাপিত হয় ও তিন লক্ষ আটান্ন হাজার পাঁচশো টাকার  একটি প্রকল্প তৈরি করেন। সামগ্রিক কাজ শুরু হয় ১৯৭৪ থেকে ৭৫ ও ১৯৭৫ থেকে ৭৬ সা্লে। প্রকৃতপক্ষে ১৬-২-১৯৮৩ তারিখে চিড়িয়াখানার কার্যক্রম শুরু করা হয়।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url