শিশুর দেরিতে কথা বলার কারন ও প্রতিকার

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের যানাব শিশু্র দেরিতে কথা বলার কারণ ও প্রতিকার। শিশু দেরিতে কথা বলা বাবা মায়ের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বর্তমান সময়ে গ্রামের তুলনায় শহরের শিশুরা দেরিতে কথা বলে। কারণ গ্রামের শিশুরা বাবা-মাকে বেশি পাশে পায় কিন্তু শহরের শিশুরা বাবা মাকে কাছে পায় না। তারা মোবাইল ফোন বেশি হাতে পাই।  

আপনার শিশু যদি দেরিতে কথা বলে তবে এর পেছনে নানা রকম কারণ রয়েছে। শিশুরা দেরিতে কথা বলে এর অন্যতম কারণ হচ্ছে মোবাইল ফোন, টেলিভিশন, ইউটিউব মাল্টিপল ল্যাঙ্গুয়েজ শিশুদের দেরিতে কথা বলার কারণ।
ভূমিকাঃ

শিশুর দেরিতে কথা বলার কারণঃ

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমাদের আজকের আর্টিকেলের এই পর্বে আমরা আপনাদের জানাবো শিশুর দেরিতে কথা বলার কারণ। আপনার শিশুর যদি কথা না বলে এর পেছনে নানা রকম কারণ রয়েছে। কিছু রোগের কারণেও শিশুরা দেরিতে কথা বলে চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক শিশুরা দেরিতে কথা বলে কেন-
  • মোবাইল ফোন, টেলিভিশন ইউটিউব মাল্টিপল ল্যাংগুয়েজ শিশুদের তৈরিতে কথা বলার কারণ।
  • বাবা-মা দুজনের যদি কর্মজীবী হয় তবে তাদের সন্ধান কথা দেরিতে বলতে দেখা যায়। আবার সেই শিশু কথাও কম বলে।
  • গ্রামের তুলনায় শহরে বাচ্চারা বেশি দেরিতে কথা বলে। কারণ সেসব শিশুরা মা বাবা-মাকে বেশি পাশে পায় না মোবাইল ফোন বেশি হাতে পায়।
  • যেসব বাচ্চারা ছোট পরিবারের রয়েছে তারাও দেরিতে কথা বলে।
  • জন্মের পর মাল্টিপল ল্যাঙ্গুয়েজ এর কারণে অনেক শিশু কম কথা বলে অথবা দেরিতে কথা বলে।
এগুলো ছাড়াও শিশুরা কিছু রোগের কারণেও কথা বলতে দেরি করে। চলুন নিম্নে সে রোগগুলো জেনে নেওয়া যাক-
  • কোন শিশু যদি জন্মগতভাবে কানে কম শুনে, ডাকলেও সাড়া দেয় না এমন শিশুরাও কথা বলতে দেরি করে।
  • অনেক শিশুরা হরমোন জনিত সমস্যার কারণেও কথা বলতে দেরি করে। আবার যেসব শিশুর জিহ্বা বড় থাকে বের হয়ে আসে পেট ফোলা থাকে হাঁটতেও বসতে দেরি করে সে সব বাচ্চারাও দেরিতে কথা বলে।
  • জন্মগতভাবে যদি কোন শিশু কানে কম শুনে, ডাকলেও যেসব শিশুরা সাড়া দেয় না সেসব শিশুদের কথা বলতে দেরি হয়।
  • আবার শিশুর জিহবা যদি কালো সঙ্গে আটকে থাকে তবে কথা বলতে দেরি করে শিশুরা।
  • জন্মের পর সে সব শিশুরা দেরিতে কান্না করে বা হাটাও বসার মত কথা দেরিতে বলে কারণ সে সব শিশুর দেরিতে কান্না করার ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন কমে যায় এবং মস্তিষ্ক কাজ করে না শিশুর বুদ্ধিও কমে যায়।
  • রোগে আক্রান্ত শিশুরা হাটা বসা চলাফেরা করতে পারে না এবং তারা কথাও দেরিতে বলে। কারণ সে সব শিশুর শরীর তুলতুলে নরম ও মুখমণ্ডল এর ধরন আলাদা থাকে। এবং এই রোগে আক্রান্ত শিশুদের বুদ্ধি হয় না।
  • আপনার শিশু যদি অটিজেমের আক্রান্ত হয় তবে শিশু হাঁটতে বসতেও চলতে অসুবিধা নেই কিন্তু সেসব বাচ্চাদের কথা বলতে দেরি হয়। এর আগে আক্রান্ত শিশুরা এক জায়গায় বসে থাকে না। তারা নিজের মতো চলে অন্য কোন সুদের সঙ্গে মিশেও না কথাও বলে না আবার এমন কিছু আচরণ করে যা অন্য বাচ্চারা করে না।
আপনার শিশু দেরিতে কথা বলছে কিনা শিশুদের কয়েকটি বিষয়ে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন। কথা বলছে কিনা-  
  • এক বছরের শিশু বাবাকে বাবা এবং মাকে মা বলে ডাকতে শিখে।।
  • তিন বছরের শিশু বড় বাক্য তৈরি করে কথা বলতে পারে ছড়া বলতে পারে। ছয় মাসের একটি শিশু বাবলিং সাউন্ড করে।
  • দুই বছরের শিশু দুইটা শব্দ করে কথা বলতে পারে। ছোট ছোট বাক্যগুলো বলে।
  • উনার শিশু যদি তিন বছরের মধ্যে সব কথা বলতে পারে তবে সেটা স্বাভাবিক। যদি কোন শিশু তিন বছর পরেও কথা বলতে না পারে তবে বুঝতে হবে কোথাও কোন অসুবিধা আছে আপনার শিশুর।

শিশুর দেরিতে কথা বলার প্রতিকারঃ

আপনার শিশুর কি তিন বছর হয়ে গেছে কিন্তু তবে বাবা-মা ও অভিভাবকদের খেয়াল করতে হবে যে শিশু কথা বলছে কিনা। শিশুর বয়স যখন তিন বছর হয়ে যায় তখন সে সব শিখে যায় শিশু একবার দুই বছরে যে সব শব্দ বলার কথা যদি সেগুলো না বলে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব শিশুকে নিউরোলজিস্ট বা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
কারণ আপনার শিশুকে তিন বছরের মধ্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে শিশুর সমস্যা শনাক্ত করে সঠিক ব্যবস্থাপনা নিতে পারবে। কিন্তু যদি আপনি তিন বছর পর শিশুর কথা আসতে চায়না বলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান তখন অনেক দেরি হয়ে যাবে কারণ কথা বলার জন্য শিশুর প্রথম তিন বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও সরকারিভাবে জেলা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলোতে ৩৪ টি শিশু বিকাশ কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে চিকিৎসা নিতে পারবেন শিশুরা। এবং সেখানে দেরিতে কথা বলা শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। আপনার শিশুর দেরিতে কথা বলার কারণ সেটা কি রোগ নাকি পরিবেশগত কারণ সেটা আগে সনাক্ত করতে হবে এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী স্পিচ থেরাপি দিতে হবে।
আপনার আশেপাশের অন্য শিশুদের তুলনায় আপনার শিশু পিছিয়ে আছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
বাচ্চার জন্মের প্রথম তিন বছর বয়সে বাচ্চার মস্তিষ্কের সর্বোচ্চ বিকাশ হয়। পরবর্তী পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত তা চলতে থাকে। এই পাঁচ বছর সময়ে শিশুর বিকাশ হয় এ বিকাশের সময় মোবাইল ফোন দেওয়া উচিত নয় কোনোভাবেই শিশুর কাছে। শিশুর বাবা যদি দেরিতে কথা বলে তবে শিশু যদি দেরিতে কথা বলে তবে অগ্রজীহ বা বা আলাজিহ বা বড় তাই কথা দেরিতে বলছে এরকম ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে সঠিক সময়ে শিশুর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে আপনাকে। তবে শিশুদের এই রোগ থেকে বাঁচানো সম্ভব।
উপসংহারঃ শিশুর দেরিতে কথা বলার কারণ ও প্রতিকার

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url