ঠোঁটের ওপরে জ্বর ঠোসা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো ঠোটের উপরে জ্বর ঠোসা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার। প্রতিবছর সারা বিশ্বে যত মানুষ অন্ধ হয়ে যান তার একটা বড় অংশ জ্বর ঠোসার ভাইরাসের কারণে। এছাড়াও জর খোসা থেকে যৌনাঙ্গের হাফিজ হতে পারে যা একবার হলে পুরোপুরি নির্মূল করার উপায় এখনো আবিষ্কৃত হয়নি।

ঠোঁটের ওপরে জ্বর ঠোসা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

জ্বর ঠোসা যদি নবজাতকের ভিতর হয় তবে এই ভাইরাসটি মৃত্যু পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে নবজাতককে। সেজন্য জ্বর ঠোসা হলে হেলাফেলা না করে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। কারণ জ্বর ঠোসা একটি ছোঁয়াচে রোগ। এ ভাইরাস শরীরে বিভিন্নভাবে প্রবেশ করতে পারে। আপনি যদি জর খোসায় আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ কিংবা মুখের লালা সংস্পর্শে আসেন তবে আপনার জ্বর ঠোসা ছড়াতে পারে।

ভূমিকাঃ

আমরা অনেকেই ভাবি ভেতরে ভেতরে জ্বর আসলে জ্বর ঠোসা হয়। কিংবা ঠান্ডা লাগলে জ্বর ঠোসা হয় তবে চিকিৎসকরা এ কথা মানতে নারাজ। চিকিৎসা পরিভাষায় ফিপার বিলিস্টার ফুসকুড়ি ওঠার দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ঘা হয়। ঘা হয়ে ব্যথা হয় অনেক সময় রসগোড়ায় সেখান থেকে। এই জ্বর ঠোসা সাধারণত শীতকালে একটু বেশিই দেখা যায়। 

জ্বর ঠোসা হলে ঠোঁটের কোনে বা ঠোঁটের আশেপাশে একগুচ্ছ ফুসকুড়ি ওঠে। এই জঠোসা উঠলে শরীরে জ্বর ব্যাথা বমি বমি ভাব কিংবা মাথা ব্যথা দিতে পারে। সেই সঙ্গে খেতে অসুবিধে ছুটে জ্বালা করা ঠোঁট বারবার শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমাদের আজকের আর্টিকেলের এই পর্বে চলুন জেনে নেওয়া যাক ঠোটের উপরে ঝড় ঠোসা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার।

জ্বর ঠোসা কেন হয়ঃ

জ্বর ঠোসা হচ্ছে একটি ছোঁয়াচে রোগ। জড় খোসা সাধারণত "হাপি্স সিমপ্লেক্স" নামের একটি ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। এই ভাইরাস আপনার শরীরে নানাভাবে প্রবেশ করতে পারে যেমন-

  • জ্বর ঠোসা স্পর্শ করে সেই হাত অন্য কারো মুখের সংস্পর্শে নিলে জ্বর ঠোসা ছড়াতে পারে।
  • আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ কিংবা মুখের লালার সংস্পর্শে আসলে জ্বর ঠোসা ছড়াতে পারে।
  • জ্বরঠ্যাশায় আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ কারো যৌনাঙ্গের সংস্পর্শে আসলে যৌনাঙ্গে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়তে পারে।

আপনার শরীরে যদি একবার জ্বর ঠোসা প্রবেশ করে তবে সেটা সারা জীবন থেকে যায়। বেশিরভাগ সময় এই ভাইরাসটি শরীরে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে তবে মাঝে মাঝে জেগে উঠে জরঠোসা তৈরি করে। সাহায্য জেগে ওঠার অন্যতম কারণ হলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়া। যেমনঃ

  • কোন কারনে অসুস্থ হলে
  • খুব ক্লান্ত থাকলে
  • মানসিক চাপে থাকলে
  • রোদে গেলে ও মেয়েদের মাসিকের সময়ে।

জ্বর ঠসা হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেনঃ

আপনার মুখের যে কোন স্থানেই ঝড় খোসা উড়তে পারে। যেখানে জ্বর ঠোসা উঠবে সেখানে সাধারণত জট খোসা হওয়ার আগেই জ্বালাপোড়া ঝিমঝিম করা অথবা চুলকানি শুরু হয়। পরবর্তী 6 থেকে 48 ঘন্টায় সেটি সেরে যায়।

ছোট ছোট ফোসকা বা ঠোসা উঠে এগুলোর ভিতরে পানির মত তরল থাকে।

ফোসকা গুলো ফেটে গিয়ে সেগুলোর উপরে আস্তে আস্তে চলটা পড়ে।

দশ দিনের মধ্যে জট ফর্সা গুলো সেরে উঠতে শুরু করবে এবং সেরে ওঠার আগ পর্যন্ত এটি ছোঁয়াচে থাকে। এ সময়ে জট খোসায় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া হতে পারে আপনার।

জ্বর ঠোসা হলে কি কি সর্তকতা মেনে চলতে হবেঃ

আপনি যদি জ্বর ঠোসায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে আপনাকে কতগুলো অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক জ্বর ঠোসা হলে কি কি সতর্কতা মেনে চলতে হবে আপনাকে।

নবজাতক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মানুষের সুরক্ষাঃ

আপনার যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকে তবে আপনার হাফেজ ভাইরাস মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। যেমন ঝড় ঠোসা থাকা অবস্থায় নবজাতককে চুমু দিলে শিশুর মারাত্মক ইনফেকশন হতে পারে এমনকি তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া কোন মায়ের স্তনে যদি জ্বর ঠোসা হয়ে থাকে তাহলে শিশুকে সেই স্তন থেকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুর দেহে ইনফেকশন ছড়িয়ে যেতে পারে। 

আপনার যদি একজিমা নামের চর্মরোগ থাকে তবে জ্বর প্রসার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে আপনাকে। কেননা যথাসার ভাইরাস শরীরের চামড়ার ক্ষত দিয়ে প্রবেশ করে জীবনঘাঁটি ইনফেকশনে রূপ নিতে পারে। এছাড়াও যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল যেমনঃ 

  • গর্ভবতী নারী, 
  • ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তি, কিংবা 
  • ইস্ট এর জাতীয় ঔষধ খাচ্ছেন এমন রোগী 

জ্বর ঠোসায় আক্রান্ত হলে যে কাজগুলো করা যাবে নাঃ

জ্বর ঠোসাই আক্রান্ত হলে আপনাকে যে কাজগুলো করা যাবে না সেগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো-

  • আক্রান্ত অবস্থায় কাউকে চুমু দিবেন না। বিশেষ করে ছোট শিশুদের চুমু দেওয়া থেকে একেবারেই বিরত থাকুন জ্বর ঠোসা অবস্থায়।
  • থাকলেও সহবাস করা যাবে তবে তাদের আশেপাশে বিশেষভাবে সাবধান থাকবেন। কারণ সাধারণ জ্বর ঠোসাও তাদের শরীরে মারাত্মক ইনফেকশন ঘটিয়ে বিশেষ ক্ষতি করতে পারে।
  • যার পোশাক পুরোপুরি সেরে ওঠার আগ পর্যন্ত ওরাল সেক্স বা যৌনাঙ্গের মুখ স্পর্শ করা থেকে একেবারে বিরত থাকবেন। তা নাহলে আপনার সঙ্গীর যৌনাঙ্গে হাফিজ ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়তে পারে।
  • জরুরী প্রয়োজন না হলে জ্বর প্রসাব পুরোপুরি সেরে ওঠার আগ পর্যন্ত দাঁতের কোনো প্রসেসিওর না করানোই ভালো।
  • জ্বর ঠোসা অবস্থায় চোখে হাত লাগাবেন না। আপনার যদি কোন অবস্থায় চোখে হাত দিতে হয় তবে আগে সাবান পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধরে নিন তারপরে চোখে হাত দিন।
  • জ্বর ঠোসা থাকা অবস্থায় চোখে হাত লাগাবেন না। কোন কারণে চোখে হাত দিতে হলে আগে ভালো করে হাত সাবান পাড়ি দিয়ে ধুয়ে নেবেন।
  • জ্বর ঠোসা থাকা অবস্থায় আপনার খাবার অথবা পানি আরেকজনের সাথে শেয়ার করবেন।
  • না লাগে এমন জিনিসপত্র যেমন আপনার ব্যবহার করার চামচ গ্লাস তোয়ালের রেজার অন্য কেউ যেন ব্যবহার না করে সেই বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।
ঠোঁটের উপরে জ্বর ঠোসা হওয়ার কারণঃ






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url