পেটের চর্বি কমানোর উপায় চিকিৎসা ও প্রতিকার
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো পেটের চর্বি কমানোর উপায় চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে। পেটের অতিরিক্ত মেদ বা ভুড়ি অনেকেরই জন্য একটি অস্বস্তিকর বিষয়। ছোট ছোট অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের কারণে আমাদের পেটে মেদ জমে। আর এই অসুস্থতার অভ্যাসগুলো যদি আমরা এড়ানোর চেষ্টা করি তবে শুধু পেটের মেদ নয় বরং পুরো শরীরের মেদ বা চর্বি কমানো সম্ভব।
উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার যে পেটের মেদ বাড়ায় তা নয় বেশি ক্যালরিযুক্ত যে কোন খাবারই পেটের মেদ বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাসে ও সঠিক জীবন যাপনের মাধ্যমে আমরা শরীরের বাড়তি মেয়ের জমা বা ভুড়ি হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারি। আপনি যদি পেটের মেদ বা ভুড়ি থেকে বাঁচতে চান তবে আপনার খাদ্য তালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।ভূমিকাঃ
আমাদের মধ্যে আমরা অনেকেই সকালের নাস্তা বাদ দিয়ে একেবারে দুপুরে খাবার খাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকি। এক বেলা খাবার বাদ দিলে পরবর্তীতে বেশি খাবার খাওয়া বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা অনেকের ক্ষেত্রে বেড়ে যায় এতে আপনার ওজন কমার বদলে আরো অতিরিক্ত ওজন বাড়ে এবং মেদ ভুড়ি বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
আপনার যদি কোন একবেলার খাবার বাদ হয় তখন আপনি সতর্ক থাকবেন যেন পরের বেলায় অতি ভোজন বা অসুস্থকর খাবার না খাওয়া হয়। টিভিতে খেলা নাটক বা অন্য কিছু দেখতে দেখতে যদি খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে জমার সম্ভাবনা থাকে। বর্তমান সময়ে আমরা অনেকেই রাত জেগে কাজ করে থাকি।
রাত জেগে কাজ করার সময় আমরা যে খাবারগুলো খাই সেগুলো প্রায় সই ক্ষতি কর ফ্যাট বা চিনিযুক্ত খাবার বা অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার হয়। তারপর যদি নিয়মিত ঘুম কম হয় তখন সেটা মানসিক চাপ বা স্ট্রেস তৈরি করতে পারে সেই স্ট্রেস আবার বিভিন্নভাবে বাড়তি ওজন এবং মেদবদের কারণ হতে পারে আপনার শরীরের জন্য।
পেটের চর্বি কমানোর উপায়ঃ
আমাদের আর্টিকেলের এই পর্বে আমরা আপনাদের জানাবো পেটের চর্বি কমানোর উপায় সম্পর্কে। আপনি যদি আমাদের আর্টিকেলের এই পর্ব টি মনোযোগ সহকারে পড়েন তবে আপনি জানতে পারবেন পেটের মেয়ের দ্রুত কমাতে সাহায্য করবে এমন কয়েকটি উপায় সম্পর্কে। চলুন আর দেরি না করে নিম্নে জেনে নেওয়া যাক পেটের চর্বি কমানোর উপায়।
- শুয়ে বসে না থেকে একটিভ হন।
- অসুস্থ কর ঘুমের রুটিন বাদ দিন।
- আন মনে খাওয়া পরিহার করন।
- বড় প্লেটের বদলে ছোট প্লেট বেছে নিন খাবার খাওয়ার জন্য।
- সাদা চাল সাদা আটার বিকল্প বেছে নিন।
- মানসিক চাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
- কোনো বেলার খাবার বাদ দেবেন না।
- খুব দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিন।
- খাওয়ার আগে মোড়ক যাচাই করে নিন।
- চিনি যুক্ত খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
- উচ্চ আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন।
- সয়াবিনের পরিবর্তে নারিকেল তেল ব্যবহার করুন।
- মিষ্টি পানীয় ও সফট ড্রিঙ্কস এড়িয়ে চলুন।
- ফলের জুস খাওয়া বন্ধ করুন।
পেটের চর্বি কমানোর চিকিৎসাঃ
মেঘা চর্বি কমানোর জন্য ওষুধ কখনোই ব্যায়াম বা পরিশ্রমের বিকল্প হতে পারে না। কিন্তু ব্যস্ত নগর জীবনের কারণে সবার পক্ষে ব্যায়াম বা পরিশ্রম করার সুযোগ হয় না এক্ষেত্রে একান্তই যদি মেদ বা চর্বি কমানোর জন্য ঔষধ গ্রহণের প্রয়োজন হয় তবে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে ওষুধ গ্রহণ করুন। পাশাপাশি পরিমিত খাবার গ্রহণ করে সপ্তাহে একদিন বা দুদিন শরীর চর্চা করুন। আমরা আপনাদের জানাবো পেটের চর্বি কমানোর চিকিৎসা সম্পর্কে।
বর্তমানে স্লিম হওয়ার ওষুধের ব্যবসা এখন মাদকদ্রব্য বিক্রির ব্যবসার মতোই লাভজনক একটা ব্যবসা হয়ে উঠেছে। তাই বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন নামে বিভিন্ন উপাদান দিয়ে একের পর এক ঔষধ বাজারে আনছে। মানুষ উচ্চ মূল্য দিয়ে সেগুলো ক্রয় করছে কিন্তু সেগুলো জন স্বাস্থ্যের জন্য কতটুকু নিরাপদ তাতে সন্দেহ থেকে যায় এছাড়াও এই ওষুধ খেয়ে মানুষের কতটুকু মেদ কমছে সেটাও দেখার বিষয়। চলুন নিম্নে জেনে নেই পেটের চর্বি কমানোর কয়েকটা ওষুধের নাম-
- নবীন চিরতা
- কৃষ ক্যাপ
- স্লিমো রেক্স
- স্লিফিট
- ফ্যাট রিডুউস্যার
- হাল্যাক
- লোফ্যাট
- ওরলিফিট
- লোয়েট
- ডায়েটিল
- অ্যাডিপোনিল
পেটের চর্বি কমানোর প্রতিকারঃ
আপনি কি অফিসে বসে বসে কাজ করছেন বেশিরভাগ দিন বাইরের মসলাদার খাবার খেয়ে থাকেন। তার ওপর দৈনন্দিন কাজের চাপ আর চূড়ান্ত ব্যস্ততায় জীবনযাত্রার অনিয়ম হয়ে চলেছে কি আপনার আর এই অনিয়মের ফলেই বেড়েই চলছে শরীরে স্থূলতা। চিকিৎসকদের মতে বার্তিমের থেকে শরীরে একাধিক রোগ বাসা বাঁধতে পারে।
বিশেষ করে পেটের মেদ বাড়লে নানা রকম রোগের পাদর ভাব দেখা যায় শরীরে। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনি পড়ে থাকেন তবে আপনি জিমে না গিয়ে শরীর চর্চা না করে অনায়াসে আপনার ঝরাতে পারবেন।
আমলকি হরতকি এবং বহেড়া এই তিন ফল শুকিয়ে তাদের গুড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করা হয় ত্রিফলার মিশ্রণ। আপনি যদি মেদ ঝরিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তবে এ মিশ্রণটি খেতে পারেন। এতে আপনার মেদ ধরিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে এবং গরমে হজমের সমস্যায় সমাধান করবে।
আপনি যদি সকালবেলা খালি পেটে উষ্ণ গরম জলে লেবুর রস এবং মধু খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলেন তবে আপনার হজমের সহায়তা করতে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয় খাবারে থাকা ফ্যাট জাতীয় উপাদান ভাঙতেও সহায়তা করে এই লেবুর রস।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে মোক্ষম দাওয়াই হতে পারে আদা। আদা চটজলদি ক্যালরি পোড়াতে সক্ষম তাছাড়া আদার রস কার্বোহাইড্রেট দুটো হজম করায় মোটাবলিক রেট বাড়াই ইনসুলিন এর নিঃসরণ বাড়ায় ফলে ওজন সহজে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। আপনি যদি আপনার ওজন কমাতে চান তবে আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় আদা যোগ করতে পারেন।
উপসংহারঃ পেটের চর্বি কমানোর উপায় চিকিৎসা ও প্রতিকার
পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, খাবার খাওয়ার সময় দ্রুত খাবার খাওয়ার অভ্যাস পরিবর্তন করুন। ছোট ছোট স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের কারণে আমাদের পেটে মেদ জমে। প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়েছেন তাদেরকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন।
এবং এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আমাদের আজকের আর্টিকেল এর মধ্যে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তবে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের অবশ্যই জানাবেন যাতে করে আমরা সেই ভুলগুলো সংশোধন করতে পারি।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url