রমজান, ঈদ, শবে বরাত ও শবে কদর ২০২৪ সম্পর্কে জানুন

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো রমজান, ঈদ, শবে বরাত ও শবে কদর ২০২৪ সম্পর্কে। আল্লাহ তাআলা হালাল উপার্জন এবং ধর্মীয় বিধান দুটি পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। কোন একটি ধরে কোনটি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেননি। প্রতিদিন নামাজ আদায় বছরে একবার রমজানের রোজা পালন সামর্থ্যবানদের জন্য হজ পালন এবং যাকাত আদায়য়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

ইসলামের রমজান হলো সবচেয়ে ফজিলত পূর্ণ ও বরকতময় মাস। ইসলামের শবে কদরের গুরুত্ব অপরিসীম।শবে কদর, শবে বরাত, আশুরার দিনের নফল ইবাদতের ক্ষেত্রে বিশেষ ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। ইসলাম কখনো মানুষের স্বভাবজাত বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়নি। পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের সুখ শান্তিতে বসবাসের জন্য আল্লাহতালার ইবাদতের কথা বলেছেন। চলুন নিম্নে জেনে নেই রমজান, ঈদ, শবে বরাত ও শবে কদর ২০২৪ সম্পর্কে।

ভূমিকাঃ

শবে কদর, শবে বরাত, আশুরার দিনে নফল ইবাদতের ক্ষেত্রে বিশেষ ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। মানুষের পার্থক জীবন ও বাস্তবতার প্রতি খেয়াল রেখে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে " অতঃপর নামাজ শেষ হলে তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ জীবিকা তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো যাতে তোমরা জীবিকা উপার্জনের সফলকাম হও" ( সূরা জুমআ,৬২ আয়াত ১০)

ইসলাম কখনো মানুষের স্বভাবজাত বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়নি। পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের সুখ শান্তিতে বসবাসের জন্য আল্লাহতালার ইবাদতের কথা বলেছন। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়, বছরে ১ বার রমজানের রোজা পালন, সামর্থ্যবানদের জন্য হজ পালন এবং যাকাত আদায়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

২০২৪ সালের রমজানঃ

ইসলামের রমজান সবচেয়ে ফজিলত পূর্ণ ও বরকত ময় মাস। এ মাসের একটি মহান রাতের নাম শবে কদর যা হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ মুসলমান দের প্রত্যেকটা মর্যাদাপূর্ণ দিন ও মৌসুমের জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি গ্রহণ করে থাকেন এসব দিক বিবেচনায় রেখে আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো ২০২৪ সালের রমজান। চলুন নিম্নে জেনে নেই ২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ-

২০২৪ সালের রমজান ১১ মার্চ ( সোমবার )

২০২৪ সালের ঈদঃ

প্রত্যেক মুসলমান এর প্রতিবছর দুইটা আনন্দের দিন আসে একটি হল ঈদুল ফিতর এবং আরেকটি হলো ঈদুল আযহা। ২০২৩ সালে সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছিল ২৩ শে মার্চ এবং ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছিল একুশে এপ্রিল কিন্তু বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশগুলোতে ২৪ মার্চ রোজা ও ২২ এপ্রিল ঈদ পালন করা হয়। এবং সেই হিসাবে ২০২৪ সালের রমজান মাস শুরু হবে ১১ মার্চ সোমবার এবং ১০ ও ১১ এপ্রিল বুধ ও বৃহস্পতিবার এবং ঈদ উদযাপিত হবে চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল করে।

২০২৪ সালের ঈদুল ফিতর - ( ১০ অথবা ১১ এপ্রিল বুধ-বৃহস্পতিবার )

২০২৪ সালের শবে বরাতঃ

শবে বরাত এর অর্থ হল ভাগ্য রজনী এটাকে আরবিতে বলা হয় লাইলাতুল বরাত। অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা এক বছরের বান্দার উপর কি হবে কে মারা যাবে কতজন জন্মগ্রহণ করবেন এবং তার সকল কাজকর্ম লিপিবদ্ধ করা হয়। লাইলাতুল বরাতের আভিধানিক অর্থ হলো- 

  • মুক্তি,
  • ক্ষমা।

সেজন্য প্রতিবছর প্রত্যেক মুসলমান নর ও নারী লাইলাতুল বরাতের দিনে রোজা রাখে এবং রাতে নফল নামাজ পড়ে থাকে। আমরা অনেকেই শবেবরাত কত তারিখে জানিনা সেজন্য আমাদের রোজা রাখতে সমস্যা হয়। আমাদের মধ্যে অনেকেই শবে বরাতের তিনটি রোজা করে কেউবা দুটি করে আবার কেউবা একটিও করে থাকে। চলুন নিম্নে জেনে নেই আমাদের আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে ২০২৪ সালের শবে বরাত কত তারিখে।

২০২৪ সালের শবে বরাত - ২৬ ফেব্রুয়ারি  ( সোমবার )

২০২৪ সালের শবে কদরঃ

পবিত্র কুরআনে সহি হাদিস দ্বারা লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব অপরিসীম শবে বরাত ও শবে বরাতের হাদিস গুলো বর্ণনা দিয়ে হাদিস বিশেষজ্ঞ ও ফকিহদের মধ্যে যে সংশয় রয়েছে লাইলাতুল কদরের ব্যাপারে তার কোনই অবকাশ নেই। লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন " আমি এই কুরআনকে কদরের রাতে নাযিল করেছি তুমি কি জানো কদরের রাত কি কদরের রাত হাজার মাস থেকে উত্তম ও কল্যাণময় ( সূরা আল কদর ১ - ৩ আয়াত )

শবে কদরের আরেকটা গুরুত্ব হল এ রাতে পবিত্র কুরআন নাযিল হয়েছে। আর এই কুরআনের সাথে মানুষের ভাগ্য জড়িয়ে আছে এজন্য কদরের আরেকটি অর্থ হলো ভাগ্য। সেজন্য লাইলাতুল কদরকে ভাগ্য রজনী বলা হয়।

২০২৪ সালের শবে কদর ৬ এপ্রিল ( শনিবার )

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ইসলামিক ক্যালেন্ডার এর সরকারি ছুটি সভাব্য তারিখের ভিত্তিতে আমাদের আজকের আর্টিকেলে বিশেষ ইবাদতের দিনগুলো তুলে ধরা হয়েছে। আরবি মাস যেহেতু চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল তাই উপরে উল্লেখিত ইসলামী আচার অনুষ্ঠানগুলো চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পরিবর্তন হতে পারে।

উপসংহারঃ রমজান, ঈদ, শবে বরাত ও শবে কদর ২০২৪ সম্পর্কে জানুন

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, ২০২৪ সালের শবে বরাত রমজান, শবে কদর ও ঈদের মতো ধর্মীয় বিধান পালন করতে হবে আগের মতই ধারাবাহিক নিয়মে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এবং সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের জন্য ধর্মীয় বিধান পালন করা জরুরী। আল্লাহতালা হালাল উপার্জন এবং ধর্মীয় বিধান দুটি পালনের নির্দেশ দিয়েছেন কোন একটি ধরে কোন একটি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেননি।

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন রমজান, ঈদ, শবে বরাত ও শবে কদর ২০২৪ সম্পর্কে। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এবং এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। 

আমাদের আর্টিকেলের মাঝে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তবে আপনার মহামূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই আমাদের জানাবেন যাতে করে আমরা সেই ভুলগুলোর সংশোধন করতে পারি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url