রমজান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত - মাহে রমজান ২০২৪
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো রমজান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত - মাহে রমজান ২০২৪ সম্পর্কে। প্রতিটি মুসলমান এর কাছে রমজান মাস হল আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ নেয়ামত ও উপহারস্বরূপ। রমজান মাসে প্রত্যেক মুমিন বান্দার জন্য অসংখ্য গুনহা মাফের সুযোগ রয়েছে। হাজার রাতের সমান ইবাদতের সুযোগ রয়েছে এই রমজান মাসে।
মানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে বছরে তার সাহাবীগণকে নিয়ে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন তারপরের বছর থেকে হিজরী দ্বিতীয় সনে রমজান মাসের ফরজ রোজা রাখা শুরু করেন। এছাড়াও রমজান মাস হচ্ছে কোরআন নাজিলের মাস। রমজানের শেষ ১০ টি রাতকে বলা হয় লাইলাতুল কদরের রাত। এ রাতে আমাদের পবিত্র আল-কোরআন নাজিল হয়েছিল।
ভূমিকাঃ
রমজান মাস যেমন প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর ওপর ফরজ করা হয়েছে তেমনি মহান আল্লাহর কাছে একজন রোজাদারের মর্যাদা অনেক। অন্য এবাদত সমূহের সওয়াবের পরিমাণ ১০ গুণ থেকে ৭শ গুণ পর্যন্ত হয়ে থাকে কিন্তু রোজাদারের সওয়াব কত হবে সেটি শুধু আল্লাহ পাকই জানেন। একজন রোজাদারের জন্য সেহেরী ও ইফতারের দুটি সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ দোয়া কবুলের জন্য।
সেহেরী খাওয়ার পূর্বে আমরা অনেকেই তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে থাকি এই সময় দোয়া কবুলের উপযুক্ত সময়। প্রত্যেক রমজান মাসে কবরের আজাব এক মাস বন্ধ রাখা হয়। এমনকি রোজাদারের জন্য জান্নাতকে প্রতিদিন সাজানো হয়। অন্যান্য সময় যারা কোনদিনও মসজিদের দিকে যাননি তারা রমজান মাসে মসজিদমুখী হয়। রোজাদারদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার জান্নাতে মহান আল্লাহ তায়ালার সাথে সাক্ষাৎ।
রমজান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলতঃ
রমজান মাসের গুরুত্ব অনেক। আপনারা যদি আমাদের আর্টিকেলের এই পর্বটি পড়েন তাহলে জানতে পারবেন রমজান মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে।
- তারাবি ও প্রত্যেক শহরের সময় তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া। এ সময়ে অনেক বেশি দোয়া কবুল ও গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
- সাহারি ও ইফতারের সময় তাহাজ্জুদ নামাজের পর ও সারাদিন রোজা অবস্থায় যেকোনো কাজ করতেই আল্লাহর জিকিরগুলো করে দোয়া করা। দোয়া কবুলের সময় কোরআন ও হাদিস দেখে দোয়া করা।
- এই মাসে দান করার সোয়াব অন্যান্য মাসের তুলনায় অনেক বেশি।
- ছোট ছোট গুনাহের কাছ থেকেও বিরত থাকার চেষ্টা করা যায় এই মাসে।
- একজন রোজাদারকে ইফতার করালে তার সমান সওয়াব পাওয়া যায়। দুস্থ রোজাদারকে সামর্থ্য অনুযায়ী ইফতার করানো।
- রমজান মাসে দিনে ও রাতে প্রচুর মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয় ও গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়ে থাকে। বিশেষ করে লাইলাতুল কদরের দিনগুলোতে বেশি করে মাফ চাওয়া প্রত্যেক রোজাদারের উচিত।
- রমজান মাসে আমাদের জন্য আল কুরআনুল কারীম জীবন বিধান হিসেবে নাযিল করা হয়েছে আমাদের হেদায়েতের জন্য পথ নির্দেশনা। তাই রমজান মাসে বেশি করে কুরআনের তাফসীর অধ্যায়ন বা কুরআন শিক্ষার যে কোন আলোচনা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা উচিত। রাসূল ও সাহাবীগণ সেহরির সময় ও প্রচুর কোরআন পড়তেন।
- সেহেরির সময়ে তাহাজ্জুতের নামাজে অনেক বেশি দোয়া কবুল ওর গুনা মাফ হয়ে যায়। সেজন্য আমাদের প্রত্যেকের উচিত সেহেরির সময় তাহাজ্জুতের নামাজ পড়া।
- প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর ওপর যেমন রোজা ফরজ করা হয়েছে তেমনি সময়মতো সেহরি ও ইফতার করার মধ্যে রয়েছে প্রচুর কল্যাণ ও বরকত।
- রমজান মাসে আমাদের সকলের উচিত নেক কাজ করা ও ভালো অভ্যাসের অনুশীলন করা বদ অভ্যাস বদলে ফেলার চেষ্টা করা।
রমজান মাসের রোজা না রাখার পরিনামঃ
রমজান মাসে যেমন প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মুসলমান নর-নারীর ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে তেমনি কোন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মুসলমান কোন শরীর কারণ ব্যতীত রোজা না রাখলে তা আল্লাহর কাছে জঘন্যতম গ্রহের কাজ। এ রোজা না রাখার কারণে রয়েছে শাস্তি। আমাদের দুনিয়া ও মৃত্যুর পরের জীবনের ভালো ফলাফলের জন্য রমজান মাসের রোজা রাখা খুব গুরুত্ব পূর্ণ। এই পবিত্র রমজান মাসের জন্য ইসলাম প্রিয় মুমিনরা সারা বছর ধরে অপেক্ষা করে যে কবে পবিত্র রমজান মাস আসবে।
মাহে রমজান ২০২৪ঃ
প্রতিবছরের মত এ বছরও আসন্ন আমাদের মুসলিমদের সকলের প্রিয় রমজান মাস। রোজা ২০২৪ সালের শুরু হতে আর বেশি দেরি নেই। রোজার মাস কত তারিখ থেকে শুরু হবে সেটা অবশ্যই নির্ভর করবে চাঁদের উপর।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url