তেজপাতার উপকারিতা অপকারিতা - তেজপাতার ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে জানুন

আসসালামু আলাইকুম, তেজপাতা এক প্রকার উদ্ভিদ, যার পাতা মসলা হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। সুপ, পায়েস, পোলাও অন্যান্য সিদ্ধ জাতীয় খাবারের সুগন্ধ যোগ করতে এই পাতা ব্যবহার করা হয়। তেজপাতা ঔষধ তৈরিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো তেজপাতার উপকারিতা অপকারিতা এবং তেজপাতার ঔষধি গুন সম্পর্কে।

তেজপাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টঅক্সিডেন্ট আছে যা ইনসুলিন তৈরি করে শরীরে। শরীরের সরকরার মাত্রা কমাতে কাজ করে। যারা ডায়াবেটিস ও খারাপ কোলেস্ট্রলে খুব ভোগে থাকেন তারা তেজপাতায় উপকার পাবেন। তেজপাতায় রয়েছে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ জারক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং নাক কান গলার সমস্যা দূর করে। 

ভূমিকাঃ

তেজপাতা মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর ভেষজ গুণ খাবারের স্বাদই বাড়ায় না শুধু স্বাস্থ্য সুরক্ষাতেও এর জুরি মেলা ভার। তেজপাতা বাংলাদেশ ভারত নেপাল ও চীনে বেশি উৎপন্ন হয়। তেজপাতায় আছে ভিটামিন ই ও ভিটামিন সি রয়েছে ফলিক এসিড। এছাড়াও তেজ পাতায় থাকা বিভিন্ন খনিজ উপাদান ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়তা করে। তেজপাতার অন্যতম গুন হলো এটি প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে।

তেজপাতার ইংরেজি নামঃ

তেজপাতাকে ইংরেজিতে"BAY LEAF বা CASSIA LEAF" বলা হয়। তেজপাতার ব্যবহার বর্তমানে এখন সব দেশেই হয়ে থাকে। রান্নার কাজে তেজপাতার বেশি ব্যবহার হয়। মসলা জাতীয় এই পাতাটি ব্যবহার করা হয় শুধু এর ঘ্রাণ এর জন্য। এছাড়াও ক্ষুধামন্দার জন্য তেজপাতা পানি গরম করে সেই পানি খেলে ক্ষুধার ভাব হয়।

তেজপাতার উপকারিতাঃ

তেজপাতা শুধু রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় না বর্তমানে তেজপাতা ওষুধ সহ রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তেজপাতা পুড়ে গেলে তাজ থেকে যে ধোয়া উৎপন্ন হয় সেটি মানসিক শান্তি দিতে পারে। এছাড়াও তেজপাতা পোকামাকড় তাড়াতেও সাহায্য করে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক তেজপাতার উপকারিতা গুলো-

শ্বাসতন্ত্রের জন্যঃ

কাশি হাঁপানি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তেজপাতা সাহায্য করতে পারে। তেজপাতার নির্যাস এর মধ্যে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে তাই এটি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ

ক্যান্সার নামক এই রোগটির সঠিক কোন চিকিৎসা এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে খাবারের যত্ন নেওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে এই রোগটি প্রতিরোধ করা যেতে পারে। তেজপাতার মধ্যে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধ উপাদান। তেজপাতা ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে। ছাড়াও তেজপাতা ক্লোন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তেজপাতার নির্যাসে অ্যান্টিকার্সিনোজেনি প্রভাব আছে যা স্তন ক্যান্সারের বৃদ্ধিতে বাধা দিতে পারে।

ফোলা কমাতেঃ

আপনি যদি ফোলা রোগে ভুগে থাকেন তবে তেজপাতা ব্যবহার করতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে তেজপাতায় COX-2 নামক এনজাইম এর কার্যকলাপ বাধা দিতে সাহায্য করে। এই এনজাইমের জন্য শরীরে প্রদাহ বাড়তে পারে। পাতার মধ্যে উপস্থিত সিনিয়র নামক একটি উপাদান প্রদেশের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এবং আপনাকে ফোলা থেকে রেহাই দেয়।

ছত্রাক সংক্রমণ এড়িয়ে চলতেঃ

তেজ পাতায় রয়েছে এন্টিফাঙ্গাল গুণ যা ছত্রাক সংক্রমণ এড়িয়ে চলতে সাহায্য করে। এটি খামির সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে কার্যকর তেজপাতার তেল ত্বকের ছত্রাক সংক্রমনের জন্য ব্যবহার করা হয়।

ক্ষত নিরাময়েঃ

তেজপাতার নির্যাসে দানাদার টিস্যুর বিকাশের সাহায্য করতে পারে অর্থাৎ সংযোগ করাটি সোজা ক্ষত নিরাময়ের সাহায্য করে।

কিডনি সমস্যায়ঃ

তেজপাতার নির্যাস কিডনি ও মূত্রনালীর পাথরের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে। তেজপাতার নির্যাস কিডনির পেশী শীতল করতে সাহায্য করে কারণ এর মধ্যে লরিক এসিড আছে যা কিডনির বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য  করে।

ওজন কমাতেঃ

তেজপাতা এমন একটি ভেষজ উপাদান যা খ্রিদে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে যার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। আপনি যদি ডায়েটে থাকেন তবে তেজপাতা খাওয়ার পর অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ এড়াতে পারেন ও ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

কোলেস্টেরল এবং হার্টের জন্যঃ

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে তেজপাতা ভূমিকা অপরিসীম। তেজপাতার নিদ্রাসটির মধ্যে কিছু ফ্যান লুক জৈগো আছে যাক্সিডেন্ট এর কার্যকলাপের কারণে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে আর সেই সঙ্গে ভালো কোলেস্টেরল এর মাত্রা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের ফলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

চুলের জন্যঃ

চুলের জন্য তেজপাতা খুবই উপকারী একটি উপাদান। তেজপাতা চুলের গোড়াকে ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। কারণ তেজ পাতায় এন্টিফাঙ্গাল এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ।

ত্বকের জন্যঃ

ত্বকের জন্য তেজপাতা উপকারী একটি উপাদান এটি ত্বকের গভীরে গিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে কারণ এর মধ্যে আছে এসটিজেন্ট বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও তেজপাতা কে ত্বকের ফুসুরি পোকামাকড় এবং মশা থেকে সুরক্ষা পেতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তেজপাতার অপরিহার্য তেল প্রসাধনী শিল্পে ক্রিম পারফিউম এবং সাবান তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

তেজপাতার অপকারিতাঃ

প্রতিটা জিনিসের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন এর অপকারিতা ও রয়েছে। তেমনি তেজপাতার যেমন উপকারিতা রয়েছে এর অপকারিতা ও রয়েছে চলুন নিম্নে জেনে নেই তেজপাতার অপকারিতা গুলো-

  • ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য শুধুমাত্র একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তেজপাতা খাওয়া উচিত।
  • গর্ভাবস্থায় তেজপাতা বা এর সম্পূরক গ্রহণ সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই তাই গর্ভাবস্থায় তেজপাতা ব্যবহার করার আগে অবশ্যই আপনাকে একজন রেজিস্টার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করা উচিত।
  • তেজপাতার অসুবিধা হচ্ছে এলাচি। তেজপাতা থেকে তৈরি অপরিহার্য তে সংবেদনশীল ত্বকে এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।
  • তেজপাতা স্নায়ুতন্ত্র কে ধির করার জন্য আনের শ্রেয়া ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া করতে পারে। তাই অস্ত্র পাচারের কমপক্ষে দুই সপ্তাহ আগে এবং পরে এর যে কোন পরিপূরক খাওয়া বন্ধ করা উচিত।

তেজপাতার ব্যবহারঃ

আমরা নানা রকম খাবার রান্নার সময় তেজপাতা ব্যবহার করে থাকি। তেজপাতা খাবারের সুগন্ধ আনতে সাহায্য করে। এছাড়াও ঘর থেকে পোকামাকড় তাড়ানোর জন্য আমরা তেজপাতা ব্যবহার করে থাকি চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক তেজপাতার ব্যবহার গুলো-

  • বাগান থেকে পোকা দূর করতে কিছু তেজপাতা মাটির কাছে প্রতিদিন তীব্র গন্ধের কারণে পিঁপড়া দূর হয়ে যাবে ধীরে ধীরে।
  • মাটির প্রদীপ বাজে কোন পাত্রে দুই চারটি লবঙ্গ সামান্য কর্পূর এবং দুটি তেজপাতা রেখে পুড়িয়ে ফেলুন। এটি আপনার সুগন্ধি হিসেবে চমৎকার কাজ করবে।
  • আপনার বাড়িতে যদি মশা এবং পোকামাকড় থাকে তবে তেজপাতার ব্যবহার করে দূর করতে পারবেন। তেজপাতার সাথে কিছু পেঁয়াজের খোসা পুড়িয়ে ফেলুন বের করবে পোকামাকড় মশা মাছি।
  • কাল তাহলে কি পোকামাকড়ে আক্রমণ করছে তবে তেজপাতার শক্তিশালী সুগন্ধ পোকামাকড় দূর করতে পারে। তেজপাতা এবং লবঙ্গ একটি মুসলিম কাপড় বেধে সেটা রাখুন চাল ডাল বা ময়দার পাত্রে সাদা ও কালো পোকামাকড় থেকে রেহাই পাবেন।
  • মানসিক ক্লান্তি দূর করে তেজপাতার শান্তি দায়ক ঘ্রাণ। তেজপাতায়ে মিনানুল নামক একটি রাসায়নিক রয়েছে যা পোড়ালে সুগন্ধ নির্গত হয়।

তেজপাতা খাওয়ার নিয়মঃ

তেজপাতা আমরা নানাভাবে ব্যবহার করে থাকি। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক তেজপাতার খাওয়ার নিয়ম গুলো-

  • তৈরিতে তেজপাতা ব্যবহার করে থাকি
  • বিরিয়ানির স্বাদ বাড়াতে তেজপাতা ব্যবহার করে থাকি।
  • শাক-সবজি এবং মাটন মসলা তেজপাতা ব্যবহার করে থাকি।
  • ঠান্ডা ও সর্দি নিরাময়ের জন্য ফুটন্ত তেজপাতা চায়ে খাওয়া যেতে পারে।
  • মসলা চা তৈরিতে তেজপাতার ব্যবহার করে থাকি।
  • তেজপাতার তেল শরীরে ব্যথার জন্য ব্যবহৃত হয়।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ

তেজপাতার অনেক সুবিধা রয়েছে তবে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত লোকদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তেজপাতা খাওয়া উচিত। যাদের তেজপাতা থেকে অ্যালার্জি হয় তাদের তেজপাতা খাওয়া উচিত নয়, তেজপাতা বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। এটি স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকারী মহিলাদের তেজপাতা খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

তেজপাতার ঔষধি গুনাগুনঃ

তেজপাতা একটি সুগন্ধি যুক্ত ঔষধি পাতা। তেজপাতা আমরা নানারকম রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকি। সেজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলের এই পর্বে আমরা আপনাদের জানাবো তেজপাতার ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক তেজপাতার ঔষধি গুনাগুন গুলো-

  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
  • ব্যথা উপশম করে।
  • ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে
  • বলা খুসখুশ ও কাশি থেকে মুক্তি দেয়।
  • ক্ষত নিরাময় করতে সাহায্য করে।
  • সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
  • উদ্বিগ্নতা ও চাপ কমাতে সহায়তা করে।
  • হজমে সাহায্য করে।

রূপচর্চায় তেজপাতার ব্যবহারঃ

আমরা অনেকেই জানিনা মসলা হিসেবে পরিচিত থাকলেও সৌন্দর্যচর্চায় যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসতে এই তেজপাতা। তোকে তার অন্য ধরে রাখতে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে তেজপাতা। আপনি যদি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে জানতে পারবেন রূপচর্চায় তেজপাতার ব্যবহার সম্পরকে।

ত্বক উজ্জ্বল করতেঃ

আমরা অনেকেই ত্বক উজ্জ্বল করতে ভেষজ উপাদান ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমরা জানি না তেজপাতা তক উজ্জ্বল করতে সহায়তা করতে পারে। একটু বেশি পানিতে তেজপাতা সেদ্ধ করুন। এরপরে সে দুধ কড়া পানি ঠান্ডা করুন তারপর সে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন তেজপাতা সেদ্ধ ঠান্ডা পানি দিয়ে নিয়মের জন্য এটি উপকার করবে।

খুশকি দূর করতেঃ

আপনি কি আপনার মাথার খুশকি দূর করতে নানা রকম শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন তবুও কাজ হচ্ছে না তবে আপনি খুশকি দূর করার জন্য তেজপাতা ব্যবহার করুন। তেজপাতা সেদ্ধ করা ঠান্ডা পানি দিয়ে মাথা ভালো করে ধুয়ে ফেললে খুশকি দূর হওয়ার পাশাপাশি চুল পড়া ও কমে যাবে। আপনার মাথায় যদি অত্যাধিক পরিমাণে চুল পড়ে তবে তেজপাতার এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করুন এতে করে আপনার চুল আর উঠবে না।

শরীরের দুর্গন্ধ দূর করতেঃ

আপনার শরীরের দুর্গন্ধ দূর করতে তেজপাতার গুঁড়ো গরম পানিতে ভিজিয়ে গোসল করলে শরীরের দুর্গন্ধ দূর হবে। শুকনো তেজপাতা গুঁড়ো করে নিন পরিষ্কার এক টুকরো কাপড় গুঁড়ো তেজপাতায় দিয়ে পুটলি বাঁধন। গুড়ো তেজপাতার সেই পুটলি কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন কুসুম গরম পানিতে। তারপর সে পানি দিয়ে গোসল করুন ।শীতে গরম পানিতে গোসল করার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই আছে দেখবেন শরীরের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।

দাঁতের উজ্জ্বলতা বাড়াতেঃ

আপনি আপনার দাঁতের উজ্জ্বলতা বাড়াতে মাঝে মাঝে তাতে কাঁচা তেজপাতা ঘষে দিন এতে করে আপনার দাঁত উজ্জ্বল হবে। কাঁচা তেজপাতা মাউথওয়াশ হিসেবেও কাজ করবে আপনার মুখে।

ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেঃ

আপনি যদি আপনার ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে চান তবে তেজপাতা সেদ্ধ করা পানির ভাব নিন। কারণ তেজপাতা সেদ্ধ করা পানির ভাব এন টি এনজিং সলিউশন হিসেবে কাজ করে।

তেজপাতার পুষ্টিগুণঃ

প্রতি ১০০ গ্রাম তেজপাতায় রয়েছে-

  • খাদ্য শক্তি ৩১৩ ক্যালোরি
  • জল ৫.৪৪ গ্রাম
  • প্রোটিন ৭.৬১ গ্রাম
  • ফ্যাট ৮.৩৬ গ্রাম
  • কার্বোহাইড্রেট ৭৪.৯৭ গ্রাম
  • ফাইবার ২৬.৩ গ্রাম
  • আয়রন ৪৩.০ মিলিগ্রাম
  • ক্যালসিয়াম ৮৩৪ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন সি ৪৬.৫ মিলিগ্রাম

উপসংহারঃ তেজপাতার উপকারিতা অপকারিতা - তেজপাতার ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে জানুন 

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, তেজপাতা একপ্রকার উদ্ভিদ যার পাতা মসলা হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। এই তেজ পাতার গুণের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তেজপাতার কদর রয়েছে। তেজ পাতায় রয়েছে ভিটামিন ই ও সি আরো রয়েছে ফলিক এসিড। এতে থাকা বিভিন্ন খনিজ উপাদান ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। তেজপাতার কাঁচা পাতার রং হয় সবুজ এবং শুকনো পাতার রং হয় বাদামী।

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন তেজপাতার উপকারিতা অপকারিতা - তেজপাতার ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তবে আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। আমাদের আর্টিকেল মাঝে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তবে আপনার মহামূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই আমাদের জানাবেন যাতে করে আমরা সেই ভুলগুলো সংশোধন করতে পারি। এই আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url