অগ্নিকাণ্ডে যেভাবে নিজেকে ধোয়া থেকে রক্ষা করবেন

আসসালামু আলাইকুম, পাঠক বন্ধুরা, আমাদের আজকের রাতে গেলে আমরা আপনাদের জানাবো অগ্নিকান্ডে যেভাবে নিজেকে ধুয়া থেকে রক্ষা করবেন। অগ্নিকান্ডে নেমে সেই ছাই হয়ে যায় তিল তিল করে গড়ে তোলা অনেক মূল্যবান সম্পত্তি। যে কোন অগ্নিকাণ্ডে আগুনে পুড়ে যতটা মৃত্যু হয় তার চেয়ে বেশি মৃত্যু হয় দোয়ার কারণে শ্বাস বন্ধ হয়ে।

আপনি যদি দেখেন কোথাও আগুন লেগেছে তবে প্রথমেই আপনার উচিত সেখান থেকে নিরাপদ দূরত্বে চলে যাওয়ার চেষ্টা করা। আপনি যদি রেস্টুরেন্ট শপিংমল বা এমন কোন জায়গায় থাকেন তবে সেখানে ইমার্জেন্সি ডোর গুলো রয়েছে সেগুলো দিয়ে বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করুন। আগুন লাগলে ভয় পাওয়ার স্বাভাবিক ব্যাপার তবে এই ভয় এর কারণেই হতে পারে আপনার মৃত্যু।

অগ্নিকাণ্ডে নিজেকে ধোঁয়া থেকে রক্ষা করার উপায়ঃ

আগুন এটা একটি ভয়ঙ্কর আতঙ্কের নাম। কোথাও আগুন লাগলে আমরা প্রথমে সেখান থেকে নিরাপদ দূরত্বে চলে যাওয়ার চেষ্টা করব। যেখানে আগুন লেগেছে সেখানে যদি কোন ইমারজেন্সি ডোর থাকে তবে সেই দরজা দিয়ে বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করুন। ভুলেও লিফট ব্যবহার করবেন না সিঁড়ি দিয়ে নামার চেষ্টা করব। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক অগ্নিকাণ্ডে নিজেকে ধোঁয়া থেকে রক্ষা করার উপায় গুলো-

জানালা খুলে দিতে হবেঃ

যদি দেখেন আগুন লেগেছে তবে ভুয়া দেখে জানালা খুলে দেবেন না বরং জানালার পর্দা সরিয়ে দিবেন যাতে তাতে আগুন না লাগে। আর যদি দেখেন জানালার থেকে আগুন বাঁধোয়া নেই তাহলে তা খুলে তাজা বাতাস নেওয়ার চেষ্টা করুন শ্বাস নেওয়ার জন্য।

রুমের দরজা বন্ধ রাখতে হবেঃ

যদি দেখেন আগুন লেগে গেছে বাড়িতে তবে রুমের দরজা বন্ধ করে দিন। দরজার নিচে ও উপরে কাপড় ভিজিয়ে তা দিয়ে দরজার ফাঁক অংশ বন্ধ করুন এতে আগুনের ধোয়া রুমে সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না। থাকে তাহলে তা দিয়ে দরজা কভার করে দেবেন এতে আগুনের বিষাক্ত ধোয়া সহজেই আপনার রুমের ভেতর ঢুকতে পারবে না।

কাপড়ের আগুন লেগে গেলে করণীয়ঃ

যদি দেখেন আপনার কাপড়ে আগুন লেগে গেছে তখন সঙ্গে সঙ্গে মেঝেতে শুয়ে পড়ুন। মেঝেতে শুয়ে পড়ার পরে সারা শরীর গড়াগড়ি করতে থাকুন যতক্ষণ না আগুন নিভে যায় এরকম করলে আগুন জলদি নিভে যাবে শরীর থেকে। গড়াগড়ি খাওয়ার সময় হাত দিয়ে মুখ ঢেকে নেবেন যেন আগুনের আভা মুখে এসে না লাগে। আগুন লাগলে লাফালাফি করবেন না এতে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে আপনার শরীরে।

ভেজা কাপড়ে মুখ ঢাকতে হবেঃ

একটি কাপড় ভিজিয়ে সেটা দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন শুধু নাক দিয়ে নিশ্বাস নিন। প্রয়োজনে তোয়ালে দাঁত ও ঠোঁট দিয়ে চেপে রাখুন এটি আপনাকে নাক দিয়ে নিশ্বাস নিতে সাহায্য করবে।

অঙ্কিত হওয়া চলবে নাঃ

যদি দেখেন আগুন লেগেছে তবে আতঙ্কিত না হয়ে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন কারণ আতঙ্কিত হয়ে গেলে মাথা ঠিক মত কাজ করে না হার্টবিট বেড়ে যায়। যা থেকে হার্টফেল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অন্যদিকে ভয় পেয়ে জোরে জোরে শ্বাস নেওয়ার ফলে আগুন থেকে বঞ্চিত নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড আমাদের নিঃশ্বাসে অতিরিক্ত মাত্রায় মিশে যায় যার কারণে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আগুন লাগলে আপনি যদি ভয় পান তবে সেই ভয় আপনার মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

হামাগুড়ি দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করুনঃ

যদি দেখেন আগুন লেগেছে তখন বেরোনোর কত পথ পাওয়া যায় তবে সেখান থেকে বেরোনোর জন্য হামাগুড়ি দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করুন। এতে মেয়েদের সতেজ বাতাস আপনাকে শ্বাস নিতে সাহায্য করবে। দরজা খোলার আগে হাত দিয়ে তা ধরে দেখুন যদি দেখেন দরজা গরম লাগছে তবে সেটা খুলবেন না বুঝবেন দরজার ওপাশে আগুন আছে।

মন শক্ত রাখতে হবেঃ

যদি আগুন লেগে যায় বাড়িতে তবে কষ্ট হলেও আপনাকে সাহায্যের জন্য কেউ আসা অব্দি মন শক্ত করে আগুন থেকে বাঁচার চেষ্টা করুন। অনেক মানুষ আগুনে থেকে বাঁচতে বহু তল বিল্ডিং এর উপর থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েন।এটা না জেনেই যে আর কয়েক মিনিট অপেক্ষা করলে সাহায্য পেতেন।

আগুন লাগলে করণীয়ঃ

আগুন লাগলে আগে প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করুন। যদি আগুন বেশি হয় তাহলে ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট হতে পারে সেজন্য পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সে স্থান দ্রুত পরিত্যাগ করুন। সে ক্ষেত্রে নিচু হয়ে বা হামাগুড়ি দিয়ে অথবা গড়াতে গড়াতে বের হতে হবে আপনাকে মুখ সম্পূর্ণ ঢেকে ধোঁয়ার নিচ দিয়ে বের হয়ে আসতে হয়ে।

আগুন লাগলে আগে প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করুন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘটনা স্থল দ্রুত ত্যাগ করুন যদি আগুন বেশি হয় তাহলে ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট হতে পারে আপনার। সে ক্ষেত্রে নিচু হয়ে বা হামাগুড়ি দিয়ে অথবা গড়াতে গড়াতে বের হতেই হবে আপনাকে মুখ সম্পূর্ণ ঢেকে ধোঁয়ার নিচ দিয়ে বের হয়ে আসতে হবে খুব তাড়াতাড়ি করে।আপনার যদি রান্না ঘরে আগুন লাগে তবে আপনি দ্রুত গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করুন।

ধোঁয়া দেখতে পেলে কখনো ওপরে উঠবেন না। বরংখলা বারান্দা বা জানালার কাছে গিয়ে বাইরের মানুষের সাহায্য চান ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন পথ পরিহার করুন। ধোয়া উপরে উঠে বলে নিচের বাতাসে অক্সিজেন বেশি থাকে।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url