সুস্থভাবে রোজা পালনের জন্য যে নিয়ম মানা জরুরি

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো সুস্থভাবে রোজা পালনের জন্য যে নিয়ম মানা জরুরী। রমজান মাসে নিজের সুস্থতা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এ সময় যদি আপনি অসুস্থ হয়ে যান তবে আপনার পক্ষে রোজা রাখা কষ্টকর হয়ে যাবে। সেজন্য রমজান মাসে খাবারের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হতে হবে।

সারাদিন রোজা রাখার কারণে ইফতার এ আপনার নানা পদের মুখরোচক খাবার খাবার ইচ্ছা হতেই পারে কিন্তু সুস্থতার দিক নজর দেওয়ার সবার আগে আপনার জরুরী তাই এমন সব মুখরোচক খাবার বাদ দিয়ে শরীর সুস্থ রাখার জন্য যেসব খাবার আপনাকে সুস্থ রাখবে সেই খাবারগুলো আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক সুস্থ ভাবে রোজা পালনের জন্য যে নিয়ম মানা জরুরী।

সুস্থভাবে রোজা পালনের উপায়ঃ

ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে প্রচুর পানি দিয়ে আপনার রোজা শুরু করুন এবং প্রচুর পানি দিয়ে আপনার ইফতার শুরু করুন। অর্থাৎ সেহরি ও ইফতারের পর্যাপ্ত পানি পান করুন সারাদিন হাইড্রেশনের মাত্রা বজায় রাখতে ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত তরমুজ শসা এবং সুপের মতো হাইড্রেটিক খাবার খান। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক সুস্থ ভাবে রোজা পালনের জন্য যে নিয়ম মানা জরুরি।

স্বাস্থ্যবিধিয়ে মেনে চলাঃ

মনোযোগ সহকারে খাওয়াঃ

পুষ্টিকর সেহরিঃ

রমজান মাসে পুষ্টিকর সেহরি খান ওটস দানাশস্য ডিম এবং দইয়ের মত দেড় হজম কারী খাবার খান রমজান মাসের সেহরিতে। এতে করে সারাদিন শক্তি থাকবে আপনার শরীরে অতিরিক্ত এবং নোনতা খাবার এড়িয়ে চলুন কারণ এ ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে রোজার সময় তৃষ্ণা ও পানি শূন্যতা দেখা দেয়।

সুসম খাবারঃ

স্বাস্থ্যকর চর্বি চরবিহীন প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে এবং রোজার সময় তৃপ্তি বাড়াতে সাহায্য করে। হজমে অসস্তি রোধ করতে ইফতারের সময় অতিরিক্ত ভাজাপোড়া বা চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলুন। এছাড়াও হজমের অস্বস্তি রোধ করতে ইফতারের সময় অতিরিক্ত ভাজাপোড়া বা চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

পরিমিত ব্যায়াম করাঃ

রমজান মাসের ইফতার করার পরে হালকা থেকে মাঝারি ব্যায়াম করতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে মেজাজ ভালো রাখতে এবং বেশির ভর বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াঃ

সুস্থভাবে রোজা পালনের জন্য রমজান মাসে ভিটামিন খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর পর্যাপ্ত খাবার গ্রহণ করুন। যেমন ফল শাকসবজি বাদাম বীজ এবং লেবু। খাবারকে আকর্ষণীয় এবং তৃপ্তিদায়ক রাখতে ভিন্ন ভিন্ন রান্না তৈরি করুন রমজানে।

স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করাঃ

সুস্থভাবে রোজা পালনের ক্ষেত্রে মানসিক সুস্থতা বাড়াতে এবং প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোর মতো স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট কৌশল গুলোকে অগ্রাধিকার দিন। যার মাধ্যমে আপনার হজমকে প্রভাবিত করতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url