বাচ্চাদের জ্বরের সাপোজিটর এর নাম ও ব্যবহারের নিয়ম

 আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা নিশ্চয়ই বাচ্চাদের জ্বর হলে সাপোজিটর এর নাম ও ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান, তবে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ুন। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তবে জানতে পারবেন বাচ্চাদের জ্বরের সাপোজিটরের নাম ও ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে।

বাচ্চাদের জ্বরের সাপোজিটার এর নাম ও ব্যবহারের নিয়ম

বাচ্চা যখন অসুখ হয় তখন নতুন মায়ের মধ্যে শুরু হয়ে যায় নানা দুশ্চিন্তা। এছাড়াও যখন বাচ্চার জ্বর হয় তখন জ্বর কমানোর জন্য শিশুদের সাপোজিটরের ব্যবহারের পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। কিন্তু নতুন মেয়েরা অনেকেই জানেন না সাপোজিটরের ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে।

কত ঘন্টা পরপর সাপোজিটর দেওয়া যায় শিশুদেরঃ

বাচ্চার বয়স অনুযায়ী সাপোজিটার দিতে হয়। আপনি যদি সাপোজিটার দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে না জেনে থাকেন তবে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহলে জানতে পারবেন বাচ্চাদের জ্বরের সাপোটারদের নাম ও ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে। বাচ্চা ছোট হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপরে সাপোটার দিতে হবে কারণ ছোট বাচ্চাদের সাপোর্টার না দিয়ে মুখে খাওয়ার মাধ্যমে ওষুধ শোভন করতে হবে। কত ঘন্টা পর পর সাপোজিটর দেওয়া যায় শিশুদের।

  • ছয় মাস থেকে দুই বছর বয়সী বাচ্চাদের ১২৫ মিলিগ্রাম মাত্রার প্যারাসিটামল সাপোজিটরি পায়ুপথে দিতে হয়।
  • দুই বছর হতে ৫ বছর পর্যন্ত শিশুদের ২৫০ মিলিগ্রাম মাত্রার সাপোজিটর দিতে হবে।
  • ছয় বছর থেকে বেশি বড় শিশুদের ২৫০ থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম মাত্রার সাপোর্টার দিতে হবে। যারা এর থেকে বড় সবার জন্য ৫০০ মিলিগ্রাম সাপটার দিতে হয়।
  • সাপোজিটার দিনে দুই থেকে তিন বারের বেশি দেওয়া যাবে না।

শিশু বাচ্চাদের সাপোজিটার ব্যবহারের নিয়মঃ

আপনি যেহেতু আপনার বাচ্চার জন্য সাবজেক্টে ব্যবহার করবেন সেজন্য সেটা নিয়ম মত ব্যবহার করাই উচিত। বড় সাইজের কোন সাপোজিটর শিশুদের দেওয়া যাবে না সব সময় খেয়াল রাখবেন যাতে ছোট সাইজের সাপোর্টারটি শিশুদের জন্য নির্বাচিত হয়।

  • দেওয়ার আগে অন্তত একবার হলেও যাচাই করে নেবেন কারণ ভাঙ্গা থাকলে সেটা ব্যবহার করা উচিত নয়।
  • গুনাগুন ও মান ভালো সেই সাপোজিটার বাছাই করে নিতে হবে আপনাকে। সাপোজিটা প্লাস্টিকের তৈরি কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ প্লাস্টিকের তৈরি করা গুলো ভালো সাপোজিটর।
  • সাপোজিটরটি ব্যবহার করার পর অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে সেই জায়গাটি পরিষ্কার করে দিতে হবে।
  • শিশুর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ছাপা জেটারটি দেওয়া যাবে না। আপনি শিশুকে বুঝিয়ে অথবা ভুলিয়ে এটা ব্যবহার করবেন।
  • যে কোন সাপোজিটর ব্যবহার না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সাপোটার ব্যবহার করুন।
  • বাচ্চাদের সাপোজিটর ব্যবহার করার সময় প্রাকৃতিক রক্ষা ব্যবস্থা করতে হবে আপনাকে।

বাচ্চাদের বয়স কত হলে সাপোজিটার ব্যবহার করা যাবেঃ

বাচ্চাদের বয়স কত হলে সাপোজিটার ব্যবহার করা যাবে চলুন নিম্নে যেনে নেই- শিশুদের জ্বর কমানোর প্রধান উদ্দেশ্য তাকে স্বস্তি দেওয়া মূল অসুখের নিরাময় হলে ইনফ্লুয়েঞ্জা নিউমোনিয়া ইউটিআই টাইফয়েড ইত্যাদি জড়ো কমে যায়। সেজন্য বাচ্চাদের জ্বর হলে আগে খুঁজে বের করতে হবে কিভাবে তার চিকিৎসা দেওয়া যায়। আপনার বাচ্চার বয়স যদি এক বছরের উপরে হয় তবে আপনি আপনার বাচ্চাকে সাপোটার ব্যবহার করতে পারবেন।

শেষ কথাঃ বাচ্চাদের জ্বরের সাপোজিটর এর নাম ও ব্যবহারের নিয়ম

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, শিশুদের যে কোন ওষুধ মুখে প্রয়োগের চেষ্টা করা উচিত। কারণ কোনভাবেই মুখে খাওয়ানোর সম্ভব না হলে কেবল তখনই পায়ুপথে সাপোজিটরটি প্রয়োগ করা যায়। সাপোজ এটা জ্বর দ্রুত কমে এমন ধারণা ভুল। আপনি আপনার শিশুকে যদি মাত্র অতিরিক্ত সাপোজিটার দিয়ে থাকেন তবে শিশুর কিডনির ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আপনারা যারা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন তাদেরকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। আমাদের আজকের আর্টিকেলের মধ্যে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তবে আপনি আপনার মহামূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই আমাদের জানাবেন যাতে করে আমরা সেই ভুলগুলো সংশোধন করতে পারি। এবং এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটা পোস্ট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url