ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা - ই ক্যাপ খাওয়ার নিয়ম

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের তথ্য অনুযায়ী ই ক্যাপ ক্যাপসুল এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। ভিটামিন-ই শরীরে কোষগুলিকে সতেজ রাখতে সবচেয়ে বেশি কাজ করে থাকে। এছাড়াও ই ক্যাপ ক্যাপসুল মূলত ভিটামিন ই মুখে খাওয়া হয় এবং প্রয়োজনে বেসিকভাবেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা - ই ক্যাপ খাওয়ার নিয়ম

প্রতিটা ওষুধের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর অপকারিতা ও রয়েছে। কিন্তু আপনি যদি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করে থাকেন তবে তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না। যদি ই ক্যাপ ব্যবহার করার কথা ভেবে থাকেন তবে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করুন।

ই ক্যাপ এর উপকারিতাঃ

ই ক্যাপ আমাদের শরীরকে সতেজ রাখতে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমাদের আজকের আর্টিকেলের এই পর্বে আমরা আপনাদের জানাবো ই ক্যাপ এর উপকারিতা সম্পর্কে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক ই ক্যাপ উপকারিতা গুলো-

চুলের যত্নেঃ

ভিটামিন ই চুল পড়া বন্ধ করতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। যারা চুল পড়া সমস্যা ভুগে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে এটি জাদুর মত কাজ করে। এটা আপনি যদি চুলে ব্যবহার করেন তবে আপনাকে মুখে খাওয়ার পাশাপাশি আপনার মাথার ব্যবহার্য তেলের সাথে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে হবে। চলে ব্যবহার করা দুই থেকে তিন ঘন্টা পর মাথা শ্যাম্পু করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এভাবে সপ্তাহে দুই দিন করে একমাস ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিঃ

ই ক্যাপ আমাদের শরীরকে সতেজ রাখতে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এতে এমন এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের ত্বক এবং মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সৌন্দর্য চর্চার ক্ষেত্রে ই ক্যাপ মুখে খাওয়া যেতে পারে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বাহিক ভাবে ব্যবহার করা হয়।

ক্রিম হিসেবেঃ

আপনারা যারা নাইট ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন তাদের জন্য ভিটামিন-ই মশ্চারাইজিং হিসেবে বেশ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত ব্যবহৃত ক্রিম কিংবা লোশনের সাথে কয়েক ফোটা ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তরল মিশিয়ে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

রোদের ক্রিমঃ

আপনাদের যাদের বাইরের রোধে কাজ করে কালো হয়ে গেছে তাদের জন্য সেরা মশ্চারাইজিং হলো ভিটামিন ই। কুলিং ক্রিমের সাথে কয়েক ফোটা ভিটামিন ব্যবহার করলে খুব সহজেই রোদে পুড়ে কালো হওয়া থেকে দূরে থাকা যায়।

নখের যত্নেঃ

আপনি কি সারাদিন বাইরে কিংবা বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের সাংসারিক কাজ করার কারণে নখের ভঙ্গুরতা দেখা দিয়েছে তবে আপনার জন্য একমাত্র ওষুধ হলো ভিটামিন ই ক্যাপ ক্যাপসুল। আপনি যদি নিয়মিত ক্যাপসুল এর তেল ভেঙে যাওয়ার নখে মালিশ করেন তবে আপনার নখ খুব তাড়াতাড়ি সতেজ হয়ে উঠবে।

বয়সের ছাপ দূর করতেঃ

প্রতিটা মানুষেরই বয়স বাড়ার সাথে সাথে কুঁচকে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বালিরেখা দেখা দিতে শুরু করে। এক্ষেত্রে ই ক্যাপ ক্যাপসুল এন্টি এজিং ক্রিম হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত যদি ঝুলে যাওয়া এবং পুঁচকে যাওয়া ত্বকে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল মালিশ করা হয় তাহলে উজ্জ্বলতা বাড়ার পাশাপাশি সব ধরনের বলিরেখা দূর হয়ে যাবে আপনার ত্বক থেকে।

ক্ষত সারাতেঃ

আপনার শরীরের ক্ষত নিরাময় করতেও ভিটামিন ই ক্যাপসুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি নিয়মিত ই ক্যাপসুল শোভন করেন তবে আপনার যে কোন ক্ষতস্থান খুব দ্রুত সরে উঠবে।

ভিটামিন ই এর অভাবঃ

ক্যাপসুল শরীরে ভিটামিন এ এর অভাবজনিত সব ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ করতে ক্যাপসুল উনি যদি খেতে পারেন তবে আপনার শরীরে ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ হবে।

ই ক্যাপ এর অপকারিতাঃ

সাধারণত ই ক্যাপ ক্যাপসুলেট তেমন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং অপ রিকারীতা দেখা যায় না তবে অত্যাধিক পরিমাণে ই ক্যাপ শোভন করলে আমাশয়সহ এলার্জিজনিত নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আমাদের আর্টিকেলের এই পর্বে আমরা আপনাদের জানাবো ই ক্যাপ এর অপকারিতা গুলো-

মাথাব্যথাঃ

কিছু ক্ষেত্রে ই ক্যাপ মাথা ব্যথা ও মাথা ঘুরার কারণ হতে পারে।

রক্ত পাতলা হওয়াঃ

রক্ত পাতলা করার ঔষধের সাথে বিক্রিয়া করাতে পারে। তাই যারা রক্তপাতলা করার ঔষধ খান তাদের ইট আপ খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

গর্ভবতী ও স্তন্যদান কারী মায়ের জন্য ঝুঁকিঃ

গর্ভবতী ও স্তন্যদান কারী মায়েদের ই ট্যাব খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে তারপর খাওয়া উচিত।

পেট খারাপঃ

ই ক্যাপ এর অতিরিক্ত ব্যবহারে পেট খারাপ বমি বমি ভাব ও ডায়রিয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ক্লান্তিঃ 

ই ক্যাপ এর অতিরিক্ত ব্যবহারে ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভূত হতে পারে।

এলার্জির প্রতিক্রিয়াঃ

কিছু ক্ষেত্রে ই ক্যাপ এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে যেমন তোকে ফুসকুড়ি চুলকানি ও শ্বাসকষ্ট।

ই ক্যাপ খাওয়ার নিয়মঃ


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url