জরায়ু ক্যান্সার কি ? জরায়ু ক্যান্সার কেন হয় চিকিৎসা ও প্রতিকার

আসসালামু আলাইকুম, জরায়ু হলো মহিলার প্রজনন প্রণালীর অংশ এবং এটি গর্ভের নিচের অংশে অবস্থিত যা গর্ভ থেকে যোনি পর্যন্ত খোলা। জরায়ু ক্যান্সার সমস্ত ক্যান্সারের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে এবং বর্তমানে এ রোগ প্রতি দুই মিনিটে একজনের মৃত্যু হয়।

জরায়ু ক্যান্সার কি জরায়ু ক্যান্সার কেন হয় জ্বরের ক্যান্সার হলে করণীয় চিকিৎসা ও প্রতিকার

৪২ টি দেশে মহিলাদের মধ্যে ক্যান্সারের আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো জরায়ু ক্যান্সার। এছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর ৫ লাখ ৭০ হাজার নারী এ জরায়ু  ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং প্রায় তিন লাখ দশ হাজার নারী এর ফলে মারা যান।

জরায়ু ক্যান্সার কিঃ

জরায়ু ক্যান্সার হয় এক ধরনের ভাইরাসের আক্রমণে যার নাম হিউম্যান প্যাপিলোপা  ভাইরাস। আর এই ভাইরাস টির ছড়াই ওই ভাইরাস আছে এমন কারো সাথে যৌন মিলন হলে। যৌন মিলনের সময় পুরুষের কাছ থেকে নারী দেহে এই ভাইরাস ঢুকে যায়। ঢোকার সাথে সাথে ক্যান্সার হয় না ক্যান্সার হতে বেশ কয়েক বছরও লাগতে পারে। যখন নারীর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তখনই এই ভাইরাসটি ক্যান্সার রোগের সৃষ্টি করে।

জরায়ু ক্যান্সার কেন হয়ঃ

৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী নারীরা সবচেয়ে বেশি জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। যেসব নারীর বয়স ৩০ থেকে ৬০ এর মধ্যে তাদের প্রতি পাঁচ বছর পর পর ভায়া টেস্ট করানো দরকার। প্রাথমিকভাবে কোন ব্যথা থাকে না দেখেই আমাদের দেশের নারীরা হাসপাতালে আসেন না জরায়ু ক্যান্সার হলে। এমনকি যখন তারা হাসপাতালে আসেন।

তখন দেখা যায় তাদের দুর্গন্ধযুক্ত সিরাপ যাচ্ছে কিন্তু লজ্জায় সে কাউকে বলছে না স্বামীর সাথে মেলামেশায় রক্ত যাচ্ছে সেটিও সে বলছে না ফলে তারা যখন হাসপাতালে আসে তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। এছাড়াও জড়াই মুখের ক্যান্সারের মূল অসুবিধাটি হলো এই এই রোগটি শেষ পর্যায়ে গেলে শুধুমাত্র ব্যথা দেখা দেয় এর আগ পর্যন্ত এর লক্ষণ গুলো অনেকেই মাসিকের মেইলই সমস্যা বলে মনে করেন।

যৌন মিলনের সময় পুরুষের কাছ থেকে নারী দেহে এই ভাইরাস ঢুকে যায় এই ভাইরাসটি ঢোকার সাথে সাথেই ক্যান্সার হয় না ক্যান্সার হতে বেশ কয়েক বছর লাগতে পারে। যখন নারীর দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তখনই এই ভাইরাসটি ক্যান্সার রোগের সৃষ্টি করে শরীরে।

জরায়ু ক্যান্সারের চিকিৎসাঃ

পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত হলে কিংবা দুটি পিরিয়ডের মাঝে প্রায় রক্তপাত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বাংলাদেশের সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সরকারি জেলা সদর হাসপাতাল মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এমনকি নির্বাচিত কিছু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে এনজিও ক্লিনিক গুলোতেও জরায়ু মুখ ক্যান্সারের পূর্ব ব্যবস্থা বোঝায় এই ভাইয়া টেস্ট বিনামূল্যে করা হয়। 

সেজন্য আপনি কোন রকম অবহেলা বা সংকোচ না করে নিজের ও আপনার পরিবারের সদস্যদের প্রতি পাঁচ বছর পর পর নিয়মিত ক্যান্সারের প্রাথমিক পরীক্ষা অর্থাৎ ভায়া টেস্ট করুন অর্থাৎ ভায়া টেস্ট করুন জরায়ু মুখ ক্যান্সার থেকে নিরাপদ থাকুন।

জরায়ু ক্যান্সারের প্রতিকারঃ


শেষ কথাঃ জরায়ু ক্যান্সার কি ? জরায়ু ক্যান্সারের কেন হয় চিকিৎসা ও প্রতিকার

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা জরায়ু ক্যান্সার একমাত্র ক্যান্সার যার টিকা আছে। মাসিক শুরুর পরপরই এবং যৌন সম্পর্ক শুরু কিংবা বিয়ের আগে টিকা নিলে এই ক্যান্সার থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব। সেজন্য অবহেলা বা সংকোচ না করে নিজের ও আপনার পরিবারের সদস্যদের প্রতি পাঁচ বছর পর পর নিয়মিত জরায়ু ক্যান্সারের প্রাথমিক পরীক্ষা করান।

এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তবে আপনি জানতে পারবেন জরায়ু ক্যান্সার কি? জরায়ু ক্যান্সার কেন হয় চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এবং এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটা ভিজিট করুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url