আম খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো আম খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। আপনি যদি খুব পাতলা হন তবে আপনি নিয়মিত আম খেতে পারেন কারণ আপনি যদি নিয়মিত আম খান তবে আপনার ওজন বৃদ্ধি করবে।
আম খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। অরুভিদিক মধ্যে অনুসারে আমের পাঁচটি অংশ ব্যবহার করা হয়। আমাকে বলা হয় ফলের রাজা। কারণ আম এমনই বহু গুণের ভান্ডার যার রয়েছে নানা রকম উপকারিতা। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক আম খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।আম খাওয়ার উপকারিতাঃ
- অনেক ডায়াবেটিসিয়ান ও আম কে ওজন কমানোর ওষুধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন কারণ এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
- আমের গুড়িতে উপস্থিত ফাইবার এবং চর্বি শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি কমাতে খুবই সহায়ক।
- কম কলেস্ট্ররেল আম এ পাওয়া যায়। আমি এডিপোনেক্টিরল কমাই এবং ইনসুলিন এর উৎপাদন বাড়ায় যার ফলে অতিরিক্ত চর্বি আপনা আপনি শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
- হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে কাঁচা আম খেলে আমাদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল পরিমাণ কমে যায় এবং ভালো করেলে পরিমাণ বেড়ে যায় যা হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
- শরীরের পানির অভাব পূরণ করে আপনি যদি নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে আম খান। শরীরের পানি শূন্য হয় না এবং এই গ্রীষ্মের মৌসুমে আমাদের শরীর সানস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাই। কাঁচা আম নিয়মিত খেলে শরীরের শীতলতা নিয়ে আসে।
- আম দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে কারণ আমি রয়েছে অতিরিক্ত ভিটামিন যা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং চোখের সমস্যা দূর করে।
- এছাড়াও আপনি যদি নিয়মিত আম খান তবে আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
- কাঁচা আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে কাঁচা আমের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় বলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং ত্বক নরম কোমল ও দাগ মুক্ত হতে সাহায্য করে।
- আপনি যদি আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন আমরা রাখেন তবে আপনার ক্ষুধা কমে যায় এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি কমিয়ে দেয়। কারণ আমের রয়েছে লেপটিন নামক রাসায়নিক যা আপনার ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে।
- এছাড়াও আমের গুড়িতে উপস্থিত ফাইবার এবং চর্বি শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি কমাতে খুবই সাহায্য করে।
- অনেক ডায়টিশিয়ান গন আপনাকে ওজন কমানোর ওষুধ হিসেবে আমকে বর্ণনা করেছেন কারণ এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
- আপনি ওজন কমানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন তবে আপনার ওজন কমানোর জন্য আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত আম রাখতে পারেন এতে করে আপনার ওজন খুব সহজেই কমে যাবে।
আম খাওয়ার অপকারিতাঃ
আম খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক তবে আপনি যদি এটি পরিমাণের চেয়ে বেশি খান তবে আপনাকে এর কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হতে হতে হবে। এর কিছু অসুবিধা নিম্নে তুলে ধরা হলো-
- আমের হয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যার কারণে অতিরিক্ত শ্রবণ করলে আপনার ডায়রিয়া হতে পারে।
- এতে অনেক বেশি ক্যালরি রয়েছে যা আপনার শরীরের জন্য মোটেও ক্ষতিকর নয় তবে এটি আপনার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।
- বেশি আম খেলে শরীরে তাপ বেড়ে যেতে পারে তাই দিনে একটি বেশি আম খাবেন না।।
- এটাও হতে পারে যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তারা আম খেলে এলার্জি সমস্যা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।
- যেহেতু আম মিষ্টি জাতীয় একটু ফল তাই এর উচ্চমাত্রায় গ্রহণের ফলে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে আপনার শরীরে। সেজন্য আপনি যদি একজন ডায়াবেটিস রোগী হন তবে আম খাওয়ার পরামর্শ আপনাকে আপনার ডাক্তারের কাছ থেকে নিতে হবে কারণ একজন ডায়াবেটিস রোগীর মিষ্টি ফল বাড়ানো উচিত।
- কিছু ফল অন্যদের তুলনায় বেশি জেনে থাকে তবে এটি মোট পরিমাণ কার্বোহাইডেট যা একজন রক্তের শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করে কার্বোহাইড্রেট এর উৎস নয় চিনি বলা হয় যে ডায়াবেটিস রোগী ৮৩ গ্রাম পর্যন্ত আম খেতে পারেন।
আমের পুষ্টিগুণঃ
আমি রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। এই আম খাওয়া যায় নানাভাবে কাঁচা অবস্থায় আচার করে চাটনি জুস ইত্যাদি তৈরি করেও খাওয়া যায় আম। এ ছাড়া পাকা আম এমনিতেই খেতে অনেক সুস্বাদু তবে এটি দিয়ে তৈরি করা যায় আমসত্ত্ব জুস পুডিং কেক সালাদ ইত্যাদি মজার মজার খাবার। চলুন আমাদের আর্টিকেলের আজকের এই পর্বে আমরা আপনাদের জানাবো আমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
- আম খেলে হৃদরোগ ভুলে যাওয়ার সমস্যা অথ্রাইটিসের মতো রোগ দূরে থাকে।
- আম এ আছে গ্লুটামিক এসিড যা মস্তিষ্কের কোষ উজ্জীবিত করে থাকে ।
- আমি প্রচুর পরিমাণে আজ থাকায় হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা তাড়াতেও আম সমান উপকারী।
- ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে আম কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে।
শেষ কথাঃআম খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং পুষ্টিগুন
পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনি যদি পড়ে থাকেন তবে আপনি জানতে পারবেন আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। আম যেমন পুষ্টিগুনে ভরপুর তেমনি এর উপকারিতা অপকারিতা দুটোই রয়েছে। আপনি যদি মাত্রা অতিরিক্ত আম খেয়ে থাকেন তবে আপনার শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দিবে।
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যারা এতক্ষন ধৈর্য সহকারে পড়েছেন তাদেরকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন।
এবং আমাদের আর্টিকেল এর মাঝে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তবে অবশ্যই আপনার মহামূল্যবান কমেন্ট এর মাধ্যমে আমাদের জানাবেন যাতে করে আমরা সেই ভুলগুলো সংশোধন করতে পারি। এবং আমাদের আজকের এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন অথবা এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url