শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার ২০২৫
শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার ২০২৫
শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার জানতে হলে আমাদের প্রথমেই নিউমোনিয়া বিষয়ে জানতে হবে। নিউমোনিয়া হল ফুসফুসের এক ধরনের ইনফেকশন। আপনারা অনেকেই শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার - নিউমোনিয়া রোগের কারণ কি - শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ - নবজাতকের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার - বাচ্চাদের নিউমোনিয়া হলে কি খাবার খেতে হবে ও নিউমোনিয়া রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে আপনারা প্রায়ই জানতে চান। তাই আজকে শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার বিষয়ে জানাবো।
শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার |
শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
ফুসফুস আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলোর মধ্যে একটি যেটা আমাদের বুকের পিঞ্জরের মধ্যে অবস্থিত এটা দেখতে অনেকটা উল্টানো গাছের শাখা প্রশাখা সহ পাতার মত আমরা যখন শ্বাস গ্রহণ করি বা নিঃশ্বাস গ্রহণ করি তখন এটি আমাদের নাকের মধ্য দিয়ে ফুসফুসে প্রবেশ করে এই অক্সিজেন সমৃদ্ধ বাতাস ফুসফুসের সাহায্যে রক্তের দূষিত বা কালো রক্ত গুলোকে অক্সিজেনেটেড করে তারপর কালো দূষিত রক্তগুলো অক্সিজেন সমৃদ্ধ হয়ে আবার হৃদপিণ্ড গিয়ে আমাদের ছুটিরে সরবরাহ হয়ে থাকে যা একমাত্র ফুসফুসি করে থাকে
বাংলাদেশের রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এর এক গবেষণায় জানা যায় -
১। ৫ (পাঁচ) বছরের কম বয়সী শিশুদের সংক্রামক রোগ থেকে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হলো নিউমোনিয়া।
২। ৫ (পাঁচ) বছরের কম বয়সী প্রায় ১৮% শিশুর মৃত্যুর কারণও নিউমোনিয়া।
৩। আর ৫ (পাঁচ) বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুর কারণ দেরিতে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের সর্দি কাশি সারানোর ঘরোয়া প্রতিকার
নিউমোনিয়া রোগের কারণ কি
আপনারা অনেকেই নিউমোনিয়া রোগের কারণ জানতে চান। আর নিউমোনিয়া রোগের কারণ জানতে হলে আমাদের প্রথমেই জানতে হবে নিউমোনিয়া রোগটি কি।
সাধারণত নিউমোনিয়া হল ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক বা পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট ফুসফুসের সংক্রমণ ও ইনফেকশন। সাধারণত নবজাতক, শিশু, বাচ্চা এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সে বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা বিভিন্ন কারণবশত আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকেন, তারাই নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। নিউমোনিয়ার লক্ষণ সাধারণত হালকা থেকে শুরু হয়ে খুব দ্রুত জটিল আকার ধারণ করে থাকে। আশা করি শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার বিষয়ে জানতে পেরেছেন।
শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার |
১। নবজাতক, শিশু বা বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগা বা স্যাঁতসাঁতে পরিবেশে থাকা
২। নিউমোনিয়া আক্রান্ত ব্যক্তি বা শিশুর কাছাকাছি বা সংস্পর্শে থাকা
৩। হাঁচি বা কাশি বা ঠান্ডা আক্রান্ত যেকোনো বয়সী মানুষের সামনে বা সংস্পর্শে থাকা
৪। নবজাতক, শিশু বা বাচ্চা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে না থাকা বা ধুলাবালি নিয়ে খেলাধুলা করা
৫। খেলাধুলার পরে বা যেকোনো কিছু খাওয়ার আগে ভালোভাবে হাত - মুখ সাবান পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত না ধোয়া
৬। রান্না বান্না করার সময় শিশু সন্তানকে ধোঁয়া লাগা
৭। নবজাতক শিশু বা বাচ্চাকে ধূমপান মুক্ত পরিবেশে না রাখা
৮। নিয়মিত সময় খাবার পুষ্টিকর খাবার খেতে না দেওয়া এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম না দেওয়া
৯। নবজাত ক শিশু বা বাচ্চার নিউমোনিয়া রোগ শনাক্ত করতে না পারা
১০। সময় মত চিকিৎসকের পরামর্শ না নেওয়া অন্যতম কারণ।
আরো পড়ুনঃ ডেঙ্গু জ্বরের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার
নবজাতকের বা শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
নবজাতক শিশুর নিউমোনিয়া রোগের নিম্নরূপ লক্ষণগুলো সাধারণত দেখা যায়
১। জ্বর বা জ্বরের মাত্রা ১০২° ফারেনহাইট বা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস
২। ক্ষুধা মন্দা হওয়া
৩। ঠান্ডা কাশি লাগা, সাধারণত অস্বস্তি, ঘাম বা উজ্জ্বল ত্বক বর্ণ
৪। শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া, শ্বাস নেওয়ার সময় বুক দেবে যাওয়া
৫। মায়ের বুকের দুধ টেনে খেতে না পারা, শিশু ছটফট করে কান্নাকাটি করা, শ্বাস নেওয়ার হার মিনিটে ৪০ থেকে ৬০ বার বা তার বেশি হওয়া
৬। নবজাতক দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া
৭। স্টেথেস্কোপ এ নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর বুকে বিশেষ শো শো শব্দ শুনতে পাওয়া।
আশা করি শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার বিষয়ে ধারণা পেয়েছেন।
নবজাতক, শিশু বা বাচ্চাদের নিউমোনিয়া রোগের প্রতিকার বা চিকিৎসা
নবজাতক, শিশু বা বাচ্চাদের নিউমোনিয়া রোগের প্রতিকার বা চিকিৎসা করতে হলে প্রথমে আপনাকে নিম্নলিখিত কাজগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
নিউমোনিয়া রোগ নির্ণয় বা শনাক্ত
নিউমোনিয়া রোগ নির্ণয় করতে হলে প্রথমে নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। সাথে বুকের এক্স রে করতে হবে। রক্তে শ্বেত কনিকার পরিমাণ বেড়ে গেলে অর্থাৎ সিআরপি(রিএক্টিভ প্রোটিন) বেড়ে গেলে বুঝতে হবে রোগীর নিউমোনিয়া হয়েছে। যদিও নবজাতকের বুকের এক্সরে সহজে করা যায় না, তারপরও নিউমোনিয়া রোগীর জন্য এক্সরে হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এক্সরে রিপোর্টে যদি ফুসফুসের কিছু অংশ বা বেশ কিছু অংশ সাদা হয়েছে বলে মনে হয়, তবে নবজাতক, শিশু বা বাচ্চা নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে ধরা হয়। আশা করি নিউমোনিয়া রোগ নির্ণয় বা শনাক্তকরণের বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের মাম্প ভাইরাস কেন হয়
বাচ্চাদের নিউমোনিয়া হলে কি খাবার খেতে হবে
বাচ্চাদের নিউমোনিয়া হলে কি খাবার খেতে হবে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞগণ নিম্নলিখিত পরামর্শ গুলো দিয়ে থাকেন-
১। নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগী নবজাতক হলে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ এই যথেষ্ঠ, বাড়তি খাবারের কোনই প্রয়োজন নেই
২। সহজপাচ্য বা সহজেই হজম হয় এ ধরনের কার্বোহাইড্রেট (শর্করা), প্রোটিন (আমিষ) এবং চর্বি
কার্বোহাইড্রেট (শর্করা): সম্পূর্ণ শস্য, বাদামী চাল এবং ওটমিল
প্রোটিন (আমিষ): মাছ, মটরশুঁটি এবং মুরগির মাংস
৩। গরম গরম দুধ, গরম সুপ
৪। ডাবের পানি
৫। টাটকা ফলের রস
৬। সবুজ শাক
৭। টক দই
৮। লেবুর রস
৯। ডাল
১০। কুসুম গরম পানি।
নিউমোনিয়া রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ
নিউমোনিয়া রোগের প্রতিকার বা চিকিৎসা নিম্নরূপ ভাবে করা যায়ঃ
নবজাতক শিশু বা বাচ্চার রোগ নিউমোনিয়া রোগ শনাক্ত হলে বা উপসর্গ দেখা দিলে সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করতে পারলে নিউমোনিয়া আক্রান্ত নবজাতক বাচ্চা সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়।
এক্ষেত্রে চিকিৎসক বা ডাক্তার যদি মনে করেন তাহলে নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীকে মুখে খেতে পারলে এজিথ্রোমাইসিন, ইরাইথ্রোমাইসিন, সেফিক্মাইম ইত্যাদি জেনেরিকের অ্যান্টিবায়োটিক মেডিসিন বা ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা দিতে পারেন। তবে বর্তমানে সেফট্রিয়াক্সন জেনেরিকের ইন্ট্রা মাসকুলার (আইএম) বা ইন্ট্রা ভেনাস (আইভী) ইঞ্জেকশন নিউমোনিয়া রোগে বেশ কার্যকরী ওষুধ। তবে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগী বেশি ছটফট করলে এবং অক্সিজেন লেভেল ৯২% এর নিচে নামলে অতি দ্রুত অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার |
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, নবজাতক, শিশু, বাচ্চাদের শ্বাসকষ্টের আরও একটি প্রধান কারণ - ব্রঙ্কিওলাইটিস। আমাদের ফুসফুসের শেষ অংশের নাম হলো ব্রঙ্কিওল আর এই ব্রঙ্কিওলের যখন ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহ হয় তখন এটিকে ব্রঙ্কিওলাইটিস বলে। এই ব্রঙ্কিওলাইটিসের লক্ষণগুলো প্রায় নিউমোনিয়ার লক্ষণের মতোই। তবে এখানে রক্তে শ্বেত কণিকার মাত্রা স্বাভাবিক থাকে এবং বুকের এক্সরে এর ছবিতে ফুসফুস বড় এবং বেশি কালো মনে হয়। সাধারণত শীতকালে এইব্রঙ্কিওলাইটিস রোগ বেশি দেখা যায়। ব্রঙ্কিওলাইটিস রোগটি একজন রোগীর কয়েকবার হতে পারে বা হয় কিন্তু নিউমোনিয়া সাধারণত একবারই হয়ে থাকে।
নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসায় এন্টিবায়োটিক মেডিসিনের অবশ্য প্রয়োজন হয় কিন্তু ব্রঙ্কিওলাইটিসের চিকিৎসায় এন্টিবায়োটিক ওষুধের প্রয়োজন নেই। ব্রঙ্কিওলাইটিসের চিকিৎসায় এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করলে এন্টিম্যাক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের দাউদ হলে করণীয় চিকিৎসা ও প্রতিকার
নবজাতক শিশু বা বাচ্চার নিউমোনিয়া রোগ প্রতিরোধ
নবজাতক, শিশু বা বাচ্চাদের নিউমোনিয়া রোগের প্রতিকারের চেয়ে বা চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ করা উত্তম। অর্থাৎ নবজাতক, শিশু বা বাচ্চাদের যেন নিউমোনিয়া রোগ না হতে পারে সেদিকে বাবা-মা বা অভিভাবকের বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। তবে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোতে সচেতন হলে নিউমোনিয়া রোগ অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব।
১। নবজাতক, শিশু বা বাচ্চাদের যেন ঠান্ডা না লাগে সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে
২। নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত শিশুর কাছ থেকে আপনার নবজাতক, শিশু বা বাচ্চাকে দূরে রাখতে হবে
৩। হাঁচি কাশি আক্রান্ত যেকোনো বয়সী মানুষের সামনে থেকে আপনার নবজাতক শিশু বা বাচ্চাকে দূরে রাখুন
৪। আপনার নবজাতক, শিশু বা বাচ্চাকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে রাখুন। ধুলাবালি থেকে ধরে রাখুন।
৫। আপনার সন্তান খেলাধুলার পরে ভালোভাবে সাবান পানি দিয়ে হাত মুখ ধুয়ে দিন
৬। যেকোনো খাবার খাওয়ার আগে ও পরে হাত মুখ ভালোভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ধুয়ে দিন
৭। আপনার সন্তানের টয়লেট ব্যবহারের পর হাত-পা ভালোভাবে সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে দিন
৮। রান্না-বান্না করার সময় আপনার সন্তানকে বা নবজাতক, শিশু বা বাচ্চাকে ধোঁয়া থেকে বা কালো ধোঁয়া থেকে দূরে রাখুন।
৯। আপনার নবজাতক শিশু বা বাচ্চাকে ধূমপানমুক্ত পরিবেশে রাখুন এবং আপনি নিজে ধূমপান করলে ও অ্যালকোহল পান করলে অবশ্যই পরিহার করুন।
১০। আপনার সন্তানকে নিয়মিত সুষম খাবার, পুষ্টিকর খাবার খেতে দিন, নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম সহ নিয়মিত ব্যায়াম করাতে পারেন।
১১। নিউমোনিয়া যাতে না হয় এজন্য টিকা বা ভ্যাকসিন দেওয়া যেতে পারে,
যার নাম - নিউমোভ্যাক্স ২৩।
১২। আপনার নবজাতক, শিশু বা বাচ্চাকে ঠান্ডা লাগলে বা কাশি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আর এভাবেই শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার করা সম্ভব। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
আরো পড়ুনঃ শিশুদের শ্বাসকষ্ট কেন হয় - শিশুর শ্বাসকষ্টের ঘরোয়া চিকিৎসা
কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ কিভাবে বুঝবেন বাচ্চার নিউমোনিয়া হয়েছে?
উত্তরঃ বাচ্চার শ্বাসকষ্টসহ শুকনো কাশি হলে।
প্রশ্নঃ নিউমোনিয়া হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয়?
উত্তরঃ নিউমোনিয়া হলে সাধারণত নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা যায় যেমন -জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাস নেয়ার সময় বুক দেবে যাওয়া, ছটফট করতে থাকা, ক্ষুধা মন্দা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, অস্থির হওয়া, কান্নাকাটি করা, নবজাতক মায়ের বুকের দুধ টেনে খেতে না পারা ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ নিউমোনিয়া সারতে কতদিন লাগে?
উত্তরঃ নিউমোনিয়া সারতে কতদিন লাগে এ প্রশ্নের জবাবে চিকিৎসকগণ একটা ধারণা দেন যে নিউমোনিয়া সারতে সাধারণত ৭ থেকে ১৪ দিন সময় লাগে।
প্রশ্নঃ ঠান্ডা লাগলে কি নিউমোনিয়া হয়?
উত্তরঃ বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগলে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই ঠান্ডা লাগলে নিউমোনিয়া হতে পারে। তাই শিশুর পিতা-মাতা ও অভিভাবকগণকে সতর্ক থাকতে হবে যেন শিশুকে কোনমতেই ঠান্ডা না লাগে।
প্রশ্নঃ নবজাতকের ঠান্ডা লাগলে কিভাবে বুঝব?
উত্তরঃ নবজাতকের ঠান্ডা লাগলে নবজাতক এর স্বাস্থ্য কষ্ট হবে, অস্বস্তি বোধ করবে, ছটপট করবে, কান্নাকাটি করবে ও ঠিকমতো খেতে চাইবে না ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ নিউমোনিয়া - উইকিপিডিয়া
সর্বশেষ কথাঃ
প্রিয় পাঠক আপনারা উপরে উল্লেখিত তথ্যবহুল বিষয়গুলো পড়ে জানতে পেরেছেন বা বুঝতে পেরেছেন যে, শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার, নিউমোনিয়া রোগের কারণ, শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ, নবজাতকের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার এবং বাচ্চাদের নিউমোনিয়া হলে কি খাবার খেতে হবে ও নিউমোনিয়া রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ ইত্যাদি সম্পর্কে।
প্রতিটি শিশুই নিরাপদ ও সুস্থ থাকুক এবং নিউমোনিয়ার মত যে কোন রোগ থেকে মুক্ত থাকুক আমরা সবাই চাই। তাই শিশুর বা বাচ্চার বা নবজাতকের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ দেখা গেলে অতিশীঘ্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং নিজে সচেতন হোন।
নিউমোনিয়া সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী জনসচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর "১২ ই নভেম্বর বিশ্ব নিউমোনিয়া" দিবস পালন করা হয়।
আপনাদের যদি "শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার" এ বিষয়ে আরো কিছু জানার থাকে অথবা কোন প্রশ্ন থাকে কিংবা এন্টিবায়োটিকের ডোজ বা পরিমাণ সম্পর্কে জানার থাকে তবে ইমেইল বা হোয়াটস আ্যাপ এ আমার সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।
আশা করি এই তথ্যবহুল লেখাটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আপনাদের যদি ভালো লেগেই থাকে তাহলে এটি শেয়ার করে বন্ধু-বান্ধবকে জানিয়ে দিন। লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url