ডেঙ্গু রোগের কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা ২০২৫

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সহ সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ অতীতে যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি। স্বাভাবিকভাবে ডেঙ্গু রোগের কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা নিয়ে মানুষের মাঝে প্রবল উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বর্তমান সময়ে। সেজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো ডেঙ্গু রোগের কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা সম্পর্কে।

ডেঙ্গু রোগের কারণ,  লক্ষণ,  প্রতিকার ও চিকিৎসা
ডেঙ্গু রোগের কারণ,  লক্ষণ,  প্রতিকার ও চিকিৎসা

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমরা চেষ্টা করেছি ডেঙ্গু রোগের কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসার মত বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে। এতে সঠিক সময় আপনি ডেঙ্গু রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন, যদি আপনি আমাদের আজকের ডেঙ্গু রোগের কারণ লক্ষণ প্রতিকার ও চিকিৎসা বিষয়ের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন। 

ডেঙ্গু রোগের কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা:

আজকের গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল ডেঙ্গু রোগের কারণ লক্ষণ প্রতিকার ও চিকিৎসা বিষয়ের প্রথমেই আপনাদেরকে ড্রিঙ্ক রোগের কারণ সম্পর্কে বলব।

ডেঙ্গু রোগের কারণঃ

প্রিয় পাঠক,  আমরা ডেঙ্গু রোগ বলতে সাধারণত ডেঙ্গু জ্বরকেই বুঝে থাকি তো চলুন আমরা জেনে নেই - ডেঙ্গু জ্বর কি, ডেঙ্গু রোগের কারণ।

ডেঙ্গু জ্বর কি, ডেঙ্গু রোগের কারণ:
ডেঙ্গু জ্বর হল স্ত্রী  ইজিপ্টাই এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত জ্বর।  প্রথমে আমাদের জানা প্রয়োজন এডিস মশা কামড়ালে কি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। ডাক্তারগণ ঠিক তেমনটা বলছেন না। তারা বলছেন উপযুক্ত পরিবেশে উপস্থিত ডেঙ্গু ভাইরাস যদি কোন এডিস মশার  মধ্যে সংক্রমিত হয় শুধুমাত্র তখনই ওই মশার কামড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করা এডিস মশার কামড়ই সাধারণত ডেঙ্গু রোগের কারণ। আবার ডেঙ্গু বাহিত রক্ত সাধারণ সুস্থ মানুষের রক্তে প্রবেশ করলেও ডেঙ্গু রোগ হতে পারে - এটিও ডেঙ্গু রোগের একটি কারণ।

সাধারণত চার প্রকারের ডেঙ্গু ভাইরাস দেখা যায়। এই স্বতন্ত্র চারটি ডেঙ্গু সেরোটইপ হলো: DEN-1, DEN-2, DEN-3 এবং DEN-4 ।  তবে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের পরবর্তীতে এ রোগ দেখা দিলে প্রাণ খাতে হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। হালকা ডেঙ্গু জ্বরের কারণে প্রচন্ড জ্বরের মতো তাপমাত্রা ও উপসর্গ দেখা দেয়। তবে যারা আগে ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিনিধিত্ব করেছে,  তাদের পরবর্তীতে এই রোগ দেখা দিলে জীবন আক্রমণ আশঙ্কা রয়েছে।

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ বা উপসর্গ:

  ডেঙ্গু রোগের প্রধান প্রধান লক্ষণ বা উপসর্গ গুলো হলঃ
১। ডেঙ্গু রোগের প্রধান লক্ষণ হল - জ্বর।  এর তাপমাত্রা ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট থেকে ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে।
২। ডেঙ্গু জ্বর একটানা সময় ধরে থাকতে পারে আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেওয়ার পর আবার জ্বর আসতে পারে
৩। জ্বরের সাথে মায়াালজিয়া বা মাংসপেশিতে বা শরীর ব্যথা থাকতে পারে
৪। হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা থাকতে পারে
৫। মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা থাকতে পারে
৬। চামড়ার নিচে লালচে দাগ বা রেস বের হয়
৭। বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া এমনকি ডায়রিয়া হওয়া সাম্প্রতিক পরিলক্ষিত হয়।
৮। রক্তে লাঠিলের বা রক্তকরী কণিকা কমে যাওয়া
৯। ক্ষুধা মন্দা হওয়া বা অরুচি হওয়া
১০। কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া
১১। হার্টবিটের হার ও ব্লাড প্রেসার কমে যাওয়া
১২। নাক,  প্রসাব ও মলের সাথে রক্তক্ষরণ হওয়া
১৩। প্রচন্ড পেট ব্যথা অনুভব করা
১৪। অবসাদ, ক্লান্তি  ওদুশ্চিন্তা অনুভব করা  


উপরোক্ত উপসর্গ বা লক্ষণগুলো রোগ সংক্রমণের ৪ থেকে ১০ দিনের মধ্যে দেখা যায় এবং দুই থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। 

তাই উপরে উল্লেখিত ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ বা উপসর্গ গুলো দেখা দিলে অতি দ্রুত একজন অভিজ্ঞ এমবিবিএস চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া প্রতিকারঃ

ডেঙ্গু জ্বর হলে নিম্ন লিখিত ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করতে পারেন

১। দিনে বা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি বা কয়েল ব্যবহার করুন

২। শরীরের উন্মুক্ত স্থানে মশা বিরোধী ক্রিম লাগিয়ে নিন

৩। নিয়মিত বাড়িঘর আঙ্গিনা উঠান ও আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন

৪। ফুলহাতা শার্ট প্যান্ট পরিধান করুন এবং যথাসম্ভব পুরো শরীর ঢেকে রাখুন। সাথে মোজা ও জুতা ব্যবহার করতে পারেন

৫। ফুলের টব এসি বা ফ্রিজে ডাবের খোসা টায়ার যেখানে পানি জমে থাকে সেখানে পানি যেন জমতে না পারে খেয়াল রাখুন

৬। সাধারণত এডিস মশা দিনের বেলায় মানুষকে কামড়ায় তাই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিন।

আর এভাবেই ডেঙ্গু থেকে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব।

ডেঙ্গু জ্বরের বা রোগের ক্যাটাগরিঃ

সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর কে তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে,  ক্যাটাগরি গুলো হল এ, বি এবং সি।

এ ক্যাটাগরিঃ

এই ক্যাটাগরির রোগীদের শুধুমাত্র জ্বর থাকে এবং রোগী স্বাভাবিক থাকে। অধিকাংশ  রোগী এই ক্যাটাগরির হয়ে থাকে।  তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই।  বাড়তি যত্ন নিয়ে বাসায় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিলেই রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। 

বি ক্যাটাগরিঃ

 বি ক্যাটাগরি ডেঙ্গু রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লাগতে পারে।  রোগী যদি অস্বস্তি বোধ করে এবং সাথে পেটব্যথা, মাথাব্যথা, বমি বা ডায়রিয়া, কিডনি ও লিভারের সমস্যা থাকে, তাহলে রোগীকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।

সি ক্যাটাগরিঃ

এই ক্যাটাগরির রোগীদের সব থেকে খারাপ অবস্থা বা রোগীর মারাত্মক পর্যায়ে ধরা হয়।  যেহেতু এই ক্যাটাগরির রোগীদের জীবন হুমকির মধ্যে থাকে,  তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আই সি ইউ তে ভর্তি করা লাগতে পারে।

আরো পড়ুন:   ডায়েট করতে গিয়ে মাথা ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

প্লাটিলেট বা রক্তকণিকা কিঃ

একজন স্বাভাবিক মানুষের রক্তে প্লাটিলের বা রক্ত কণিকা কাউন্ট থাকে প্রতি মাইক্রো লিটারে দেড় লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ পর্যন্ত। কিন্তু ডেঙ্গু জ্বর হলে এর কাউন্ট ২০ হাজার পর্যন্ত নেমে যেতে পারে এবং যেকোনো রক্তক্ষরণ না হওয়া পর্যন্ত রোগী সংখ্যা মুক্ত থাকেন, এটা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। 

প্লাটিলেট বা রক্ত কণিকা মানব দেহের রক্ত জমাট বাঁধতে ও রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সাহায্য করে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু রোগীর জ্বর কমার পর ৩ (তিন) থেকে ৪ (চার) দিনের মধ্যে প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং সাধারণত ৭ (সাত) থেকে ১০ (দশ) দিনের মধ্যে এর সংখ্যা স্বাভাবিক হয়ে থাকে।

আরো পড়ুন:   দ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থসহ

ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসাঃ

ডেঙ্গু জ্বর হলে নিম্নলিখিত বিধি নিষেধ ও পরামর্শ গুলো মেনে চলুন-

১। ডেঙ্গু জ্বর হলে বাড়িতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।   শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে গা মুছে দিতে পারেন

২। প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন যেমন লেবুর শরবত ডাবের পানি টাটকা ফলের জুস খাবার স্যালাইন ইত্যাদি খেতে পারেন

৪। পর্যাপ্ত পানি পান করুন বা দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করুন এতে পানি শূন্যতা পরিমান অনেকটাই কমবে

৫। পেঁপে বাদাম মটরশুঁটি ও শাকসবজি খেতে পারেন

৬। চর্বি জাতীয় খাবার ও ভাজাপোড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকুন

৭। ধূমপান ও অ্যালকোহল বা মদ একেবারেই এড়িয়ে চলুন

৮। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দিনে তিন থেকে চারবার প্যারাসিটামল খেতে পারেন।  তবে যারা হার্ট, লিভার ও কিডনি রোগের জটিলতায় ভুগছেন তারা খুব সাবধানে পরিমাণ মতো প্যারাসিটামল সেবন করতে পারেন।

৯। শরীরের ব্যথা ও হাড়ের জয়েন্টের ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল ই যথেষ্ঠ।  এক্ষেত্রে ডাইক্লোফেনাক,  এসপিরিন ও আইবু প্রোফেন জাতীয় ওষুধ মোটেই খাওয়া যাবেনা।  কারণ এগুলো রক্তক্ষরণ বাড়াতে সাহায্য করে।

উপরোক্ত ঘরোয়া বিধি নিষে ধ ও পরামর্শ গুলো মেনে চললে ডেঙ্গু থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

ডেঙ্গু রোগের কারণ লক্ষণ প্রতিকার ও চিকিৎসা | ডেঙ্গু রোগের কারণ ও লক্ষণ | ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও প্রতিকার | ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার | ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার | ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার | ডেঙ্গু জ্বরের ৭ টি সতর্কীকরণ লক্ষণ | ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ | ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার | ডেঙ্গু জ্বরের কারণ ও প্রতিকার

 ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার ও চিকিৎসাঃ

 সাধারণত জ্বর শুরুর প্রথম পাঁচ দিনের মধ্যে চিকিৎসকগণ ডেঙ্গু NS1 টেস্ট করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এর সঙ্গে CBC, SGPT, SGOT টেস্ট ও প্রস্রাবের এলবুমিনোরিয়া পরীক্ষা করেন। জ্বরের ৫ থেকে ৭ দিন পর ডেঙ্গুর নির্দিষ্ট IgM/IgG পরীক্ষা করেন। এবং এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসকগণ ডেঙ্গু জ্বর নিশ্চিত করেন।

সাধারণত ডেঙ্গু চিকিৎসার কোন ঔষধ এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি।  তাই চিকিৎসকগণ শুধুমাত্র প্যারাসিটামল দিয়েই ট্রিটমেন্ট করে থাকেন এবং বিশেষ ক্ষেত্রে শিরা পথে স্যালাইন দিয়ে থাকেন।  আবার প্লাটিলেট কাউন্টের বিশেষ অবনতি হলে রোগীর দেহে ফ্রেশ রক্ত দিয়ে থাকেন,  সাথে ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবস্থার মাধ্যমে ডেঙ্গু কমে যায়।

আরো পড়ুন:  ডেঙ্গু জ্বর - উইকিপিডিয়া

এখন পর্যন্ত কিছু কিছু দেশে কিউডেঙ্গা (জাপানি কোম্পানি) ও  ডেংভ্যাক্সিয়া (ইউএস-এফডিএ অনুমোদিত) নামে দুটি ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন অনুমোদিত ও প্রয়োগ করা হয়েছে।  টিভি০০৫ নামে আরো একটি ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল টায়ালের অধীনে রয়েছে,  যেগুলো ইতিমধ্যে ভালো কার্যকারিতা দেখিয়েছে।  আর এসব ভ্যাকসিন বাজারে আসলে খুব দ্রুতই ডেঙ্গু জ্বর পৃথিবী থেকে চির বিদায় নেবে।

সর্বশেষ কথাঃ ডেঙ্গু রোগের কারণ লক্ষণ প্রতিকার ও চিকিৎসা

ডেঙ্গু জ্বর একটি মশাবাহিত ভাইরাল জ্বর যা বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে একটি অন্যতম প্রধান জনস্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জ্বরের প্রথম থেকেই সতর্ক না হয়ে অবহেলা করলে এই রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে, এমনকি জীবন বিপন্ন হতে পারে।  তাই সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে এডিস মশা প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তাই নিজে সচেতন হোন, সুস্থ থাকুন এবং ভালো ও নিরাপদে থাকুন।

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আশা করি আপনারা ডেঙ্গু রোগের কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা -  বিষয়ে জানতে পেরেছেন।  এরকম আরো তথ্যবহুল লেখা পড়তে হলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।  মনোযোগ দিয়ে লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url