মোবাইলে বিয়ে করার নিয়ম
প্রিয় পাঠক, আপনারা অনেকেই "মোবাইলে বিয়ে করার নিয়ম, মোবাইলে কবুল বললে কি বিয়ে হয় - মেসেঞ্জারে কবুল বললে কি বিয়ে হয়ে যায়" - এসব বিষয়ে জানতে চান । আপনারা যারা মোবাইলে বিয়ে করার নিয়ম বিষয়ে জানতে চান তাদেরকে আজ বিস্তারিত জানাবো।
মোবাইলে বিয়ে করার নিয়ম |
মোবাইলে বিয়ে করার নিয়ম
ইসলামে বিয়ে শুদ্ধ বা বৈধ বা হালাল হওয়ার জন্য কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যাবশ্যক ২ টি শর্ত হলঃ
১। শর্ত: মোবাইলে বিয়ে করার নিয়ম
বিয়ের সময় পাত্র-পাত্রী (বর কনে) একই মজলিসে বা স্থানে অবস্থান করা, যা ইত্তেহাদুল মজলিস নামে পরিচিত।
২। শর্ত: মোবাইলে বিয়ে করার নিয়ম
ইসলামী শরীয়ত সমর্থিত দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষীর (দুজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ অথবা একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও দুজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী) সামনে বা উপস্থিতিতে ইজাব - কবুল (প্রস্তাব - গ্রহণ) সম্পাদন করা।
এখানে উল্লেখ্য, এই দুটি শর্তের কোন একটি শর্ত ভঙ্গ হলে বা ব্যাঘাত ঘটলে ওই বিয়ে শুদ্ধ বা বৈধ বা হালাল বলে বিবেচিত হবে না।
তাই মোবাইল বা টেলিফোনে সম্পাদন বিয়েকে কোন কোন ইসলামিক ফিকহ বিশেষজ্ঞগণ শুদ্ধ বা হালাল বা বৈধ হবে না বলে অভিমত দেন।
আরো পড়ুনঃ ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
আবার অন্যদিকে, কোন কোন ইসলাম বিশারদগণ বলে থাকেন যে, মোবাইলের বা টেলিফোনের ভিডিও কলের উল্লেখিত শর্তদ্বয় পূরণ হয়েছে এবং এই মোবাইল দিয়ে বিয়ে বৈধ বা হালাল,কারণ এক্ষেত্রে পাত্র পাত্রীর (বর - কনের) উভয়পক্ষের ছবি দেখা যাচ্ছে এবং কথাও শোনা যাচ্ছে।
ইসলামে বিয়ে শুদ্ধ বা বৈধ বা হালাল হওয়ার জন্য কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যাবশ্যক ২ টি শর্ত হলঃ
১। শর্ত: মোবাইলে বিয়ে করার নিয়ম
বিয়ের সময় পাত্র-পাত্রী (বর কনে) একই মজলিসে বা স্থানে অবস্থান করা, যা ইত্তেহাদুল মজলিস নামে পরিচিত।
২। শর্ত: মোবাইলে বিয়ে করার নিয়ম
ইসলামী শরীয়ত সমর্থিত দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষীর (দুজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ অথবা একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও দুজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী) সামনে বা উপস্থিতিতে ইজাব - কবুল (প্রস্তাব - গ্রহণ) সম্পাদন করা।
এখানে উল্লেখ্য, এই দুটি শর্তের কোন একটি শর্ত ভঙ্গ হলে বা ব্যাঘাত ঘটলে ওই বিয়ে শুদ্ধ বা বৈধ বা হালাল বলে বিবেচিত হবে না।
তাই মোবাইল বা টেলিফোনে সম্পাদন বিয়েকে কোন কোন ইসলামিক ফিকহ বিশেষজ্ঞগণ শুদ্ধ বা হালাল বা বৈধ হবে না বলে অভিমত দেন।
আরো পড়ুনঃ ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
আবার অন্যদিকে, কোন কোন ইসলাম বিশারদগণ বলে থাকেন যে, মোবাইলের বা টেলিফোনের ভিডিও কলের উল্লেখিত শর্তদ্বয় পূরণ হয়েছে এবং এই মোবাইল দিয়ে বিয়ে বৈধ বা হালাল,কারণ এক্ষেত্রে পাত্র পাত্রীর (বর - কনের) উভয়পক্ষের ছবি দেখা যাচ্ছে এবং কথাও শোনা যাচ্ছে।
মোবাইলে বিয়ে করার নিয়ম পদ্ধতি:
মোবাইলে পাত্র (বর) - পাত্রীর (কনের) বিয়ে করাতে হলে নিচের পদ্ধতি দুটির যেকোনো একটি অবলম্বন করলেই বিয়ে হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
পদ্ধতি একঃ মোবাইলে বিয়ে করার নিয়ম
পাত্র মোবাইল বা টেলিফোনে দেশে একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোককে তার পক্ষে উকিল (স্থলাভিসিক্ত) নিযুক্ত করবেন। যখন বিয়ের মজলিসে দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে পাত্রীর (কনে) পক্ষ থেকে ক্ষমতা প্রাপ্ত অভিভাবক বলবে - "আমি বিদেশে বসবাসকারী অমুকের (বর) কাছে (এত নির্দিষ্ট পরিমাণ) টাকা দেনমোহরে মেয়ে (কনে) কে বিয়ে দিলাম"। তখন নিযুক্ত উকিল বলবে - "আমি পাত্রের (বরের)পক্ষে কবুল করলাম"। এক্ষেত্রে ইত্তেহাদুল মজলিসের শর্ত পূরণ হয়ে যায় এবং বিয়ে শুদ্ধ বা বৈধ বা হালাল হয়ে যায়।
পদ্ধতি একঃ মোবাইলে বিয়ে করার নিয়ম
পাত্র মোবাইল বা টেলিফোনে দেশে একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোককে তার পক্ষে উকিল (স্থলাভিসিক্ত) নিযুক্ত করবেন। যখন বিয়ের মজলিসে দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে পাত্রীর (কনে) পক্ষ থেকে ক্ষমতা প্রাপ্ত অভিভাবক বলবে - "আমি বিদেশে বসবাসকারী অমুকের (বর) কাছে (এত নির্দিষ্ট পরিমাণ) টাকা দেনমোহরে মেয়ে (কনে) কে বিয়ে দিলাম"। তখন নিযুক্ত উকিল বলবে - "আমি পাত্রের (বরের)পক্ষে কবুল করলাম"। এক্ষেত্রে ইত্তেহাদুল মজলিসের শর্ত পূরণ হয়ে যায় এবং বিয়ে শুদ্ধ বা বৈধ বা হালাল হয়ে যায়।
পদ্ধতি দুইঃ মোবাইলে বিয়ে করার নিয়ম
পাত্রীর (কনে) পিতা বা ক্ষমতা প্রাপ্ত অভিভাবক দেশ থেকে মোবাইলে বা টেলিফোনে বিদেশে একজন উকিল নিয়োগ বা মনোনীত করবেন। ওই উকিল সেখানে বিয়ের মজলিসে দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে বলবে- "আমি অমুক মেয়েকে (কনের নাম) এই পাত্রের (বরের নাম) সঙ্গে বিয়ে দিলাম"। পাত্র (বর) তখন বলবে - "আমি কবুল করলাম"। এক্ষেত্রেও ইত্তেহাদুল মজলিসের শর্ত পূরণ হয়ে যায় এবং বিয়ে শুদ্ধ বা বৈধ বা হালাল হয়ে যায়। উক্ত পদ্ধতি দুইটির যেকোনো একটি পদ্ধতি অবলম্বন করলে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
মোবাইলে বিয়ে করার নিয়ম | মোবাইলে কবুল করলে কি বিয়ে হয় | মেসেঞ্জারে ভিডিও কলে কবুল বললে কি বিয়ে হয়ে যায় | মোবাইলে বিয়ে | Mobile biye korar niom, mobile biye
পাত্রীর (কনে) পিতা বা ক্ষমতা প্রাপ্ত অভিভাবক দেশ থেকে মোবাইলে বা টেলিফোনে বিদেশে একজন উকিল নিয়োগ বা মনোনীত করবেন। ওই উকিল সেখানে বিয়ের মজলিসে দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে বলবে- "আমি অমুক মেয়েকে (কনের নাম) এই পাত্রের (বরের নাম) সঙ্গে বিয়ে দিলাম"। পাত্র (বর) তখন বলবে - "আমি কবুল করলাম"। এক্ষেত্রেও ইত্তেহাদুল মজলিসের শর্ত পূরণ হয়ে যায় এবং বিয়ে শুদ্ধ বা বৈধ বা হালাল হয়ে যায়। উক্ত পদ্ধতি দুইটির যেকোনো একটি পদ্ধতি অবলম্বন করলে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
মোবাইলে বিয়ে করার নিয়ম | মোবাইলে কবুল করলে কি বিয়ে হয় | মেসেঞ্জারে ভিডিও কলে কবুল বললে কি বিয়ে হয়ে যায় | মোবাইলে বিয়ে | Mobile biye korar niom, mobile biye
বিয়ে হল একটি পাক-পবিত্র বন্ধন। মূলত এটি হলো দুজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী - পুরুষের মৌলিক ও জৈবিক চাহিদা পূরণ করার ইসলামিক বন্ধনের নাম। মহান আল্লাহ তায়ালা ( সৃষ্টিকর্তা ) মানবজাতির সৃষ্টির পর থেকেই বংশ বৃদ্ধির জন্য নারী-পুরুষের মিলনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন আর এ মিলনের মাধ্যমেই মানবজাতিক কে বংশপরম্পরায় টিকিয়ে রেখেছেন। আর নারী-পুরুষের মিলনের বৈধ উপায় হলো একমাত্র বিয়ে।
আরো পড়ুনঃ দেনমোহর পরিশোধ করতে হয় কেন
মোবাইল বা টেলিফোনে উকিল নিযুক্ত করতে অসুবিধা নেই, কারণ মহানবী (সঃ) এর সাহাবা, তাবেঈদের যুগে চিঠিপত্র বা ব্যক্তি পাঠিয়ে উকিল নিযুক্ত বা মনোনীত করা হতো, যা মোবাইল বা টেলিফোন থেকেও প্রায় অনিশ্চিত ছিল।
ইসলাম ধর্মের মতে পৃথিবীর সর্ব প্রথম পুরুষ হযরত আদম (আঃ) ও সর্ব প্রথম নারী বিবি হাওয়া থেকে সকল মানুষের সৃষ্টি হয়। আর বিয়ে ব্যতীত সন্তান সন্তানাদি জন্ম গ্রহণ করলে সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় এবং সমাজে যেনা - ব্যভিচার বৃদ্ধি পায়।
আরো পড়ুনঃ দেনমোহর পরিশোধ করতে হয় কেন
মোবাইল বা টেলিফোনে উকিল নিযুক্ত করতে অসুবিধা নেই, কারণ মহানবী (সঃ) এর সাহাবা, তাবেঈদের যুগে চিঠিপত্র বা ব্যক্তি পাঠিয়ে উকিল নিযুক্ত বা মনোনীত করা হতো, যা মোবাইল বা টেলিফোন থেকেও প্রায় অনিশ্চিত ছিল।
ইসলাম ধর্মের মতে পৃথিবীর সর্ব প্রথম পুরুষ হযরত আদম (আঃ) ও সর্ব প্রথম নারী বিবি হাওয়া থেকে সকল মানুষের সৃষ্টি হয়। আর বিয়ে ব্যতীত সন্তান সন্তানাদি জন্ম গ্রহণ করলে সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় এবং সমাজে যেনা - ব্যভিচার বৃদ্ধি পায়।
এবং এই কারণেই পূর্বে অনেক জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে। কাজেই বিয়ে একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই এই সামাজিক বন্ধন বিয়ে যেন - তেন ভাবে হওয়া ঠিক নয়। এখানে অবশ্যই বিয়ের রীতিনীতি বা শর্তগুলো পূরণ করা উচিত।
আরো পড়ুনঃ দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার গোপন টিপস
বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে সমগ্র পৃথিবী এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। আমাদের জীবনের সকল কিছু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ছোঁয়ায় অনেক সহজ হয়ে গেছে।
আগে মানুষ যখন কোন কাজ করতে গেলে মাসের পর মাস বা বছরের পর বছর সময় ব্যয় করতো সেখানে তা এক নিমিষেই সম্ভব হয়ে যাচ্ছে। যেমন ধরুন, নারী-পুরুষের বিয়ে-শাদী। আজকাল পাত্র পাত্রী ও অভিভাবকগণ রাজি থাকলে পাত্র-পাত্রী হাজার মাইল দূরে অবস্থান করলেও তাদের বিয়ে করানো সম্ভব হয়ে যাচ্ছে ।
পবিত্র ইসলাম ধর্ম এমন একটি ধর্ম যেখানে মানব জীবনের সবকিছুর সহজ সমাধান করে দিয়েছে এবং কেয়ামত পর্যন্ত এই ধর্ম আধুনিকই থাকবে ইনশাআল্লাহ।
আরো পড়ুনঃ দাম্পত্য জীবনের সমস্যা ও কারণ
মেসেঞ্জারে কবুল বললে কি বিয়ে হয়ে যায়
যাহোক, বর্তমান যুগের চাহিদা ও প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে অধিকাংশ ইসলামী ফিকহ বিশেষজ্ঞগণ শর্তসাপেক্ষে মোবাইলে বা টেলিফোনে বা মেসেঞ্জারের ভিডিও কলে বিয়ে করার পক্ষে মত প্রকাশ করেন।
তবে কোন কারণবশত পাত্র -পাত্রী (বর - কনে) দূর দেশে অবস্থান করার কারণে আকদ - নিকাহ করতে না পারলে তাদের পক্ষে উকিল মনোনীত ও দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে তারা আকদ - নিকাহ করে নিতে পারবেন। এ মত অবস্থায় আকদ - নিকাহ করতে হলে নিম্ন বর্ণিত পদ্ধতিদ্বয়ের যেকোনো একটি অবলম্বন করলেই হবে ।
আরো পড়ুনঃ দ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থসহ
যেহেতু বিয়ে একটি পবিত্র সামাজিক বন্ধন, সেহেতু বিয়ের মজলিসে অবশ্যই হক্কানী আলেমদের উপস্থিতি জরুরী।
প্রচলিত আইনি বিধি বিধানঃ
আমাদের বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে বিয়ে করার জন্য পাত্রের (বর) বয়স কমপক্ষে ২১ বছর এবং পাত্রীর (কনে) বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। আর মুসলিম বিয়ে ও তালাক (নিবন্ধন) আইন অনুযায়ী প্রতিটি বিয়ে নিবন্ধন অবশ্যই করতে হবে এবং এই নিবন্ধন করার দায়িত্ব বরের।
কোন কারনে বিয়ের মজলিসে নিবন্ধন করতে না পারলে বিয়ের ৩০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ এক মাসের মধ্যে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, নতুবা বর দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩,০০০ ( তিন হাজার) টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হবেন। তাই মোবাইলে বিয়ে করানো হলেও এই নিয়ম মানা জরুরী।
মেসেঞ্জারে ভিডিও কলে কবুল বললে কি বিয়ে হয়ে যায়-
মেসেঞ্জারে ভিডিও কলে বিয়ের নিবন্ধন জটিলতা কিছুটা রয়েছেই। মোবাইলের মাধ্যমে মেসেঞ্জারে ভিডিও কলে বিয়ে সম্পূর্ণ হলে বিয়ের নিবন্ধন নিয়ে বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হয়। যেহেতু বর কনের কোন একপক্ষ দূরে অর্থাৎ উভয়পক্ষের একই অবস্থানে থাকা সম্ভব হয় না, তাই এক্ষেত্রে বিয়ের নিবন্ধন জটিলতার সৃষ্টি হয়। যেহেতু বিয়ের শর্তগুলো পূরণ হয় না অর্থাৎ ইত্তেহাদুল মজলিস পূর্ণ হয় না। তাই মেসেঞ্জারে ভিডিও কলে কবুল বললে বিয়ে হয়ে যায় না।
আরো পড়ুন: মোবাইলে বিয়ে - উইকিপিডিয়া
প্রিয় পাঠক আশা করি, মোবাইলে কবুল বললে কি বিয়ে হয়- ছেলে মেয়ে কবুল বললে কি বিয়ে হয়ে যায়- মেসেঞ্জারে ভিডিও কলে কবুল বললে কি বিয়ে হয়ে যায়, মোবাইলে বিয়ে করার নিয়ম, মোবাইলে বিয়ে, Mobile biye korar niom, mobile biye - এ বিষয়গুলো সম্বন্ধে আপনারা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
সর্বশেষ কথাঃ মোবাইলে বিয়ে করার নিয়ম
মোবাইলে মেসেঞ্জারে ভিডিও কলে কবুল বলে বিয়ে করার মূল কারণ হচ্ছে, যেন পছন্দের পাত্র -পাত্রী (বর -কনে) অন্যত্র বিয়ে হয়ে যেতে না পারে বা হাতছাড়া না হয়ে যায় মূলত এই উদ্দেশ্যেই এই বিয়ে হয়। তবে বিশেষ পরিস্থিতির কারণে যদি মোবাইলের মাধ্যমে বা মেসেঞ্জারের ভিডিও কলে বিয়ে হয় পরবর্তীতে দুই পক্ষ বর কনে একই মজলিসে অবস্থান করে অর্থাৎ ইত্তেহাদুল মজলিসের শর্ত পূরণ করে পুনরায় কাবিননামা করে নিতে হবে এবং সে ক্ষেত্রে ইসলামী শরীয়ত বা দেশীয় বিধান মতে বিয়ে শুদ্ধ বা বৈধ বা হালাল হবে আর ভবিষ্যতে আইনগত কোন ঝামেলা বা আইনি জটিলতা বা শরীয়ত-বিধানিক কোনো সমস্যা হবে না - ইনশাল্লাহ।
এ বিষয়ে আরো কিছু জানতে হলে আপনার মন্তব্য লিখে আমাদের জানাতে পারেন এবং এরকম আরো ভালো ভালো টিপস জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন। আশা করি বিষয়টি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন এবং মোবাইলে বিয়ে করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
এতক্ষণ এই লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
(সূত্রঃ বাদান উস সানায়ে ২/২৩১, আদদুররুল ৩/১৪, ফতোয়া এ মাহমুদিয়া ১১/১৬১ )
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url