২০২৫ সালের রোজার ঈদ, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা ও কোরবানির ঈদ কত তারিখে Eid 2025 in Bangladesh

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনারা অনেকেই ২০২৫ সালের রোজার ঈদ কত তারিখে,  ২০২৫ সালের ঈদুল ফিতর কত তারিখে,  ২০২৫ সালের ঈদুল আযহা কত তারিখে এবং ২০২৫ সালের কোরবানির ঈদ কত তারিখে ইত্যাদি জানতে চান।  আপনারা যারা ২০২৫ সালের রোজার ঈদ, ঈদুল ফিতর,  ঈদুল আযহা ও কোরবানীর ঈদ কত তারিখে জানতে চান তাদের জন্যই আজকের মূলত এই লেখাটি।

২০২৫ সালের রোজার ঈদ, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা ও কোরবানির ঈদ কত তারিখে
২০২৫ সালের রোজার ঈদ, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা ও কোরবানির ঈদ কত তারিখে

বন্ধুরা আপনারা যারা ২০২৫ সালের রোজার ঈদ, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা ও কোরবানির ঈদ কত তারিখে জানতে চান তারা অনুগ্রহ করে লেখাটি  মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তো চলুন বন্ধুরা আজকে ২০২৫ সালের রোজার ঈদ, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা ও কোরবানির ঈদ কত তারিখে বিস্তারিত জেনে নেই।

ভূমিকা

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান গুলোর মধ্যে রমজান মাসের রোজা,  রোজার ঈদ বা ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ হল বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান।  আর মুসলিম বিশ্ব এই তিনটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে। তাই আজকে  আমরা ২০২৫ সালের রোজার ঈদ,  ঈদুল ফিতর,  ঈদুল আযহা ও কোরবানির ঈদ কত তারিখে জানতে পারবো।

২০২৫ সালের রোজার ঈদ, ঈদুল ফিতর কত তারিখে:

২০২৫ সালের রোজার ঈদ বা ঈদুল ফিতর হবে ৩০ শে মার্চ রোজ রবিবার অথবা ২০২৫ সালের রোজার ঈদ বা ঈদুল ফিতর হবে ৩১ শে মার্চ রোজ সোমবার। যেহেতু আরবি বছর (হিজরি সন) চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল,  তাই আরবি মাস গুলো সাধারণত ২৯ বা ৩০ দিনের হয়ে থাকে। সুতরাং রোজার ঈদ বা ঈদুল ফিতর চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল।

২০২৫ সালের ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ কত তারিখে:

২০২৫ সালের ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ ৬ ই জুন রোজ শুক্রবার হতে পারে। যেহেতু আরবি বছর (হিজরি সন) চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল,  তাই ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ একদিন আগে বা পরে হতে পারে। 

হিজরী সন অনুযায়ী প্রতিবছর আরবি জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত মোট ৩ (তিন)  দিন কোরবানীর ঈদ পালন করা হয়। এই  ৩ (তিন) দিনকে বলা হয় 'ইয়াওমুল আজহা' বা ঈদের দিন। ঈদুল আযহার কোরবানি করা মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়াজিব ইবাদত। 

২০২৫ সালের রমজান মাসের রোজার ঈদ - ঈদুল ফিতর 

ইসলাম ধর্মালম্বীদের অর্থাৎ মুসলমানদের কাছে দীর্ঘ একমাস সিয়াম বা রোজা রাখার পর অবশেষে খুশির দিন রোজার ঈদ বা রমজানের ঈদ ঈদুল ফিতর আসে।  এই দিনটি খুবই আনন্দের সাথে পালন করা হয়।  ঈদ মানে খুশি,  ঈদ মানে আনন্দ,  যা বারবার প্রতিবছর ফিরে আসে। 

মুসলমানদের কাছে এই ঈদুল ফিতর উৎসবটি একটি সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব।  ইসলাম ধর্ম অনুসারে বছরে দুইবার ঈদ আসে।  প্রথমে রোজার ঈদ ঈদুল ফিতর যেখানে দান করার উৎসব বলা হয় এবং খুশির উৎসব বলা হয়।  এরপরে আসে ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ,  যেটা ত্যাগ করার উৎসব এবং খুবই বেদনা দায়ক উৎসব।  মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মদিনায় হিজরতের পরে ঈদুল ফিতর পালন শুরু করেন।

আরো পড়ুন:  বাংলাদেশের সকল বক্তাদের মোবাইল নাম্বার


রোজার ঈদ ঈদুল ফিতরের দিন যে কাজগুলো করা উচিত

ঈদুল ফিতরের দিনে সকলের মনে অফুরন্ত ভালোবাসা, আনন্দ, খুশি ও অনুভূতি থাকে, যা চারিদিকের পরিবেশকে আরো সুন্দর ও মোহনীয় করে তোলে।  সেজন্য আমাদের সকলের উচিত ধনী গরীব নির্বিশেষে ঈদুল ফিতর উৎসব একসঙ্গে পালন করা।  চলুন বন্ধুরা আমরা জেনে নেই ঈদুল ফিতরের দিন যে কাজগুলো করা উচিত -

  • জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করা
  • ঈদের চাঁদ দেখার পর থেকে তাকবীর পাঠ করা
  • ঈদের দিন সকালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে থাকা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জামা কাপড় পড়ে ঈদের ময়দানের দিকে বা মসজিদের দিকে রওনা দেওয়া
  • পায়ে হেঁটে ঈদের নামাজ পড়ার জন্য ঈদগাহে যাওয়া
  • ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করা
  • মনোযোগ সহকারে ঈদের খোতবা শোনা
  • দোয়া ও ইস্তেগফার পাঠ করা মোসাফা করা
  • আত্মীয়স্বজনদের খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ বান্ধবদের ঈদের শুভেচ্ছা বার্তা জানানো
  • প্রতিবেশীদের খোঁজখবর নেওয়া,  তাদের বাড়িতে ঈদের দিন যাওয়া এবং দাওয়াত গ্রহণ করা
  • এতিম মিসকিন ও অনাথ শিশুদের এবং অভাবীদের খাবার খাওয়ানো কিছু জামাল কাপড় ও টাকা দান করা
  • ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই ফিতরা দেওয়া
  • সারা মাস সিয়াম রাখা বা রোজা রাখার পর ঈদের দিন দিনের বেলা অবশ্যই অবশ্যই খাবার গ্রহণ করা
  •  সবার সাথে সকল মনোমালিন্য দূর করা ও সবার সাথে আনন্দ প্রকাশ করা
আরো পড়ুন: 


২০২৫ সালের কোরবানির ঈদ - ঈদুল আযহা

প্রতিটা মুসলমানের জীবনের একমাত্র চাওয়া পাওয়া হল মহান আল্লাহর নিকট্য লাভ করা।  আর সেটা হল কোরবানি।  কারণ কোরবানি প্রকৃত পক্ষে আল্লাহর নিকট্য লাভের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। কোরবানির মাধ্যমে মুসলমানগণ তাদের সম্পদ, ইচ্ছা,  আকাঙ্ক্ষা সবকিছু আল্লাহর নিকট কোরবানির মাধ্যমে উৎসর্গ করে থাকেন। 

 এছাড়াও ঈদুল আযহা কোরবানির ঈদ মুসলমানদের জন্য একটি ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা মুসলমান জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ) কে কোরবানি দিতে বলেন। কিন্তু মহান আল্লাহ হযরত ইসমাইল (আঃ)  এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি কবুল করেন। আর তখন থেকেই এই ঈদুল আযহার কোরবানি প্রতিবছর জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখ পালিত হয়ে আসছে। 
যে ব্যক্তির নিসাব পরিমাণ সম্পদ আছে অর্থাৎ সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে ১২ মন রুপা বা এর সমপরিমাণ সম্পদ রয়েছে তার ওপরে কোরবানি করা ওয়াজিব।


রিলেটেড সার্চ: 2025 সালের রোজার ঈদ কবে | ২০২৫ সালের রমজান ঈদ কত তারিখ | 2025 সালের রোজার তারিখ | ২০২৫ সালের ঈদুল আজহা কত তারিখে

সর্বশেষ কথা:  ২০২৫ সালের রোজার ঈদ ঈদুল ফিতর ঈদুল আযহা ও কোরবানির ঈদ কত তারিখ

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে রমজানের ঈদ, রোজার ঈদ,  ঈদুল ফিতর,  ঈদুল আযহা ও কোরবানির ঈদ এই ধর্মীয় উৎসবগুলো কেবল উৎসব নয় বরং সকলের প্রতি সহানুভূতি ও ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যমে উদযাপন করা সকলের উচিত।
প্রিয় পাঠক, আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন এবং আপনার ভালো লেগেছে।  আপনার যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে লেখাটি আপনার বন্ধুবান্ধবদের শেয়ার করে জানিয়ে দিন এবং এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url