সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় | ১০টি কার্যকরী টিপস গুলো জেনে নিন
আপনারা কি সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? আপনারা যারা সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ লেখাটি।
সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় |
বন্ধুরা, সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় জানতে হলে আমাদের আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবহুল লেখাটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাই আর দেরি না করে চলুন, সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জেনে নেই।
আপনারা যদি সহজে সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় জানতে চান তাহলে আপনাদের কিছু সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে। তাহলে আর দেরি না করে চলুন কার্যকরী টিপসগুলো জেনে নেই।
সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় | ১০টি কার্যকরী টিপস গুলো জেনে নিন
আমাদের মনে রাখতে হবে, অতি দ্রুত মোটা হওয়া বা স্বাস্থ্যবান হওয়া আমাদের শরীরের জন্য ভাল নয়। তাই নিয়ম মেনে সঠিক পরিমাণ দৈনিক কালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। তো চলুন বন্ধুরা সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে ১০ (দশ) টি কার্যকরী টিপস গুলো বিস্তারিত জেনে নেই।
১। বার বার খাবার গ্রহণ করুন:
প্রতিটি মানুষের উচিত বার বার খাদ্য গ্রহণ করা অর্থাৎ প্রতি দুই ঘন্টা পর পর খাবার গ্রহণ করা উচিত। আর আপনারা যারা সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় খুঁজছেন তাদের দুই ঘন্টা পর পর আরো বেশি বেশি খাবার গ্রহণ করা উচিত। এ সময় আপনারা ফল-মূল, দুধ, দই, ছানা ইত্যাদি খেতে পারেন।
২। ড্রাই ফ্রটস গ্রহণ করুন:
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে কাজুবাদাম ও কিসমিস খেতে পারেন। আর প্রতিদিন সকালের নাস্তায় পেস্তা বাদাম রাখতে পারেন। এভাবে আপনি প্রতিদিন ড্রাই ফ্ররুটস গ্রহণ করলে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে কেননা ড্রাই ফ্ররুটসে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি ও ফ্যাট।
৩। বেশি বেশি খাবার গ্রহণ করুন
যারা তাড়াতাড়ি মোটা হতে চান বা ওজন বাড়াতে চান, তারা স্বাভাবিক খাবারের তুলনায় বেশি বেশি খাবার গ্রহণ করতে পারেন। এই সময় আপনাকে যেকোনো পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে ও পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এতে আপনার শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পুরণ করবে এবং আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
আপনি ধরে নিতে পারেন , এটি অতি দ্রুত ও মোটা হওয়ার উপায়।
৪। শর্করা বা কা্র্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার;
দেখা গেছে মোটা হওয়ার জন্য বা ওজন বাড়ানোর জন্য শর্করা বা কা্র্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। তাই খাবারের তালিকায় -
শর্করা বা কা্র্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার অবশ্যই রাখতে হবে। ভাত, রুটি ও আলু শর্করা বা কা্র্বোহাইড্রের প্রধান উৎস মনে করা হয়। তাই প্রতিদিন আপনাকে দিনে ২/৩ বার ভাত ও রুটি অবশই খেতে হবে। আবার বেশি বেশি শর্করা বা কা্র্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খেলে আপনার শরীরে চর্বি বা ফ্যাটের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
তাই আপনাকে অতিরিক্ত ফ্যাটের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তাই স্বাস্থ্য বাবাড়ানো স্বার্থে আপনাকে স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি শর্করা বা কা্র্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে।
তাই এটিকেও দ্রুত মোটা হওয়ার অন্যতম উপায় মনে করতে পারেন।
৫। প্রোটিন গ্রহণ:
মোটা বা ওজন বৃদ্ধির জন্য শুধু শর্করা বা কা্র্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার বা ক্যালরিযুক্ত খাবার যথেষ্ঠ নয়। আপনি প্রাণী ও ডাল থেকে আমিষ বা প্রোটিন সহজেই পেতে পারেন। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাংস, মাছ ও ডাল রাখতে পারেন। প্রোটিন আপনার ওজন বাড়াতে যথেষ্ঠ ভূমিকা পালন করে । তাই এটিকেও সহজেই মোটা হওয়ার উপায় বলতে পারেন।
আরো পডুনঃ অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করার উপায় সম্পর্কে জানুন।
৬। বেশি বেশি ক্যালরি গ্রহণ:
আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধির জন্য বা মোটা হওয়ার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী হল - উচ্চ মাত্রার ক্যালরি গ্রহণ। ধীরে ধীরে মোটা হতে চাইলে প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ক্যালরি যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। আপনারা যারা সহজেই অতি দ্রুত বা সাত ৭ দিনে মোটা বা স্বাস্থ্যবান হতে চান তাদের প্রতিদিন কমপক্ষে ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ক্যালরি যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। আপনারা যারা সহজেই অতি দ্রুত মোটা বা স্বাস্থ্যবান হতে চান, তারা এই নিয়ম টি ৭ দিন ফলো করতে পারেন।
৭। উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার:
উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবারের তালিকায় রয়েছে ডিম, দুধ, দই, ঘি, মাখন, পনির, ছানা, ছানা জাতীয় খাবার, কোমল পানিয়ও, গরু – ছাগলের মাংস, আলু , মিষ্টি জাতীয় খাবার, চকলেট , কিসমিস, খেজুর, কলা, বাদাম, আনারস ইত্যাদি। প্রচুর ক্যালরি আছে এইরকম ফল ও শাকসবজি হল – আম, কাঁঠাল, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু কাঁচাকলা ইত্যাদি। এগুলো সহজে মোটা হতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুনঃ শীতকালে ওজন বাড়বে যেসব সবজি ও খাবার খেলে।
৮। পর্যাপ্ত পানি পান করুন:
মানুষের দেহের প্রায় ৬০ শতাংশ ই পানি। সাধারণত একজন পুর্ণ বয়স্ক মানুষের দৈনিক ৩ লিটার বা ৮ থেকে ১০ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। এই পানি হজমে সাহায্য করবে, পাকস্থলী পরিষ্কার রাখবে,কোষ্টকাঠিন্য দূর করবে এবং দেহে পানির চাহিদা পুরণ করবে। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। এভাবে পানি দেহের ওজন বৃদ্ধির মাধ্যমে মোটা হতে সাহায্য করে।
৯। মধু ও দুধ খাওয়া:
ঘুমের আগে মধু ও দুধ খেলেও আপনার শরীরে বাড়তি ওজন যোগ করবে। তাই প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস দুধ ও ১ চা চামুচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ ওষুধ খেয়ে কি দ্রুত ওজন কমানো যায়
১০। ব্যায়াম:
মানব দেহের শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম যেমন শরীরকে চিকন করে তেমনি মোটা হতেও সাহায্য করে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
টেনশন মুক্ত পর্যাপ্ত ঘুম:
দৈনিক কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম হলেই আপনার ওজন বাড়বে নিশ্চিত। আর আজকাল সব সমস্যার বড় সমস্যা হল টেনশন। আজকাল টেনশন মুক্ত থাকা যেন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আপনার ওজন বাড়াতে হলে বা মোটা হতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই টেনশন মুক্ত বা দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে। তাই যতটা সম্ভব টেনশন মুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন। দুশ্চিন্তা বা টেনশন মুক্ত থাকার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমের দিকে নজর দিতে হবে।
ইসলামে মোটা হওয়ার উপায়: সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায়
বন্ধুরা আপনারা যারা ইসলামে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাইছেন তাদের জন্য আজকের এই লেখাটি।
ইসলামে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বেশ কিছু হাদিস পাওয়া গেছে। ইসলামে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে খেজুরের সাথে শসা একসঙ্গে খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। মোটা হওয়ার উপায় হিসেবে শশা ও খেজুর খাওয়ার হাদিস পাওয়া যায়।
হযরত আয়েশা রা বর্ণনা করেছেন, 'আমার মায়ের ইচ্ছা ছিল আমাকে স্বাস্থ্যবতী বানিয়ে রাসুল (সাঃ) এর নিকট পাঠাবেন। এজন্য তিনি অনেক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন কিন্তু কোন ফল হয়নি। শেষে তিনি আমাকে পাকা খেজুরের সাথে শসা বা খিরা খাওয়াতে থাকলে আমি তাতে উত্তম রূপে স্বাস্থ্যের অধিকারী হই।' (শুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৩৯০৩)।
হযরত আয়েশা (রা. ) অন্য এক হাদিসে বর্ণনা করেছেন, 'আমার মা আমাকে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সংসারে পাঠাতে চাচ্ছিলেন, বিধায় আমার দৈহিক পরিপুষ্টির জন্য চিকিৎসা করাতেন কিন্তু তা কোন উপকারে আসলো না। অবশেষে আমি তাজা খেজুরের সাথে শসা মিশিয়ে খেলাম এবং উত্তম রূপে দৈহিক পরিপুষ্টি লাভ করলাম।' ( আবু দাউদ, হাদিস নং ৩৩২৪)
তাই প্রিয় পাঠক আপনারা যারা ইসলামে মোটা হওয়ার উপায় খুঁজছেন তারা খেজুরের সাথে শসা নিয়মিত একত্রে খেতে পারেন, দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই স্বাস্থ্যবান হবেন ইনশাআল্লাহ।
মোটা হওয়ার দোয়া: সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায়
ইসলামে মোটা হওয়ার দোয়া নিচে বাংলা উচ্চারণ দেওয়া হলো:
বাংলা উচ্চারণ: ' আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিহকীল মুস্তফা মোহাম্মদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আন্না তুবারি কালি ফির রিজকি ওয়া তাকাত শিরাহু ওয়া তাত্বও ইলা উমরী ওয়া তুসলিহা যাশোদি ওয়া তু আফি ইয়ানি মিন কুল্লি বালাই ওয়া তাঁর যুকানি মিন হাইছো লা আহ তাসিবু ইন্নাকা আলা কুল্লি সাইন কাদির।'
বাংলা অর্থ: 'হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ওই নবীর হক রক্ষা করে প্রার্থনা করছি যিনি হলেন মোহাম্মদ (সাঃ)। আপনি আমার রিজিক কে বরকত পূর্ণ করে দিন, তা, বৃদ্ধি করুন, আমার আয়ু দীর্ঘ করুন, আমার শরীরকে সুস্থ করুন। আমাকে সকল বিপদ থেকে রক্ষা করুন এবং এমন রিজিক দান করুন যেখান থেকে আমি আশা করি না। নিশ্চয়ই আপনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।'
সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়:
প্রিয় পাঠক, আপনারা যারা সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায় বিষয়ে জানতে চান তারা আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে বুঝতে পারবেন।
প্রতিদিন সকালে হালকা গরম পানির সাথে মধু মিশিয়ে খেলে পাকস্থলীর কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এসিডিটির সমস্যা হয় না সে সঙ্গে মধুতে উপস্থিত একাধিক পুষ্টিগুণ উপাদান এসিডিটির সমস্যা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আমরা ঘুম থেকে উঠার পরে সকালে সাধারণত আমাদের খালি পেট থাকে, তাই সকালে খালি পেটে কি খেলে শরীর মোটা হয় - তার মধ্যে রয়েছে কলা, দুধ, ডিম ও খেজুর।
আশা করি এই লেখাটি পড়ে আপনি বুঝতে পেরেছেন সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হয়।
রিলেটেড র্সাচ: সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায়| রোগা থেকে মোটা হওয়ার উপায়| ইসলামে মোটা হওয়ার উপায়| সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়| মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা| অতি তাড়াতাড়ি মোটা হওয়ার উপায়| মেয়েদের মোটা হওয়ার ব্যায়াম| মোটা হওয়ার দোয়া।
আদর্শ ওজন জেনে নিনঃ
আপনার উচ্চতা সেন্টিমিটারে মেপে সেখান থেকে ১০০ বিয়োগ করলেই আপনার ওজন পাওয়া যাবে,। যেমন, কারো ওজন ১৬৫ সেন্টিমিটার, তাহলে তার ওজন হবে = ( ১৬৫-১০০) = ৬৫ কেজি। এবার এই ওজন থেকে ছেলেদের জন্য ১০% এবং মেয়েদের জন্য ১৫% বিয়োগ করলেই আদর্শ ওজন পাওয়া যায়। অর্থাৎ এখানে, ছেলের ওজন ৫৮.৫ কেজি এবং মেয়ের ওজন ৫৫.২৫ কেজি ।
অনেকেই রোগা বা চিকন স্বাস্থ্যের কারণে সমাজে চলাফেরা করতে লজ্জা বোধ করেন। অনেক তরুণ তরুণীর চাকুরি বা বিয়ের জন্য সুস্বাস্থ্য বেশ জরুরী। আবার অনেকে আছেন যারা মোটা হওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করছেন কিন্তু কোন ফল পাচ্ছেন না। আবার বয়স ও উচ্চতার তুলনায় ওজন কম হওয়া বা আন্ডার ওয়েট কিন্তু একটি সমস্যার ব্যাপার।
আরো পড়ুনঃ মেয়েরা বিয়ের পর মোটা হয় কেন?
সর্বশেষঃ সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায়
মোটা হওয়া বা ওজন বাড়ানো কিংবা চিকন হওয়া – এইগুলো দ্রুত হওয়া ভাল নয়। কারণ এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই ধীরে ধীরে মোটা হাওয়া বা ওজন বাড়ানো কিংবা চিকন হাওয়া উচিত। অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খেয়ে মোটা হতে চান, এতে আপনার কিডনি বিকলসহ নানারকম শারীরিক জটিলতায় পড়তে পারেন। তাই নিজে নিজে বা ইউটিউব দেখে সিদ্ধান্ত না নিয়ে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। এতে আপনি অনেকটাই সুস্থ ও নিরাপদ থাকবেন। আশা করি, সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় লেখাটি আপনাদের ভালো লেগেছে। পরিশেষে, আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। ধন্যবাদ।।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url