কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ ১০ জেনে নিন

কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক আপনি কি কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ জানতে চান? কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ?  চলাফেরা, হাঁটাচলা করতে, উঠতে বসতে, কাজে-কর্মে আপনি কি কোমর ও পায়ে ব্যথা অনুভব করেন? তাহলে কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ জানতে হলে আপনাকে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
কোমর-পায়ের-ব্যথার-কারণ
কোমর-পায়ের-ব্যথার-কারণ।
কোমর থেকে পায়ের ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করা, পায়ের জয়েন্টে ও মাংসপেশিতে টান ধরা - এগুলো সায়াটিকা'র ( Sciatica ) লক্ষণ হতে পারে। সাধারণত শীতের সময় সায়াটিকার ব্যথাগুলো বাড়ে। তো চলুন বন্ধুরা আমরা কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ, কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ গুলো জেনে নেই -

কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ

কোমর ব্যথা খুবই কমন একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। জীবনে কোমর ব্যথা হয়নি এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন । কোমর থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত অসহ্য যন্ত্রণা বা ব্যথা হতে পারে। মাঝে মাঝে পায়ে ঝিম ঝিম ধরে। আবার অনেক সময় ব্যথাটা কোমর থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত অবশ হয়ে যেতে পারে। 

হাঁটতে গেলে এই ব্যথা অসহ্য হতে পারে কিংবা হাঁটার পরেই ব্যথাগুলো আরো বেড়ে যায়। অনেক সময় এই ব্যথা কোমর থেকে নিতম্বের কাছে সরে যেতে পারে। অনেকক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকার পর হঠাৎ করে উঠতে গেলে মাংসপেশিতে টান ধরে কোমর ও পায়ে ব্যথা হতে পারে। কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ বহন করে সেটা আমাদের জানা জরুরী। কেননা কিডনিতে পাথর, পিত্তথলিতে পাথর, অ্যাপেন্ডিসাইটিস ও মেরুদন্ডের হাড় ক্ষয় ইত্যাদি জরুরী সমস্যার কারণে কোমর ব্যথার লক্ষণ হতে পারে।
তাই আজকে আমরা কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ, কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ লেখাটিতে প্রথমে আমরা কোমর ব্যথার কারন গুলো বিস্তারিত জেনে নেব।

আরো পড়ুন:

কোমর ব্যথার কারণ: কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ

কোমর ব্যথা এমনই একটি স্বাস্থ্য সমস্যা যা সাধারণত জনসংখ্যার শতকরা ৯০ ভাগ লোকের জীবনে কোন না কোন সময় ঘটে থাকে। আর এই কোমর ব্যথা সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়স থেকেই শুরু হতে পারে। আর যেসব লোকেরা পারিবারিক দায়িত্ব পালনের বোঝা কাঁধে তুলে নেন, কঠোর পরিশ্রম করেন  ফলে তারা মানসিক চাপে ভুগে থাকেন। আর সেইসব লোকদেরই সাধারণত কোমর ব্যথা আরো প্রকোট আকার ধারণ করে। 
কোমর-ব্যথা-কিসের-লক্ষণ
কোমর-ব্যথা-কিসের-লক্ষণ 
কোমর ব্যথা সাধারণত স্বল্প মেয়াদী যা এক মাস থেকে দুই মাসের মধ্যে সঠিক চিকিৎসা করালে ভালো হয়ে যায়। আর যারা অবহেলা করেন তারা দীর্ঘ সময় ধরে ভুগেন কারণ এটা দীর্ঘমেয়াদী ক্রনিক অসুখে পরিণত হয়ে যায়।

কোমর ব্যথার কারণ গুলো নিচে বর্ণনা করা হলো: কোমর থেকে পা পর্যন্ত ব্যথার কারণ

কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ, কোমর থেকে পা পর্যন্ত ব্যথার বেশ কিছু কারণ রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কারণগুলো নিচে দেওয়া হল:
  • মাংসপেশি বা টেনডন মচকানি
  • লাম্বার স্পন্ডোলাইসিস
  • পিএলআইডি
  • ভুলভাবে অবস্থান করা
  • অসামান জুতা - স্যান্ডেল ব্যবহার
  • পেশাগত কারণ
  • কিডনিতে পাথর - কোমরের দুই পাশে ব্যথার কারণ 
  • পিত্তথলিতে পাথর 
  • এপেন্ডিসাইটিস
  • স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্ট ডিসঅর্ডার ।
তো চলুন বন্ধুরা কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ, কোমরের নিচে ব্যথার কারণ ও কোমর থেকে পা পর্যন্ত ব্যথার কারণ গুলো আমরা বিস্তারিত জেনে নেই।

মাংসপেশি বা টেনডন মচকানি

আপনার কোমর ব্যথার সবচেয়ে বড় কারণ হলো মাংসপেশি কিংবা টেন্ডনে মচকানি। অনেক সময় হঠাৎ করে ভারী জিনিসপত্র তুললে এটা হতে পারে। অবশ্য কারো কারো ক্ষেত্রে হালকা বস্তু তুলেও এ সমস্যা হতে পারে। শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে কোমর ব্যাথা হয় মাংসপেশির টান টান অবস্থার কারণে। এক্ষেত্রে খেলাধুলা, কাজকর্ম, আঘাত ইত্যাদি কারণে মাংসপেশিতে টান পড়তে পারে, এভাবে কোমর ব্যথা হয়।

লাম্বার স্পন্ডোলাইসিস

কোমর ব্যথার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে লাম্বার স্পন্ডোলাইসিস। আমাদের সবার কোমরে পাঁচটি হাড় রয়েছে। কোমরের এই হাড়গুলো যদি বয়সের কারণে বা বংশগত কোন কারণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যায় তখন তাকে বলা হয় লাম্বার স্পন্ডোইসিস। কাজেই আপনার লাম্বার স্পন্ডোলাইসিস হয়ে থাকলে কোমর ব্যথা হতে পারে।

পিএলআইডি

কোমর ব্যথার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কারণ হল পিএলআইডি বা প্রল্যাপ্সড লাম্বার ইন্টারভার্টিব্রাল ডিস্ক ( PLID ) । এই ব্যথা সাধারণত ২৫ থেকে ৪০ বছরের মানুষের ক্ষেত্রে বেশি লক্ষ্য করা যায়। প্রত্যেক মানুষের কোমরের মেরুদন্ডের দুই হাড়ের মধ্যে ফাঁকা একটা জায়গা থাকে। এটি পূরণ থাকে তালের শাঁসের মত ডিস্ক বা চাকতি দিয়ে। এই ডিস্ক যদি কোন কারণে বের হয়ে যায় তখন নার্ভের গোড়ায় বা স্নায়ু মূলের ওপরে চাপ ফেলে, এর ফলে কোমরে ব্যথা হতে পারে।

ভুল ভাবে অবস্থান করা

আপনি যদি হাঁটা কিংবা দাঁড়ানোর সময় ও বসার সময় সঠিকভাবে অবস্থান না করেন তাহলে কোমরে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এটি আপনার কোমর ব্যথার একটি অন্যতম কারণ। এমন কি হাঁচি, কাশি বা ভুল অবস্থানে ঘুমানোর জন্য আপনার কোমরের পেশিগুলো সংকুচিত হতে পারে সেক্ষেত্রে কোমরের মারাত্মক ব্যথা হতে পারে।

অসমান জুতা- স্যান্ডেল ব্যবহার

মহিলাদের কোমর ব্যথার প্রাথমিক কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে উঁচু হিলের স্যান্ডেল বা জুতা পরা, অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ভঙ্গুরতা রোগ এবং গর্ভাবস্থা। স্থূল দেহ বা মোটা স্বাস্থ্যের অধিকারী অনেক পুরুষ পেট সামনের দিকে ঠেলে দিয়ে হাঁটতে থাকেন তারাও কোমর ব্যথায় আক্রান্ত হতে পারেন। পেছনের দিক থেকে এভাবে অতিরিক্ত বাঁকানোর ফলে মেরুদন্ডের উপর চাপ সৃষ্টি হয়। কাজেই অসমান জুতা, স্যান্ডেল ব্যবহারকে কোমর ব্যথার একটি কারণ মনে করা হয়।

পেশাগত কারণ

যারা পেশাগত কারণে কোমর বাঁকা করে কাজ করেন তাদের কোমর ব্যথা লক্ষ্য করা যায়। যেমন- আবর্জনা সংগ্রহকারী, ঝাড়ুদার, কুলি, শ্রমিক ইত্যাদি। তারা অনেক সময় মাথা ছাপড়িয়ে কাজ করে থাকেন। আবার যারা কম্পমান মেশিনে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেন তাদের ও কোমর ব্যথা বেশি হতে পারে।

কিডনিতে পাথর - কোমরের দুই পাশে ব্যথার কারণ

কিডনিতে পাথর মেরুদন্ড সম্পর্কিত কোমরের ব্যথার একটি অন্যতম কারণ। এমনকি একটি ছোট কিডনির পাথর মূত্রনালীর মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় কোমর ব্যথা হতে পারে। কিডনির অবস্থানের ওপর নির্ভর করে কিডনিতে পাথরের ব্যথা কোমরের ডান বা বাম দিকে হতে পারে। সুতরাং কিডনিতে পাথর হলে কোমরের দুই পাশে ব্যথার কারণ হতে পারে।

পিত্তথলিতে পাথর - 

আমাদের শরীরে পেটের ডান দিকে যকৃতের বা লিভারের ঠিক নিচে পিত্তথলির অবস্থান। এ অবস্থানের কারণে পিত্তথলিতে পাথর হলে কোমরের ডান দিকে ও পিঠে ব্যথা হতে পারে।

অ্যাপেন্ডিসাইটিস

আমাদের শরীরে পেটের ডান দিকের নিচের অংশে অ্যাপেন্ডিক্স থাকে। আর এই আ্যপেনডিক্সে কোন কারনে প্রদাহ বা ইনফ্লামেশন হলে তাকে অ্যাপেন্ডিসাইটিস বলে। অ্যাপেন্ডিসাইটিস সাধারণত পেটের মাঝখানে ব্যথা দিয়ে শুরু হয় তারপর এটি তীব্র হয়। তখন কাশি বা হাঁটলে ব্যথা আরো তীব্র হয় এবং পেট কোমর দিয়ে ব্যথা অনুভূত হয়।

স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্ট ডিসঅর্ডার

স্যাক্রোইলিয়াক (এসআই) জয়েন্ট টি পিলভিসকে স্যাক্রাম এর সাথে সংযুক্ত করে নিচের মেরুদন্ড এবং টেইল বনের মধ্যে ত্রিভুজ আকার হাড়। এ জয়েন্টগুলোর লকিং বা অস্বাভাবিক নড়াচড়ার কারণে কোমরের ডান পাশে এবং উল্লেখিত স্থানে ব্যথা হতে পারে। এটিও কোমর ব্যাথার কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়।

কোমর ব্যথার অন্যান্য কারণ

কোমর ব্যথার অন্যান্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- 
  • মেরুদন্ডের হাড়ের ক্ষয়, মেরুদন্ডের বাত, অস্টিওপোরোসিস, অস্টিওম্যালাসিয়া, ইনফেকশন ইত্যাদি। যেমন - অস্টিওমাইলাইটিস, কোলোসিস, টিউবার, ব্রুসেলোসিস ইত্যাদি। 
  • জন্মগত কারণ, যেমন - স্কলিওসিস, স্পনডাইলোলিসথেসিস, স্পাইনা বাইফিডা ইত্যাদি। 
  • টিউমার, ক্যান্সার, ক্ষয় জনিত সমস্যা যেমন - অস্টিও আর্থ্রাইটিস, লাম্বার স্পন্সডাইলোসিস ইত্যাদি।
  • মেরুদন্ড ছাড়া অন্যান্য কারণ, যেমন - বিভিন্ন ধরনের স্ত্রীর রোগ, মুত্রতন্ত্র সংক্রান্ত রোগ ও জননাঙ্গ রোগ এবং পাক-আান্ত্রিক অবস্থা ইত্যাদি।
আরো পড়ুন: 
সাধারণত উপরে উল্লেখিত কারণ গুলোই কোমরের ব্যথার কারণ। আশা করি আপনারা কোমর ব্যথার কারণ সমূহ বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন।

পায়ের ব্যথার কারণ

পায়ের ব্যথা আমাদের খুবই সাধারণ একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। পায়ের ব্যথা হয়নি এমন লোক খুঁজে পাওয়া সত্যিই খুব দুষ্কর। পা আমাদের পুরো শরীরটাকে বহন করে একই স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যায়। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত না পায় কোন সমস্যা দেখা দিচ্ছে আমরা আমাদের দু পায়ের যত্নের ক্ষেত্রে সব সময় উদাসীন থাকি। যেকোনো কারণে আমাদের পায়ের ব্যথা হতেই পারে এবং এই ব্যথা মোকাবেলা করার মত অপ্রীতিকর ঘটনা আর কিছুই নেই। তাই আজকে আপনারা যারা পায়ের ব্যথার কারণ জানতে চান তাদের জন্য রইল পায়ে ব্যথা হওয়ার বিভিন্ন কারণ ও লক্ষণ।

পায়ের ব্যথার বিভিন্ন কারণ সমূহ

আপনার পায়ের ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে, তাই পায়ে ব্যথা পাওয়ার কমন কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো-

১। আপনার পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হলে পায়ে ব্যথা হতে পারে।
২। সঠিক পরিমাপের জুতা পরিধান না করলেও ব্যাথা হতে পারে।
৩। মহিলারা উঁচু জুতা, স্যান্ডেল, হাই হিল পরিধান করলে পায়ের গোড়ালিতে অনেক চাপ পড়ে ফলে পায়ে ব্যথা হতে পারে।

৪। গর্ভধারণ, ডায়াবেটিস, স্থুল দেহ এবং বিভিন্ন মেডিকেল কন্ডিশনে পায়ে ব্যথা হতে পারে।
৫। অতিরিক্ত এক্সারসাইজ, ব্যায়াম অথবা খেলাধুলা করলে পায়ে ব্যথা হতে পারে।
৬। অতিরিক্ত কাজ বা অতিরিক্ত ট্রেডিং করলে সহিষ্ণু ক্ষমতা কমে গেলে পায়ে ব্যথা হয়।

৭। মাংস পেশিতে খিচুড়ি হলে, থেঁতলে গেলে, আঘাতে মাংসপেশি সম্পূর্ণ বা আংশিক ছিড়ে গেলে অথবা বাত রোগেও মাংসপেশীতে ব্যথা হয় ফলে পা ব্যথা হতে পারে।
৮। কিছু নির্দিষ্ট অসুখ যেমন ফাইব্রোমায়ালজিয়া রোগে কিছু মাংসপেশির নির্দিষ্ট স্থানে ব্যথা হতে পারে ফলে পা ব্যথা করে।
৯। বিভিন্ন রকম ট্রমা (জয়েন্ট ডিসলোকেশন) বা আঘাতের কারণে হাড়ের জোড় ছুটে গেলে পায়ে ব্যথা হতে পারে।

১০। হাড়ের জোড় আংশিক (সাবলাক্সেশন) ছুটে গেলেও নির্দিষ্ট মাংসপেশীতে ব্যথার কারণে পায়ে ব্যথা হতে পারে।
১১। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস হলো পায়ে ব্যথার সবচেয়ে কমন একটি কারণ।
১২। পায়ের গোড়ালিতে তীব্র ব্যথা হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ প্লান্টার ফ্যাসাইটিস। এই তীব্র ব্যথার কারণে ঠিকমতো চলাফেরা করা যায় না সোজা হয়ে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে।

প্রিয় পাঠক, আশা করি উপরোক্ত লেখাগুলো পড়ে আপনারা কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। কোমর ও পায়ের ব্যথা হলো অন্যান্য রোগের উপসর্গ। তাই কোমর ও পায়ের ব্যথা হলে কোন রকম অবহেলা না করে দ্রুত রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। আর কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ সম্পর্কে সর্বদা সচেতন থাকুন।

কোমর ব্যথা কমানোর জন্য ঘরোয়া টিপস:

কোমর ব্যথার রোগের জন্য ঘরোয়া টিপস গুলোর মধ্যে রয়েছে-
  • ব্যথা নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণ বিশ্রামে থাকবেন।
  • শক্ত ও সমান বিছানায় ঘুমাবেন এবং সব সময় মেরুদন্ড সোজা করে ঘুমাবেন, কাত হয়ে ঘুমালে হাঁটু ও শরীর সামান্য ভাজ করতে পারেন।
  • অতিরিক্ত নরম কিংবা অতিরিক্ত শক্ত বিছানা পরিহার করুন।
  • কখনো উপুড় হয়ে ঘুমাবেন না।
  • কখনো ফোমের বিছানায় ঘুমাবেন না এবং ফোমের সোফায় দীর্ঘক্ষণ বসে থাকবেন না। 
  • নিচু আসনেও বসা যাবে না।
  • ভারী কোন জিনিসপত্র তুলবেন না বা বহন করবেন না।
  • বিছানা থেকে উঠার সময় কাত হয়ে উঠবেন।
  • মাটি থেকে কোন জিনিসপত্র তোলার সময় সোজা হয়ে হাঁটু ভাঁজ করে বসে তারপর তুলবেন। 
  • ঝুঁকে বা মেরুদণ্ড বাঁকা করে কোন কাজ করবেন না।
  • হাঁটার সময় বুক সোজা রেখে, মাথা উঁচু করে এবং পায়ের আঙ্গুল সামনে দিকে রেখে হাঁটবেন।
  • হাঁটার সময় আরামদায়ক জুতা স্যান্ডেল ব্যবহার করুন।
  • হাঁটার সময় হাই হিল জুতা স্যান্ডেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
  • একই স্থানে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন না। দাঁড়ানোর সময় এক পা সামনে ভাঁজ করে ও সামান্য উঁচুতে রেখে দাঁড়াবেন।
  • দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার প্রয়োজন পড়লে মাঝামাঝি অবস্থান পরিবর্তন করুন।
  • চেয়ারে বসার সময় ঘাড়,পেট ও পিঠ সোজা রেখে বসবেন।
  • কখনো নিচু পিঁড়িঁতে বসে কোন কাজ করবেন না।
  • যানবাহনে চড়ার সময় সামনের আসনে বসার চেষ্টা করুন, কখনো দাঁড়িয়ে থাকবেন না।
  • বেশি ঝাঁকুনি লাগে এরকম ভ্রমণ করবেন না।
  • গোসল করার সময় ঝর্ণা অথবা সোজা হয়ে বসে তোলা পানি দিয়ে গোসল করুন।
  • টিউবওয়েল চেপে পানি ওঠা থেকে বিরত থাকুন।
  • কোমরে আঘাত লাগতে পারে এমন কাজ এড়িয়ে চলুন।
  • ছাদের সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করার সময় মেরুদন্ড সোজা রেখে প্রতিটা সিঁড়ি ব্যবহার করে ধীরে ধীরে উঠুন এবং নামুন।
  • সর্বদা শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করুন।

পায়ের ব্যথা কমানোর জন্য ঘরোয়া কিছু টিপস:

পায়ের ব্যথা কমানোর জন্য নিম্নলিখিত ঘরোয়া টিপস গুলো আপনার পায়ের ব্যথা উপশম করতে সহায়তা করতে পারে।
  • পায়ের ব্যথা এবং ফোলা কমাতে বড় প্রয়োগ করুন।
  • আপনার ব্যথাযুক্ত পা যতটা সম্ভব উঁচুতে রাখার চেষ্টা করুন।
  • ব্যথা নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণ বিশ্রামে থাকুন।
  • আপনার হাঁটাচলার জন্য আরামদায়ক জুতা স্যান্ডেল ব্যবহার করুন।
  • আপনার ওজন বেশি থাকলে অবশ্যই ঘুমিয়ে ফেলুন।
  • সর্বোপরি স্বাস্থ্য সচেতন থাকুন।
আশা করি উপরের ঘরোয়া টিপস গুলো আপনার পায়ের ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।

সর্বশেষ কথা - কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ

প্রিয় পাঠক, আশা করি আপনারা আজকের কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ আর্টিকেলটি পড়ে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ। কোমর ও পায়ে ব্যথা দেখা দিলে কোন রকম অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কোমর ও পায়ের ব্যথার চিকিৎসা দ্রুততম সময়ের মধ্যে না করালে ভবিষ্যতে এই ব্যথা অনিরাময়যোগ্য হতে পারে। ফলে আপনার জীবন হুমকির মধ্যে পড়তে পারে এমনকি আপনি চিরদিনের জন্য পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন।
আজকের কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে লেখাটি শেয়ার করে জানিয়ে দিতে পারেন তারাও যেন উপকৃত হতে পারে। কোমর ও পায়ের ব্যথার কারণ লেখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url