মহরম মাসের ফজিলত ২০২৩

 আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক, আশা করি ভাল আছেন সবাই। আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাদের জানাবো মহরম মাসের ফজিলত ২০২৩ সম্পর্কে। আরবি বছরের প্রথম মাস মহরম মাস। সারা বিশ্বের মুসলমানরা মহরম মাসে আশুরার দিনে নফল রোজা রেখে থাকেন। আমরা অনেকেই জানিনা মহরম মাসের ফজিলত ২০২৩ সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক মহরম মাসের ফজিলত ২০২৩ সম্পর্কে।

মহরম মাসের ফযিলত ২০২৩

আরবি ১৪৪৪ হিজরি বছরের জেলহাজ্ব মাসের বিদায় এবং ১৪৪৫ হিজরী বছরের মহরম মাসের নতুন বছরের স্বাগতম । আরবি বছরের চারটি মাস ইবাদতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই চারটি মাসের মধ্যে একটি মাস হল মহররম মাস। এ মাসে রয়েছে পবিত্র আশুরা। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা মহরম মাসের ফজিলত ২০২৩ সম্পর্কে গুগলে সার্চ দিয়ে থাকেন। এ নিয়ে তারা অনেক বিভ্রান্তিতে পড়েন। তাই আজকে আপনাদের জানাবো  মহরম মাসের ফজিলত ২০২৩ সম্পর্কে। চলনা দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক মহরম মাসের ফজিলত ২০২৩ সম্পরকে।

পেইজ সূচিপত্রঃ মহরম মাসের ফজিলত ২০২৩ 

মহরম মাসের ফজিলত ২০২৩ঃ

আশুরার দিনে বেশ কয়েকটি বইয়ে মুসা আলাই সাল্লাম এর রোজা সম্পর্কে দলিল রয়েছে। নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মন্তব্য করলেন, আমি মুসা আলাই সাল্লাম এর অনুসরণ করার জন্য আপনার থেকে বেশি হকদার। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তখন রোজা পালন করেন এবং অন্যকে রোজা করার আদেশ করেন। পবিত্র মহরম মাসের ১০ তারিখের আগের রাত দশএ মহররমের রাত ইবাদতের সময়। মহান আল্লাহর কাছে বান্দার চাওয়া পাওয়ার রাত। হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন-মহরম মাসের ৯ ১০ ১১ তারিখ তিনটি রোজা রাখতে হবে। মহরমের রাত জেগে থাকা নামাজ ও রোজা রাখা উচিত। এই হাদিস থেকে বোঝা যায় যে মহররম মাসের দুইটি রোজা রাখা আমাদের মুসলমানদের জন্য কল্যাণকর।

আরো পড়ুনঃ দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর মতে, আমি মহান আল্লাহর নিকট একটি আশা করেছে আশুরার রোজা বিগত বছরের গুনাহ মাফ করে দিবে। একদিনের রোজা রাখার ফলে মহান আল্লাহতালা বিগত বছরের সকল গুনাহ মাফ করে দেন সকল মুসলমান নর-নারীর। সর্বশক্তিমান আল্লাহ সর্ব জ্ঞানী এবং কল্যাণকর। আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন তবে সারা বছর বৃহস্পতিবার ও সোমবার রোজা রাখা সুন্নত। এবং মহরম মাসে ১৩-১৪ ও ১৫ তারিখ নফল রোজা রয়েছে। যদি কেউ তিনটি রোজা রাখতে না পারে তবে তার উচিত দুইটি রোজা রাখা। বিশ্বনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আল্লাহর অনুগত্য স্বীকার করে মহররমের তিনটি রোজা রাখতেন। 

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর মতে, আশুরার দিনে যখন মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম মদিনায় আগমন করে্‌ন, তখন তিনি ইহুদিদের রোজা রাখতে দেখেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন তোমরা এদিনে কেন রোজা রাখো? উত্তরে তারা বললেন এটি একটি উত্তম দিন যেহেতু এই দিনে বনি ইসরাইলকে তাদের শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করেছিল।এ থেকে বোঝা যায় যে মহররম মাস সকল মুসলমানদের ওপর উত্তম একটি মাস।

মহরম মাসে রোজা রাখলে কি হয়ঃ

হযরত ইবনে আব্বাস রা বর্ণিত, তিনি বলেন-মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এক হাদীসে বলেন আমি আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম রমজানের রোজা রাখার আগে আশুরা রোজা কে প্রাধান্য দিতেন। ইসলামী আইন শাস্ত্রে কল্যাণকর ও বিখ্যাত মাসের নাম হচ্ছে মহরম মাস। এ মাসের অবস্থান আগের মাসের তুলনায় তুলনামূলকভাবে ভালো। কয়েকটি ইসলামিক প্রাচীন সূত্র অনুসারে মহরম মাসের ১০ তারিখ মুসলিম বিশ্বে অনেক কিছু ঘটেছে।

আশুরার রোজার উদ্দেশ্য কিঃ

আরবিতে বারো মাসের একটি মাস হলো মহররম মাস। মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে এই মাসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। কারণ এই মাসে মহান রাব্বুল আলামিন পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ প্রত্যেক মুসলমানদেরকে আশুরার দিন অর্থাৎ মহরম মাসের দশ তারিখ রোজা রাখতে বলেছেন।

কেউ চাইলে মহরম মাসে তিনটি রোজা রাখতে পারে সেক্ষেত্রে ৯-১০১১ তারিখ এ তিনটি দিন রোজা রাখতে পারে আর যদি কেউ এই তিনটি রোজা না রাখতে পারেন তবে দুটি রোজা রাখবেন। মহরম মাসের ৯-১০ অথবা ১০ ১১ এ দুটি দিন রোজা রাখতে পারেন।

মহরম মাসের দশ  তারিখ কি বারঃ

আজকের পোস্টে আপনি ১৪৪৫ সালের মহরম মাসের ক্যালেন্ডার এবং মহরম মাসের ১০ তারিখ সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন। আমি আজ আপনাদের মহররমের তারিখ সম্পর্কে বলবো। যে মাস অনুসারে ২০ শে জুলাই পহেলা মহররম।

ইংরেজি সাল অনুযায়ী পহেলা মহরম ২০ জুলাই এবং বাংলা মাসের শ্রাবণ মাসের ৫ তারিখ, আরবি মাসের সকল মাসই চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে।

অনেকে আছেন যারা জানতে চান দোষী মহরমের সময় কত। ১০ই মোহররম ইংরেজি মাসের ২০ শে জুলাই বাংলা মাসের শ্রাবণ মাসের ১৪ তারিখ। আরবি মাসের সকল মাসই চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। মহরম মাসের শেষ তারিখ ১৭ ই আগস্ট।

পবিত্র আশুরার বর্জনীয় কাজঃ

  • আশুরার পবিত্র দিনে উৎসব পালন করা।
  • একইভাবে শোক দিবসের মতো শোক করা এড়িয়ে চলুন।
  • আহলুল ভাইদের সম্মান করার সময় দুঃখ প্রকাশ করা যায় না এবং চোখের জল ফেলা যায় না।
  • এই দিনটির স্মরণে কোন ছুটি পালন করবেন না।

আশুরার দিনে রোজা রাখা এবং নিষিদ্ধ কোন আচরণ থেকে বিরত থাকা উচিত আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুন যাতে আমরা নিষিদ্ধ কোন আচরণ থেকে নিজেদের বিরত থাকা উচিত। সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের হেদায়েত করুন যাতে আমরা যথাযথভাবে আশুরা পালন করতে পারি। ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুসারে মুসলমানরা যে চারটি মাসকে গুরুত্ব দেয় তার মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ এবং সম্মানজনক বলে মনে করে মহরম মাসকে।

আশুরার দিনের সংগঠিত ঐতিহাসিক ঘটনাঃ

ইসলামী ক্যালেন্ডারের প্রথম মাসের দশম দিনে আশুরা পালন করা হয়। এই আসো রাতে আমরা কারবালার যুদ্ধে নিহত হোসেন ইবনে আলীর পরিবারের সদস্যদের স্মরণ করি। এই দিনে সমস্ত মুসলমান পবিত্র নবীর নাতি ও তার পরিবারের সঙ্গে যা ঘটেছিল তার স্মরণে রোজা ও প্রার্থনার দিন পালন করে।

পথ ভোলা জাতিগুলো যখন মহানবী নূহ আলাইহি সাল্লাম এর তাওহীদের প্রচারে ৯০০ বছর পরেও মহান আল্লাহকে অপমানিত করেছিল তখন তাদের উপর আল্লাহর গজব নেমে আসে। এ ধরনের প্রবল প্রলয়ের ফল সে অবিশ্বাস্য ব্যক্তিদের ধ্বংস। যাইহোক যারা এটা তৈরি করেছিল তারা নবীকে বিশ্বাস করেছিল এবং নবীর কথায় তাড়ানো নৌকায় উঠেছিল। এবং পুরো ৪০ দিন পর অবশেষে জুট পর্বতের গোড়ায় অবতরণ করেছিলেন।

  • মাসের দশ তারিখ এ মহান আল্লাহ এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। 
  • দশ তারিখে সর্বশক্তিমান আল্লাহ আদম ও হাওয়া পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন। হযরত আদম আলাইহিস সাল্লাম ও তার মাতা পৃথিবীতে তাদের সাথে দেখা করেন এবং তাদের তওবা কবুল করেন।
  • দশে মহরম যখন হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম আদমকে আগুনে নিক্ষেপ করেন। অতঃপর মহান আল্লাহতালা স্বয়ং ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম কে রক্ষা করেন।
  • মহরম মাসের ১০ তারিখে হযরত নূহ আদম আলাই সাল্লাম এর জাহাজ পানতার শহরে যদি কারবালায় থামে। 
  • ১০ই মহরম কারবালা শহরে হাসান হোসাইনকে শহীদ করা হয়।
  • মহরম মাসের১০ তারিখে মহান আল্লাহ নির্দেশে ফেরাউন ও তার বাহিনী নীল নদে ডুবে যাই।
  • মহরম মাসের ১০ তারিখে মহান আল্লাহ হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামকে মাছের পেট থেকে রক্ষা করেন।
  • মহরম মাসের ১০ তারিখে কেয়ামত ঘটতে পারে।

মহরম মাসের কুসংস্কারঃ

এই তিনি আদম ও হাওয়া আরাফার ময়দানে একত্রিত হয়েছিল এবং তাদের ভুলগুলি ক্ষমা করা হয়েছিল। আল্লাহ আদম আলাই সাল্লাম কে এই মহরম মাসের দশম দিনের সৃষ্টি করেছিলেন। বর্তমানে আমাদের সমাজে মহররম মাস এলে অনেক কুসংস্কার পরিলক্ষিত হয় যেগুলো ইসলামী আইনে করা নিষেধ।

আরো পড়ুনঃ চ্যাট জিপিটি কি - এর সুবিধা ও অসুবিধা

কুসংস্কার আত্মঘাতী একটি কুসংস্কার। অনেক গ্রামবাসী মহরম মাসজুড়ে মাংস ও মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। আপনি উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া পাবেন না যদি আপনি তাদের জিজ্ঞাসা করেন কেন তারা খায় না।

মহরম মাসের কত তারিখ আশুরা পালিত হয়ঃ

মহররম মাস চন্দ্র ক্যালেন্ডার প্রথম মাস, যেমনটি ইসলামের আইন দ্বারা সংঘটিত করা হয়েছে। ইসলামে আইনের একটি ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত এই মাসে। মহরম মাসের সাথে মুসলমানদের একটি দৃঢ় সংযোগ রয়েছে এবং মাসের ১০ তারিখে পবিত্র দিন হিসেবে সম্মানিত করা হয়েছে। এই মহরম মাসের ১০ তারিখে রোজা রাখলে বিগত বছরের সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায়।

মুসলমান আরবি মাসের দর্শন দিনটি প্রত্যাশা করে পবিত্র আশুরার মহামান্বিত দিনে ইবাদত মানুষকে আল্লাহর নৈকট্য এনে দেয়। আগামী ২৯ জুলাই শনিবার সারাদেশের মুসলমান ভাই ও বোনেরা পবিত্র আশুরা উদযাপন করবে। এটা চাঁদ দেখা কমিটি যাচাই করেছে।

মহরম কেন পালন করা হয়ঃ

এই দিনে আদি পিতা আদম আলাই সাল্লাম মহরম মাসের দশম তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। এবং এই দিনে তাকে মানবতার প্রতিনিধি হিসেবে জান্নাত থেকে পৃথিবীতে নিয়ে যাওয়া হয়। নূহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাসনামলে এই দিনে একটু বড় বন্যা সংঘটিত হওয়ার কারণে ১০ এই মহররমের তিনটি ইতিহাসের বইয়ে সন্নাক্ষর একটি ঐতিহাসিক দিন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই দিনে মুসা আলাই সাল্লাম ও তার বন্ধুরা ফেরাউনের কবর থেকে মুক্ত হন এবং ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর জন্ম হয়। মহরমের এই দশম দিনটি সারা মুসলিম বিশ্বের শ্রদ্ধার সাথে পালন করা হয় এবং এই দিনে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর পূর্বপুরুষগণ শহিদ হন। সেজন্য গোটা মুসলিম বিশ্বে মহরমের দিনটি পালন করা হয়।

আশুরার দিনটি মুসলমানদের কেন এত গুরুত্বপূর্ণঃ

এই দিনে মুসলমানদের রোজা রাখতে হয়। এশিয়া মহাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশগুলোতে এই দিনটি সম্মানিত তাৎপর্যপূর্ণ। নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরিবারের সদস্যদের এই দিনে পুরো মুসলিম উম্মাহ প্রার্থনায় স্মরণ করেন। সর্বশক্তিমান আল্লাহ আশুরার এই দিনে পৃথিবীর অভ্যন্তরে সমস্ত কিছু অলৌকিকভাবে সৃষ্টি করেছেন।

অনেক মুসলমান মা ও বোনেরা এই দিনে আশুরার নামাজ পড়ে থাকেন। মহান আল্লাহতালা মানুষকে তার সৃষ্টির সেরা জীব বানিয়েছেন এবং তার কাছে পবিত্র পবিত্র কোরআন নাজিল করেছেন যা নির্দেশনামূলক এবং কোন গুণাবলিত পরিপূর্ণ।

আরো পড়ুনঃ নাউজুবিল্লাহ শব্দের অর্থ কি - নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক অর্থ কি 

উপসংহারঃ মহরম মাসের ফজিলত ২০২৩

প্রিয় পাঠক বন্ধু রা, আপনারা যারা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়েছেন তারা জানতে পেরেছেন মহররম মাসের ফজিলত ২০২৩ সম্পর্কে। আমরা আশা করছি আমাদের আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। পসটি পড়ে ভাল লেগে থাকলে অথবা পোস্টের মধ্যে কোন ভুলভ্রান্তি থেকে থাকলে আপনার মহামূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে আমাদে জানাবেন।

আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ে আপনারা অনেক প্রকৃত হয়েছেন, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম আরো পোস্ট পেতে হলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url